নিজস্ব প্রতিনিধি:: ওসমানীনগরের গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ ৪৯৫ জন কৃষকদের মধ্যে খাবারের অনুপযোগী পাথরযুক্ত চাল বিতরণ করা হয়েছে। এমন চাল পেয়ে ক্ষুব্ধ এলাকার কৃষকরা। খাবারের অনুপযোগী হওয়ায় প্রাপ্ত চাল গুলো গরুকে খাওয়ানোর চিন্তা করছেন তারা।
জানা যায়, ভিজিএফ’র আওতায় গতকাল মঙ্গলবার গোয়ালাবাজারের ইউনিয়নের তালিকাভুক্ত ৪৯৫জন কৃষকের মধ্যে ৩০ কেজি হারে চাল ও নগদ ৫’শ টাকা হারে বিতরণ করা হয়। ৩ দফা ফসল হারানো কৃষকরা চাল ও টাকা পেয়ে আনন্দিত হলেও চালের বস্তার সেলাই খোলা মাত্র সেই আনন্দ বিলিন হয়ে যায়। বস্তায় রয়েছে পাথর মিশ্রিত গুড়া ও চাল চাল। যা খাবারের অনুপযোগী বলে জানিয়েছেন কৃষকরা।
সরেজিমনে, ‘‘ শেখ হাসিনার বাংলাদেশ ক্ষুধা হবে নিরুদ্দেশ, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচী, খাদ্য অধিদপ্তর, খাদ্য মন্ত্রনালয়, নেট ওজন ৩০ কেজি, উৎপাদনের মাস জানুয়ারী ২০১৭, চন্দ্র দীপ কনট্রাকশন’’ লেখা চালের বস্তা সেলাই খোলে দেখা যায়, অধিকাংশ চাল ভাঙা ও লাল এবং সাথে রয়েছে পাথর মিশ্রিত।
গোয়ালাবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মানিক বলেন, চাল গুলো অত্যন্ত নিম্নমানের। পাথর মিশ্রিত এসব চাল খাবার অনুপযোগী। চাল গুলো পার্শ্ববর্তি উপজেলার খাদ্য গুদাম থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে বর্তমান সময়ে ভিজিডি প্রকল্পের আওতায় মহিলাদের মধ্যে ৩০ কেজি হারে যে চাল বিতরণ করা হচ্চে তা খুবই নিম্নমানের বলে জানিয়েছেন সাদীপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবদুর রব, দয়ামীর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাজ মোহাম্মদ ফখর এবং বুরুঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এমজি রাসুল খালেক।
এমজি রাসুল খালেক বলেন, যারা ভিজিডির চাল পেয়েছে তা খুবই নিম্নমানের। কোন ফকিরও এমন চাল খাবে না। গ্রহীতাদের কাছ থেকে চাল গুলো এনে তা ফেরৎ দিতে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করছেন বলে জানান তিনি।
বিশ্বনাথ খাদ্যগুদামের ভারপ্রাপ্ত কমকতা সবিতা দেব বলেন, যারা চাল নেয় তারা দেখেশুনোই নেয়। মোবাইলে সমস্যা রয়েছে জানিয়ে আর কোন কথা বলতে চাননি তিনি।
এব্যাপারে সিলেটের জেলা প্রশাসক রাহাত আনোয়ার বলেন, খোঁজ নিয়ে এব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2hNNEh4
October 04, 2017 at 08:08PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন