পচেফস্ট্রুম টেস্টের চতুর্থ দিনে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিংয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। রান প্রসবা সেশন দ্রুত রান তুলে লিড যতটা সম্ভব বাড়ানোর লক্ষ্যে নেমেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথম সেশনে সেই লক্ষ্য পূরণ প্রায় শতভাগ। চতুর্থ দিন প্রথম সেশনে প্রোটিয়ারা ২৯.১ ওভারে তুলেছে ১৪৯ রান। ওভার প্রতি পাঁচ রানের বেশি! লাঞ্চের সময় দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ২০৩। লিড ৩৭৯ রানের। ৭৭ রান নিয়ে উইকেটে দু প্লেসি, ৬৪ রানে বাভুমা। অবিচ্ছিন্ন চতুর্থ জুটির রান ১৩৩। বল হাতে বাংলাদেশের শুরুটা হয়েছিল ভালোই। সকালে মুস্তাফিজ ও শফিউল ভালো বল করেছেন। মুস্তাফিজ ফিরিয়েছেন আমলাকে। তবে সেই শুরু আর ধরে রাখা যায়নি। বাভুমা-দু প্লেসি জুটি রান তুলেছে অনায়াসে। বাংলাদেশের অপেক্ষা এখন কেবল দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস ঘোষণার। বাভুমার পঞ্চাশ প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন ৩১ রানে। দ্বিতীয় ইনিংস অর্ধশতকের সুযোগ পেলেন টেম্বা বাভুমা। ৭৫ বলে স্পর্শ করলেন নবম টেস্ট ফিফটি। ৪১ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ১৮০। লিড ৩৫৬ রানের। জুটির সেঞ্চুরি সকালে যতটুকু নিয়ন্ত্রণ দেখাতে পেরেছিল বাংলাদেশের বোলাররা, সেটি কেড়ে নিয়েছে ফাফ দু প্লেসি ও টেম্বা বাভুমার জুটি। দুজনের দারুণ ব্যাটিংয়ে রান এসছে ওয়ানডের গতিতে। ওভার প্রতি পাঁচের বেশি রান তুলে এই জুটি পৌঁছে গেছে তিন অঙ্কে। ৪০ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ১৭৪। লিড স্পর্শ করেছে সাড়ে তিনশ। চতুর্থ জুটির রান ১০৪। দু প্লেসির পঞ্চাশ উইকেটে যাওয়ার পর থেকেই ফাফ দু প্লেসির ব্যাটে দ্রুত রানের তাড়া। সেই চেষ্টায় যথেষ্টই সফল দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক। ফিফটি করে ফেললেন মাত্র ৫৫ বলে। তার ১৫তম টেস্ট ফিফটি, সঙ্গে সেঞ্চুরি ৬টি। ৫টি চারের পাশাপাশি মিরাজের বলে মেরেছেন একটি ছক্কা। দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ১৪৭। লিড ৩২৩ রানের। তিনশ ছাড়াল লিড আমলা আউট হওয়ার নেমে শুরু থেকেই দারুণ খেলছেন ফাফ দু প্লেসি। রানের গতি একটু বাড়িয়েছেন টেম্বা বাভুমাও। দুজনের ব্যাটে দক্ষিণ আফ্রিকার লিড ছাড়িয়ে গেছে তিনশ। চতুর্থ উইকেটে দুজনের জুটির পঞ্চাশ রানও হয়ে গেছে। ৩২ ওভার শেষে দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ১২৮। ৩০ রান নিয়ে খেলছেন বাভুমা, ৩৬ রান নিয়ে দু প্লেসি। চতুর্থ উইকেট জুটির রান ৫৮। বেঁচে গেলেন বাভুমা আমলার উইকেটের হাত ধরেই আসতে পারত আরেকটি উইকেট। কিন্তু টেম্বা বাভুমার ক্যাচ নিতে পারলেন না ইমরুল কায়েস। শফিউলের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে সজোরে শট খেলেছিলেন বাভুমা। পয়েন্টে ইমরুল কায়েস ছিলেন একটু কাছাকাছি। বল গিয়েছে তার সোজা। কিন্তু জোর ছিল প্রচণ্ড। মুখ বাঁচাতে চোখ সরিয়ে নেন ইমরুল, বল তার আঙুলে লেগে মাটিতে। ক্যাচ মিস, সঙ্গে ইমরুলের আঙুলে চোট। মাঠ ছাড়লেন তিনি চিকিৎসা নিতে। বাভুমা জীবন পেলেন ৮ রানে। আবার কাটারে সফল মুস্তাফিজ অফ স্টাম্পের বাইরের বল। ব্যাটসম্যানকে প্রলুব্ধ করা। কিন্তু কাটারে বিভ্রান্ত ব্যাটসম্যান আউট গতি বৈচিত্র্যে! আগের দিন যেভাবে মারক্রামকে শিকার করেছিলেন মুস্তাফিজ, অনেকটা সেভাবেই আউট করলেন হাশিম আমলাকে। আমলাকে আউট করা বলটি অবশ্য গ্রিপ করেছে আরেকটু বেশি। যথারীতি বেরিয়ে যাওয়ার পথে ছুঁয়েছে আমলার ব্যাটের কানা। বাকি কাজ সেরেছেন উইকেটকিপার লিটন দাস। ২৮ রানে ফিরলেন আমলা। দক্ষিণ আফ্রিকার রান ৩ উইকেটে ৭০। এগিয়ে তারা ২৪৬ রানে। ঠিক সময়েই খেলা শুরু মেঘলা আকাশ আর প্রায় অন্ধকারে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হয়েছিল ১৬.১ ওভার আগে। চতুর্থ দিন সকালেও একই চেহারায় পচেফস্ট্রুমের আকাশ। ঘন কালো মেঘ। আগের রাতে বৃষ্টি হয়েছে অনেক। তবে এই মুহূর্তে বৃষ্টি নেই। উইকেটও ঢাকা নয়। বৃষ্টি শুরু না হওয়ায় ঠিক সময়েই শুরু হয় খেলা। প্রথম ইনিংসে ১৭৬ রানের লিড হজম করে দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুটায় বেশ ভালো বোলিং করেছে বাংলাদেশ। সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখার পালা এদিন। দ্বিতীয় ইনিংসে ২ উইকেটে ৫৪ রান নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা শুরু করবে চতুর্থ দিনের খেলা। ৮ উইকেটে হাতে নিয়ে এগিয়ে তারা ২৩০ রানে। তৃতীয় দিন শেষে সংক্ষিপ্ত স্কোর: দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংস: ১৫.৫ ওভারে ৫৪/২ (মারক্রাম ১৫, এলগার ১৮, আমলা ১৭*, বাভুমা ৩*; মিরাজ ০/১৫, শফিউল ১/১৮, মুস্তাফিজ ১/৭, তাসকিন ০/১৪) বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৩২০ দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস: ৪৯৬/৩ ডি. এআর/১৬:২০/০১ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2kcnp4B
October 01, 2017 at 10:19PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন