সুুুরমা টাইমস ডেস্ক:: সেবাই পুলিশের ধর্ম। এই শ্লোগানকে আরো মধুর ও সত্যতে পরিণত করলেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানার সিনিয়র সহকারী কমিশনার সাদেক কাউসার দস্তগীর। তিনি এখন থেকে কতোয়ালী থানায় সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দিলেন জিডি (সাধারণ ডায়রি) সেবা।
যে কোন ব্যক্তিকে থানার পক্ষ থেকে কম্পিউটারে টাইপকৃত জিডি লিখেও সাধারণ ডায়রি হিসেবে গ্রহণ করা হবে। এর ফলে কোন প্রকার ফি কিংবা অহেতুক হয়রানির শিকার হতে হবে না জনসাধারণকে।
আর তাতে সর্বাত্মক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সিলেট মেট্রাপলিটন পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া ও উপ-কমিশনার (উত্তর) ফয়ছল মাহমুদ। এসএমপি পুলিশের এমন প্রশংসনীয় উদ্যোগ বিশেষ করে পুলিশী সেবার মান আরো অনেক এগিয়ে যাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সিলেটের সুধী সমাজ।
জানা যায়- বর্তমানে এসএমপির কোতয়ালি থানা এখন ৯৫% দালালমুক্ত রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলার পরিস্তিতি পূর্বের চেয়ে অনেকটা ভালো। চলতি বছরের ৩রা আগস্ট থেকে কোতয়ালি থানায় কম্পিউটার টাইপিংসহ সাধারণ ডায়রির প্রথা চালু হয়েছে। এ পর্যন্ত সেবাটি পেয়েছেন প্রায় ৭৬৩ জন ভুক্তভোগি।
তারা বিনা খরচে ছাড়াই জিডি করেছেন এসএমপি’র কোতয়ালি থানায়। একমাত্র সিলেট কোতোয়ালি থানায় সর্ম্পুন হয়রানী ছাড়া এ কার্যক্রম চলে আসছে। এতে অত্যান্ত দক্ষ কম্পিউটার অপারেটর পলাশ ভট্টাচার্য্য, শাহজালাল, মান্না দেব, ও মহিলা শাহীনা বেগম কাজ করছেন। এদের মধ্যে মহিলা কনেস্টেবল রাখা হয়েছে যাতে কোন নারী এসে বিনাসংকোচে যে কোন কথা মহিলা কন্সটেবল কে বলতে পারেন।
এছাড়া তাদের কে ল্যাপটপ ই-প্রিন্টার, কাগজসহ নানা উপকরন দেয়া হয়েছে। ফলে এ উদ্যোগ জনসাধারণ ভালভাবেই নিচ্ছেন।
কতোয়ালী থানাতে জিডি করতে আসা এম.সি কলেজের সহকারী অধ্যাপক (ইংরেজি বিভাগ) নাহিন ফাতেমা চৌধুরি জানান- কোন রকম হয়রানী ছাড়াই ও অল্প সময়ে অতি দ্রুত জিডি সেবা পেয়েছি। পুলিশী এমন সেবা আমার অনেক ভাল লাগছে। তিনি আরো জানান, কোন রকম টাকা ছাড়াই এই কাজটি জনগনের জন্য খুবই উপকারে আসবে।
এ ব্যপারে দক্ষিন সুরমা তেতলী এলাকার বাসিন্দা এমদাদুল হক রাশেদ জানান- টাইপ ও জিডি সার্ভিস আসলেই সাধারন জনগনের জন্য খুব উপকারি। বিশেষ করে যারা জিডি সর্ম্পকে অজ্ঞাত তাদের জন্য অনেক উপকারে আসবে। তাছাড়া অনেক ধরণের বিভ্রান্তি থেকে রক্ষা পাবে।
কোতোয়ালি থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার সাদেক কাউসার দস্তগীর জানান, থানায় আগত ব্যক্তিদেরকে পুলিশি সেবা দিতে ও জনসাধারনের কাছে তা পৌছে দেয়ার লক্ষ্যে জিডি লিপিবদ্ধ করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন তিনি নিজেই। আর এটা তার বহু দিনের লালিত স্বপ্ন ছিল।
তিনি বলেন, থানায় অভিযোগ নিয়ে আসা কোন ব্যক্তি যেন দালাল চক্রের হাতে না পড়ে সেই জন্য অত্র থানায় বিভিন্ন ধরনের সার্ভিস চালু করা হয়েছে। এই সার্ভিসের জন্য বিভিন্ন জায়গায় লোক মোতায়েন করা রয়েছে।
তিনি জানান, অনেকেই জানেন না কিভাবে জিডি লিখতে হয়, আমরা তাকে এর নমুনা দেখাই। প্রয়োজনে যে ব্যক্তি নিখোঁজ, মোবাইল হারানো বিভিন্ন দলিল পত্র হারানো, জাতীয় পরিচয় পত্র হারানো সহ ইত্যাদি হারানো জিডি সহ বিভিন্ন ধরনের জিডি র্নিভূলভাবে কম্পিউটার করে আবেদন কারীর স্বাক্ষর গ্রহন করে তাহা ডিউটি অফিসার দ্বারা রেজিস্টার এন্ট্রি’র পর এক কপি জন সাধারন কে বুঝিয়ে দেয়া হয়। আর এসব করা হয় কোতোয়ালি থানা পুলিশের পক্ষ থেকে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2l5HHxm
October 21, 2017 at 11:37PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন