মো. আবুল কাশেম,বিশ্বনাথ প্রতিনিধি :: নিজ উদ্যোগে বসত বাড়িকেই শখের খামার বানিয়েছেন সিলেটের বিশ্বনাথের সৌখিন চাষি আনোয়ার হোসেন। উপজেলার জানাইয়া গ্রামে ‘ফাতেমা-ডালিম-ডালিয়া’ নামে তার গড়ে তোলা খামারে রয়েছে গবাদী পশু, হরিণ ও দেশী-বিদেশী হরেক প্রজাতির পাখি।
কোনো ধরণের কীটনাশক ছাড়াই আনোয়ারের খামারে বারমাস চাষ হয়ে আসছে শাক-সবজি, ফলমুল ও নানা প্রজাতির মাছের। যা প্রতিনিয়ত তার পরিবারের চাহিদা মেটাচ্ছে। এছাড়াও পুরো খামারের সিংহভাগ অংশের স্থানে স্থানে রয়েছে দৃষ্টিনন্দন ফুলের সমাহার। এলাকায় বাড়িটি বাগানবাড়ি নামেই পরিচিত।
সরজমিন আনোয়ার হোসেনের বাড়ি ঘুরে দেখা যায়, পুরো বাড়িটাই খামার বাড়ি হিসেবে গড়ে তুলেছেন তিনি। জানা যায়, সরকারের ‘একটি বাড়ি একটি খামার’ প্রকল্প চালু হওয়ার অনেক আগেই আনোয়ার হোসেন নিজের বাড়িকে একটি পরিপূর্ণ খামারে রূপান্তরিত করেন। উপজেলার প্রথম চাষি হিসেবে তিনিই প্রথম ভেজাল খাবার ক্রয় না করে কিভাবে বসত বাড়ির আঙ্গিনা-পুকুর ব্যবহার করে পরিবারের খাদ্যের সিংহভাগ চাহিদা মেটানো যায়, সে উপায় দেখান।
তার পারিবারিক রান্নাবান্নার কাজে খামারেই উৎপাদিত প্রাকৃতিক বায়ূগ্যাসও ব্যবহার হয়ে আসছে। এছাড়াও, আনোয়ার হোসেনের বসতঘরের প্রতিটি কক্ষে রয়েছে বিচিত্র সব সংগ্রহশালা। সব মিলিয়ে অনেকটা ছোট পার্কের মতো মনের মাধুরী মিশিয়ে সাজিয়েছেন তিনি তার খামার বাড়ি।
আনোয়ার হোসেন জানান, ‘প্রথমে মাত্র দুটি হরিণ নিয়ে যাত্রা শুরু হয় ‘ফাতেমা-ডালিম-ডালিয়া’ খামারের। ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্রজাতির পশুপাখি পালন শুরু করি। সেই সাথে বসতঘরের আশেপাশে পড়ে থাকায় জায়গায় সবজি ও ফলমুল চাষের মাধ্যমে বৃদ্ধি করি খামারের পরিধি। এখন এই খামারে অনেক কিছুই উৎপাদন হয়।’
এব্যাপারে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আলিনুর রহমান বলেন, আনোয়ার হোসেনের মত প্রত্যেকেই যদি বসত বাড়িতে খামারের আদলে কৃষিপণ্য উৎপাদন করতেন, তাহলে তাজা ও নির্ভেজাল ফলমুল পাওয়া যেত। তাতে করে পারিবারিকভাবে শাকসবজি ও মাছের চাহিদা মেটানো সম্ভব হত। একই সাথে সহজেই বাস্তবায়িত হত সরকারের ‘একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প’।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2hPaViI
October 05, 2017 at 04:49PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন