সুরমা টাইমস ডেস্ক:: শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা বিস্ফোরক আইনে মামলায় ফ্রিডম পার্টির ১১ সদস্যকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই ঘটনায় হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দায়ের করা অপর মামলায় এই ১১ সদস্যকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। দুই মামলাই ফ্রিডম পার্টির সদস্য হুমায়ুন কবিরকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এবং পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের অস্থায়ী ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জাহিদুল কবির এ রায় ঘোষণা করেন। বিস্ফোরক আইনে মামলায় প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে ৬ মাসের কারাদণ্ড এবং হত্যাচেষ্ঠা মামলায় প্রত্যেকে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে একবছরের কারাদণ্ড প্রদান করেন আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গোলাম সারোয়ার ওরফে মামুন, জজ, ফ্রিডম সোহেল, সৈয়দ নাজমুল মাকসুদ মুরাদ, গাজী ইমাম হোসেন, খন্দকার আমিরুল ইসলাম কাজল, মিজানুর রহমান, হুমাউন কবির (পলাতক), মো. শাজাহান বালু (পলাতক), লেফটেনেন্ট কর্নেল আবদুর রশীদ (পলাতক), জাফর ও আহম্মদ ওরফে মানিক (পলাতক)।
রায় ঘোষণার পর ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় ফ্রিডম পার্টির ১১ সদস্যকে দণ্ডবিধি ১২০(খ) এবং ৩০৭ ধারায় ১০ বছর করে দুই ধারায় মোট ২০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আসামিদের প্রত্যেকে ২০ হাজার করে ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস করে এক বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এছাড়া একই ঘটনায় বিস্ফোরক আইনে করা অন্য মামলায় ১১ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ রায়ে আমরা সন্তুষ্ট।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ মাহমুদ হাসান বলেন, দুই মামলায় রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নয়। এর বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব। গত ১৫ই অক্টোবর শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টা ও ১৬ই অক্টোবর বিস্ফোরক আইনে মামলার রায়ের জন্য ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৯ সালের ১০ই আগস্ট মধ্যরাতে ফ্রিডম পার্টির নেতৃত্বে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাসভবনে গুলি ও গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। তিনি তখন ওই বাসায়ই থাকতেন এবং ঘটনার সময় ওই বাড়িতেই অবস্থান করছিলেন। ওই ঘটনায় বাড়ির নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ কনস্টেবল জহিরুল ইসলাম একটি মামলা করেন। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ফ্রিডম পার্টির সদস্য কাজল ও কবিরের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ৩২ নম্বরের বাড়িতে অতর্কিত গুলিবর্ষণ ও বোমা হামলা করে এবং ‘কর্নেল ফারুক-রশিদ জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান দিতে দিতে পালিয়ে যায়।
১৯৯৭ সালের ২০শে ফেব্রুয়ারি ওই মামলায় ১২ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। ২০০৯ সালের ৫ই জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2yd8U7t
October 29, 2017 at 08:37PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন