কলকাতা, ২৮ অক্টোবর- পরিচয় ফেসবুকে। ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে ধীরে ধীরে। প্রেম-ভালোবাসা, তারপর বিয়ে। অবশেষে করুণ পরিণতি। ভারতে এমনি একটা ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, ফেসবুকে পরিচয়ের পর থেকেই ক্রমে প্রেম ও পালিয়ে গিয়ে বিয়ে। আর বিয়ের পরেই নিজের আসল পরিচয় দেখায় প্রেমিক আনন্দ। তিনি ও তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরা যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন দিশাকে। এরপর গত বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ থানার সাহাপুর এলাকায় শ্বশুরবাড়িতেই মৃত্যু হয় দিশার। শ্বশুরবাড়ির লোকজন আত্মহত্যার দাবি করলেও, দিশার বাড়ির লোকের অভিযোগ, খুনই করা হয়েছে দিশাকে। পুলিশ ও মৃত গৃহবধূর পরিবারসূত্রে জানা গিয়েছে, ফেসবুকে ঘনিষ্ঠতা বাড়তে শুরু হওয়ার পর রায়গঞ্জের সাহাপুরের আনন্দ বর্ধমানে চলে আসেন দিশার সঙ্গে দেখা করতে। এরপর ২০১৬ সালের ৩০ জানুয়ারি তাঁরা দুজনে সেখানকার এক মন্দিরে বিয়ে করেন। দুই পরিবারই মেনে নেন তাঁদের বিয়ে। বিয়ের পরেই আনন্দর আসল পেশার কথা জানতে পারেন দিশা। কিন্তু মেনে নিতে বাধ্য হন। এরপরই শুরু হয় অত্যাচার। যৌতুকের দাবিতে দিশার উপর নির্যাতন চালাতে থাকেন তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোক। তাঁদের দাবি মেনে দিশার বাবা নগদ এক লক্ষ টাকা ও সোনার অলঙ্কার উপহার দেন। কিন্তু তাতেও আশা মেটেনি আনন্দের। আরও টাকার জন্য তিনি চাপ দিতে থাকেন গৃহবধূ দিশাকে। বৃহস্পতিবার বিকেলে আনন্দ বর্ধমানে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে টেলিফোন করে জানান, দিশা আচমকা আত্মহত্যা করেছেন। মেয়ের মৃত্যুকে আত্মহত্যা বলে মানতে নারাজ দিশার পরিবার রায়গঞ্জ থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু ততক্ষণে আনন্দ ও তাঁর পরিবারের লোকজন গা ঢাকা দিয়েছেন। পুলিশ এরইমধ্যে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পুলিশ সুপার শ্যাম সিং জানিয়েছেন, আমার দপ্তরের কর্মী পরিচয় কেউ দিলে সেটা তো আমার জানার কথা নয়। তবে সিভিক ভলান্টিয়রের কাজ করার জন্য পুলিশ ওই অভিযুক্তকে আলাদা কোনো সুবিধা দেবে না। অভিযোগ অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করা হবে। সূত্র: গোনিউজ২৪.কম আর/১০:১৪/২৮ অক্টোবর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2zNi6eY
October 29, 2017 at 04:31AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top