কিম্বার্লি, ১৩ অক্টোবর- বাংলাদেশ দল টেস্ট সিরিজে বাজে হারের পর প্রস্তুতি ম্যাচেও লড়াই করতে পারেনি প্রোটিয়াদের সাথে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন পর্যন্ত কোনো প্রাপ্তি নেই বাংলাদেশ দলের। ব্যর্থতার এই বৃত্ত ভাঙতে সতীর্থদের মূলে ফিরে যেতে বলেছেন সাকিব আল হাসান। সহ-অধিনায়ক তাগিদ দিয়েছেন, মৌলিক কাজগুলো ঠিকঠাক করার। কিম্বার্লির ডায়মন্ড ওভালের শুক্রবার বাংলাদেশের অনুশীলন শেষে দলের প্রতিনিধি হয়ে আসা সাকিব বলছিলেন, ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে। খেলব তো আমরা জেতার জন্যই। বাকিটা দেখা যাক কি হয়। অবশ্যই এদের কন্ডিশনে অনেক কঠিন হবে। আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার। কিন্তু এগুলো সব দেশের জন্য একই রকম। এরা যখন আমাদের দেশে যায়, শেষবার ওরাও হেরেছে। কন্ডিশনের কারণে একটা বড় প্রভাব পড়ে অবশ্যই। ২-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ হার। ওয়ানডেতে কি হবে- এনিয়ে প্রশ্নের কমতি নেই। আইসিসির ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ অলরাউন্ডার ফল নিয়ে না ভেবে নিজেদের কাজ মনোযোগ দিয়ে করে যাওয়ার কথা বলেছেন। আমাদের চেষ্টা থাকবে মৌলিক কাজগুলো যেন ঠিকভাবে করতে পারি। ভালো ব্যাটিং করা, শুরুটা ভালো করা। বোলিং ভালো করা। ভালো জায়গায় বেশি বোলিং করা। এই মৌলিক কাজগুলো যদি ভালোভাবে করতে পারি আমাদের জেতার সম্ভাবনা বেশি থাকবে। প্রথম টেস্টে ৩৩৩ রান ও পরের ম্যাচে ইনিংস ও ২৫৪ রানের হার। এই দুই পরাজয়ের পর ওয়ানডেতে নিজেদের দায়িত্ব আরও বেশি দেখেন তারকা অলরাউন্ডার। সবাই ওয়ানডে সিরিজ নিয়ে অনেক মনোযোগ দিচ্ছে। যেহেতু আমরা টেস্ট ভালো খেলিনি, এটা আমাদের প্রমাণ করার জায়গা যে আমরা উন্নতি করছি। বিশ্রাম কাটিয়ে ফিরেছেন সাকিব। চোট থেকে সেরে উঠার পথে তামিম ইকবাল। এসেছেন অনুপ্রেরণাদায়ী অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। অন্য দিকে দক্ষিণ আফ্রিকা দলে ফিরছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। তিন সিনিয়র ক্রিকেটার যোগ দেওয়ায় ওয়ানডেতে বাংলাদেশই কী একটু এগিয়ে থাকবে? অ্যাডভান্টেজ-ডিজঅ্যাডভান্টেজের চেয়ে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। এটাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই ধরনের কন্ডিশনে আমরা খুব বেশি খেলি না। হঠাৎ করে এসেই ভালো কেউই করে না। আপনি এশিয়ার দলগুলোরর নিকট অতীতের পারফরম্যান্সে দেখেন, উপমহাদেশের বাইরে কারোরই ভালো না। এশিয়ার বাইরের যারা তারা যখন এশিয়ায় গেছে তাদেরও পারফরম্যান্স ভালো না। স্বাভাবিকভাবেই এই জায়গাগুলোতে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ অনেক বেশি। আমাদের লক্ষ্য থাকবে, এই চ্যালেঞ্জ যেন আমরা জিততে পারি। আমাদের বেশ কয়েকজন বিশ্ব মানের খেলোয়াড় আছে, যারা এই জায়গাগুলোতে পারফরম করতে পারবে আর দলকে ভালো অবস্থানে নিয়ে যেতে পারবে। প্রস্তুতি ম্যচে পাঁচ নম্বরে নেমে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন সাকিব। ওয়ানডে সিরিজে দলের প্রথম চার ব্যাটসম্যানকে তিনি দিলেন ভালো শুরু এনে দেওয়ার তাগিদ। আশা করি, আমাদের ব্যাটসম্যান যারা আছে তারা সবাই চেষ্টা করবে ভালো করার। একটা ম্যাচে সবাই ভালো করবে না, খুবই স্বাভাবিক। কিন্তু ওপরের দিকে তিন জন-চার জন যদি ভালো করে, তালে পরের ব্যাটসম্যানদের জন্য রানটা করা অনেক সহজ হয়ে যায়। প্রস্তুতি ম্যাচে ৬৩ রানে প্রথম ৪ উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। শেষ ৫ উইকেটের পতন হয়েছিল ৫৯ রানে। শুরু আর শেষ দুইটাতেই ভুগেছে অতিথিরা। ওয়ানডে সিরিজে ভালো করতে উন্নতি করতে হবে দুই জায়গাতেই। সূত্রঃ বিডিনিউজ২৪.কম আর/১০:১৪/১৩ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2xDef2K
October 14, 2017 at 04:34AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন