কোনটি আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের সবচেয়ে বড় সাফল্য? বিশ্বকাপ জয়ের কথাই বললেই সবাই এখনও ১৯৮৬ সালের কথা বলবে। ১৯৭৮ সালে প্রথম বিশ্বকাপ জিতলেও ছিয়াশিতে ডিয়েগো ম্যারাডোনার একক নৈপুন্যে ট্রফি জয়ের স্মৃতিই সবচেয়ে ঝকঝকে আলবিসেলেস্তে সমর্থকদের মনে। কারণও আছে। শুধু ম্যারাডোনার জাদুকরী ফুটবল নয়, সেবার বাছাইপর্বে রীতিমত ধুঁকতে ধুঁকতে বিশ্বকাপের মূল আসরে জায়গা করে নিয়েছিল আর্জেন্টিনা। লিওনেল মেসির সঙ্গে ডিয়েগো ম্যারাডোনার তুলনাটা পুরোণো। এবার লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনার মাঝেও কি ম্যারাডোনার সেই আর্জেন্টিনাকেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে? এখনও অনেক পথ বাকি। তবে বিধাতা অনেক সময় কাকতালীয়ভাবে মিলিয়ে দেন অনেক ঘটনাকে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে কঠিন এক পরীক্ষার মুখে পড়েছিল ম্যারাডোনার আর্জেন্টিনা। রিকার্ডো গারেকার (বর্তমানে পেরুর কোচ) গোলে সেবার কোনোমতে প্লে-অফ এড়িয়েছিল তারা। সে সময় কোচ কার্লোস বিলার্দোকে কম কথা শুনতে হয়নি। এবার তো আর্জেন্টিনার দুর্দশায় বরখাস্তই হন কোচ এউগার্দো বাউজা। নতুন কোচ হোর্হে সাম্পাওলিকেও একই রকম চাপ সামলাতে হচ্ছে। ম্যারাডোনার নেতৃত্ব নিয়ে সেবার ছিল বিস্তর সমালোচনা। আর্জেন্টাইন সমর্থকরা অধিনায়ক হিসেবে চেয়েছিলেন ১৯৭৮ সালে বিশ্বকাপ জেতানো অধিনায়ক ড্যানিয়েল প্যাসারেলাকে। কোচ রিকার্ডো গারেকা তখন জুয়াটা খেলেন। ম্যারাডোনার পক্ষ নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ডিয়েগো হলো অনেকটা পেলের মতো। এমন খেলোয়াড় ২০ বছরে একজন আসে। এবার বিশ্বকাপকে সামনে রেখেও আর্জেন্টিনার অধিনায়কত্ব নিয়ে অনেক কিছু শোনা গেছে। ২০১৬ সালের পুরো সময়টাতেই হাভিয়ের মাচেরানোকে অধিনায়ক করার জোর গুঞ্জন ছিল। সব গুঞ্জন আর সমালোচনাকে পাশ কাটিয়ে ছিয়াশিতে ম্যারাডোনাই হয়েছিলেন জাতীয় বীর। এবার লিওনেল মেসির সামনে প্রায় একই রকম চ্যালেঞ্জ। ধুঁকতে থাকা দলকে যেভাবে বিশ্বকাপের মূলমঞ্চে তুলেছেন, বার্সা সুপারস্টারের কাছে ছিয়াশির সাফল্যের পুণরাবৃত্তি তো চাইতেই পারেন আর্জেন্টাইন সমর্থকরা! সূত্রঃ জাগোনিউজ২৪.কম আর/১৭:১৪/১২ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2xA0mqL
October 13, 2017 at 12:20AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন