লজ্জার হার! কি নির্মম। অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজারও কল্পনার বাইরে। এমনটা কিভাবে হলো? ২৭৯ রান তাড়া করা স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার একটাও উইকেট ফেলা গেলো না? কিন্তু অধিনায়ককে কি ভেঙে পড়লে চলে? বুধবার সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে। বড় বেশি গুরুত্বপূর্ণ। সিরিজ বাঁচানোর লড়াই। তাই আশা নিয়েই মাশরাফি বলছেন, আমরা তো সম্ভব সবকিছুই করছি। ফলটাই কেবল আসছে না পক্ষে। কিন্তু আমাদের মানসিক ভাবে ইতিবাচক থাকতে হবে। খেলা শুরু বাংলাদেশ সময় দুপুর দুইটায়। সেই ইতিবাচক মানসিকতাই হতে পারে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের ব্রক্ষ্মাস্ত্র! এই প্রোটিয়াদের না দেশের মাটিতে ২০১৫ সালে ২-১ এ সিরিজ হারিয়ে দিয়েছিল বাংলাদেশ? কিন্তু এবার প্রতিপক্ষের মাটিতে নাজেহাল অবস্থা। টেস্টের পর ওয়ানডেতেও। একটা ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ হারার চোখ রাঙানী। তারপর থাকে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার লজ্জার ডাক! নাহ। জিততেই হবে। পার্লে ২০১৩ সালের পর আবার ম্যাচ হচ্ছে। ওয়ানডে আন্তর্জাতিক। পরে ব্যাট করে লো স্কোরিং ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ১ উইকেটে হারিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকাকে। এটা হতে পারে টাইগারদের প্রেরণা। তার ওপর তামিম ইকবাল ফিরে আসছেন দলে, এমনটাই জানা যাচ্ছে কেপ টাউনে দলের ভেতর থেকে। এও অবশ্য শোনা যাচ্ছে, তামিম ইচ্ছে করেই প্রথম ওয়ানডেটা খেলেননি। কোচের সাথে ঝামেলার শোধ তুলেছেন। দেশের সেরা ব্যাটসম্যান অবশ্য তা উড়িয়ে দিয়ে বলেছেন, তার না খেলার সিদ্ধান্তটা ছিল ফিজিওর। বোল্যান্ড পার্কে তামিমের দেখা মিলবে আশা করা যায়। সৌম্য সরকারের না। কারণ, প্রথম ওয়ানডেতে লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস ভালোই শুরু করেছিলেন। কিন্তু এই সফরটা যে ভাগ্যহীন হয়ে দাঁড়িয়েছে টাইগারদের জন্য! দুই টেস্টে বাজে হার। একটাতে ইনিংস পরাজয়। প্রস্তুতি ওয়ানডে ম্যাচে হার। ৩২ ম্যাচের সিরিজের প্রথমটিতে রেকর্ড গড়া লজ্জার ১০ উইকেটের হার। এই সফরে এখন পর্যন্ত পাওয়া বলতে মুশফিকুর রহীমের প্রথম ওয়ানডেতে ১১০ রানের অপরাজিত ভয়-ডরহীন ইনিংসটা। উদাহরণ দেওয়ার মতো। কিন্তু সেই সেঞ্চুরিও তো কুইন্টন ডি ককের ১৬৮ এবং হাশিম আমলার ১১০ রানেই বৃথাই গেলো! কিন্তু টাইগার বলে কথা। আহত বাঘ। ঝাঁপিয়ে তারা পড়তেই পারে। কিন্তু ব্যাটসম্যানদের যেমন দায়িত্ব নেওয়াটা জরুরি, তেমন বোলারদের ঝাঁপিয়ে পড়ার দরকার তো আছে। আগের ম্যাচে রুবেল, মাশরাফি, তাসকিন, সাইফ, সাকিব, কোনো বোলারকেই তো হুমকি মনে হলো না! আর সবাই জানে, ক্রিকেটে তিন ডিপার্টমেন্টে একসাথে জ্বলে না উঠতে পারলে কপালে সাধারণত পরাজয় বা লজ্জার তিলকই লাগে। কিন্তু যখন কিছুই করার থাকে না তখন তো প্রবল হুহুঙ্কারে সর্বশক্তিতে প্রতিপক্ষের ওপর হামলে পড়া যায়! আর মাশরাফিরা তেমনটা যখনই করেছেন কোনো প্রতিপক্ষই কিন্তু টিকতে পারেনি সামনে। এবার? সিরিজ হার পার্লেই নাকি শেষ উত্তেজনা নিয়ে অপেক্ষায় থাকবে ২৯ তারিখের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেটা? তথ্যসূত্র: পরিবর্তন এআর/১৯:১০/১৭ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2gozYZB
October 18, 2017 at 01:06AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন