৩৬৯ রানের পাহাড় টপকাতে গিয়ে এরই মধ্যে একে একে সাজঘরে ফিরেছেন ইমরুল, লিটন, সৌম্য ও মুশফিক। সবেমাত্র যাওয়া-আসার মিছিলে যোগ দিলেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। জবাবে ব্যাট করতে শুরুতেই ধাক্কা খায় মাশরাফি বাহিনী। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ডেন প্যাটারসনের বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অফ বেহারদিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ইমরুল (১)। এর পরই প্যাটারসনের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন লিটন দাস (৬ )। লিটনের বিদায়ের পর ক্রিজে আসেন সৌম্য। তবে আস্থার প্রতিদান দিতে পারেননি তিনি। পঞ্চম ওভারে কাগিসো রাবাদার বল ড্রাইভ করতে গিয়ে স্লিপে এইডেন মার্করামের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান (৮)। এর সঙ্গে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। সেই বিপদের মধ্যে কাগিসো রাবাদার বলে আন্দিলে ফিকোয়াওর হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মুশফিকুর রহিম। এর আগে ইস্ট লন্ডনে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন স্বাগতিক অধিনায়ক ডু প্লেসিস। হাশিম আমলা বিশ্রামে থাকায় কুইন্টন ডি ককের সঙ্গে ইনিংস সূচনা করতে নামেন টেন্ডা বাভুমা। ১ বছর পর ওয়ানডে খেলতে নামলেও এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং দেখে একটুও বোঝা যায়নি। ডি ককের সঙ্গে উড়ন্ত সূচনা করেন তিনি।তাদের ব্যাটিং তাণ্ডবে এই ম্যাচেও শুরুতে উইকেটহীন থাকে বাংলাদেশ। দলীয় ১১৯ রানে বাভুমাকে (৪৮) লং অনে লিটন দাসের ক্যাচ বানিয়ে দলকে কাঙ্ক্ষিত ব্রেক থ্রো এনে দেন মিরাজ। প্রথম উইকেটের জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করতে হলেও দ্বিতীয়টি আসে দ্রুত। দলীয় ১৩২ রানে বিপজ্জনক ডি কককে কট অ্যান্ড বোল্ড করে ফেরান এই অফস্পিনার। পর পর দুই উইকেট খোয়ানোয় রানের চাকা কম গড়ার কথা ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার। তবে মাঠে ঘটে ঠিক উল্টোটা। নেমেই টাইগার বোলারদের ওপর স্টিম রোলার চালান এইডেন মার্করাম। রানের নহর বয় ডু প্লেসিসের ব্যাটেও। তাদের ব্যাটে উল্কার গতিতে ছুটে চলে প্রোটিয়ারা।যা ছিল তাসকিনদের জন্য দুঃস্বপ্ন। ভালো খেলতে খেলতে হঠাৎই শারীরিক ব্যথা অনুভব করেন ডু প্লেসিস। শেষ পর্যন্ত ফিজিওর কাঁধে চড়ে মাঠ থেকে বেরিয়ে যান প্রোটিয়া অধিনায়ক (৯১)। সহযোদ্ধার এমন দৃশ্য দেখার পর মাঠে টিকতে পারেননি এইডেন মার্করামও (৬৬)। দলীয় ২৮৯ রানে ইমরুল কায়েসের অসাধারণ থ্রোতে রানআউট হয়ে ফেরেন তিনি। বাংলাদেশও পায় একটু স্বস্তি। তবে সেই স্বস্তি বেশিক্ষণ থাকেনি। ক্রিজে এসেই ঝড় তোলেন গেলো ম্যাচে টাইগার বোলারদের চোখ ও নাকের জল এক করে দেয়া এবি ডি ভিলিয়ার্স। কিন্তু সেই ঝড় বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ব্যক্তিগত ২০ রান করে রুবেলের বলে মাশরাফির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ৩৬০ ডিগ্রী খ্যাত ব্যাটসম্যান। ভিলিয়ার্সের বিদায়ের পর চটজলদি ফিরে যান প্রোটিয়া লেট অর্ডারের আরো দুই ব্যাটসম্যান। দলীয় ৩২৯ রানে তাসকিনের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে ফেরেন উইলিয়াম মুল্ডার (২)। এর কিছুক্ষণ পরই মুশফিকের গ্লাভসবন্দি করে আন্দিলে ফিকোয়াওকে (৫) ফেরান এই ডানহাতি পেসার। তবে একপ্রান্তে শিকড় গেড়ে থেকে যান বেহারদিন। শেষদিকে কাগিসো রাবাদাকে নিয়ে যতটা সম্ভব দলের রান বাড়িয়ে চলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভারে ৬ উইকেটে ৩৬৯ রান করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এদিন বাংলাদেশের সেরা বোলার তাসকিন আহমেদ ও রুবেল হোসেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটসম্যানদের টর্নেডোর মাঝে তারা তুলে নেন ২টি করে উইকেট। তথ্যসূত্র: আরটিভি এআর/১৯:৫৫/২২ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2yZQd7d
October 23, 2017 at 01:54AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন