সুরমা টাইমস ডেস্ক:: নগরীর ফুটপাত দখলদার ও তাদের আশ্রয়দাতা ২৬ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার (১৯শে অক্টোবর) বিকেলে সিলেট মহানগর মূখ্য হাকিম আদালতের বিচারক সাইফুজ্জামান হিরো এ পরোয়ানা জারি করেন। এতে প্রথমেই মহানগর হকার্স লীগ ও মহানগর হকার্স কল্যান সমবায় সমিতির সভাপতি রকিব আলীর নাম রয়েছে।
জানা যায়, আদালতের নির্দেশে ১৬ই অক্টোবর সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও কতোয়ালি থানার ওসি গৌছুল হোসেন ফুটপাত দখলকারীদেও আশ্রয়দাতা হিসেবে ৩৮ জনের তালিকা আদালতে জমা দেন। সেই তালিকা অসম্পূর্ণ হওয়ায় বৃহস্পতিবার পূর্ণাঙ্গ তালিকা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
বৃহস্পতিবার সকালে কোতোয়ালি থানার ওসি গৌছুল হোসেন আদালতে হাজির হয়ে একটি তালিকা জমা দেন।
এই তালিকার জমা দেওয়ার পর আদালত ২৬ জনের বিরুদ্ধে সিআর মামলা নথিভুক্ত করেন। এরপর এদের বিরুদ্ধে আদালত পরোয়ানা জারি করেন বলে জানান এই আদালতের এপিপি মাহফুজুর রহমান।
হকার্স লীগ নেতা রকিব আলী ছাড়াও পরোয়ানা জারি করা হয়- মহানগর হকার্স কল্যান সমবায় সমিতির সহ-সভাপতি আতিয়ার রহমান, শফিক আহমদ, আবুল বাশার, রুহুল আমিন রুবেল, মখলেসুর রহমান, আব্দুল আহাদ, সাধারণ সম্পাদক খোকন ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রুমন আহমদ, জিন্দাবাজার অটোরিক্সা স্ট্যান্ডের আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক ইসলাম উদ্দিন, শফিক উদ্দিন, সদস্য সচিব ইফসুফ আলী, মধুবন পয়েন্ট ইমা/লেগুনা স্ট্যান্ডের সভাপতি সোহাগ মিয়া, সহ-সভাপতি মো. আদিল, সম্পাদক মো. কবির মিয়া, অর্থ সম্পাদক মো. বাবুল মিয়া, রংমহল ট্ওায়ার অটোরিকশা/সিএনজি স্ট্যান্ডের সভাপতি আজমল হোসেন, সহ-সভাপতি মুরাদ হোসেন, ধোপাদিঘির পাড় ইমা/লেগুনা স্ট্যান্ডের সভাপতি সাহাবউদ্দিন সাবু, সহ-সভাপতি ফয়জুল মিয়া, কার্যকরী সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক বদরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর নুর হিরণ, কোষাধ্যক্ষ আব্দুর রশিদ ও অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়ন আম্বরখানা-সালুটিকর শাখার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য তেরা মিয়ার বিরুদ্ধে।
উল্লেখ্য, সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতির লিখিত আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৫শে মে ফুটপাত দখলকারীদের তালিকা প্রস্তুত করে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে সিলেট সিটি মেয়রকে নির্দেশ দেন মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত। এ ক্ষেত্রে মেয়রকে সহযোগিতার জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকেও নির্দেশ দেন আদালত। এ নির্দেশের প্রেক্ষিতে গত ৩০শে মে নগরীর ব্যবসায়ী, রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করে সিসিক। এ বৈঠকের পর গত ১লা জুন থেকে নগরীর বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার ও চৌহাট্টা এলাকায় ফুটপাতে অবৈধ দখলকারীদের উচ্ছেদে অভিযান শুরু করে সিসিক। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই সে অভিযানে ভাটা পড়লে অবৈধ দখলদাররা ফিরে আসে।
এদিকে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও ফুটপাত দখলকারী ও তাদের মদদদাতাদের তালিকা সংবলিত প্রতিবেদন জমা দিতে গড়িমসি করে সিসিক। গত ৮ই জুন মেয়র প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সময় চেয়ে আদালতে আবেদন করলে তাকে এক মাসের সময় দেওয়া হয়। এর পর আরও তিন মাস অতিবাহিত হলেও মেয়র প্রতিবেদন দাখিল করেননি। একটি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনপ্রতিনিধি হয়েও কেন আদালতের আদেশ মেনে প্রতিবেদন দাখিল করছেন না, তার ব্যাখ্যা দিতে গত ৭ই অক্টোবর তাকে আদালতে তলব করা হয়। এতে ১৬ই অক্টোবর আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরো। এই নির্দেশের পর তালিকা নিয়ে আদালতে হাজির হন মেয়র।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2hQKrd6
October 19, 2017 at 09:16PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন