ঢাকা, ০১ অক্টোবর- সংবাদ সম্মেলন কক্ষে বড় করে লিখা,বাংলাদেশ ক্রিকেট প্রশাসন-কোন পথে? আলোচক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি সাবের হোসেন চৌধুরী। বোর্ডের নির্বাচন, এজিএম-ইজিএম ঘনিয়ে আসায় গত কিছুদিন ধরেই লাইমলাইটে সাবের হোসেন। রাত পোহালেই চার বছর পর ক্রিকেট বোর্ডের বহুকাঙ্খিত এজিএম-ইজিএম। দেশের ক্রীড়াঙ্গনের সবচেয়ে বিত্তশালী নিয়ন্ত্রক সংস্থার এজিএম এবং ইজিএম নিয়ে সরগরম ক্রীড়াঙ্গন। জানা গেছে, ২০১২ সালের গঠনতন্ত্র বাদ দিয়ে নতুন করে সংশোধিত গঠনতন্ত্র তৈরি করেছে বিসিবি। সোমবারের এজিএমে আলোচনার ভিত্তিতে সংশোধিত গঠনতন্ত্র-২০১৭ পাস করা হবে বলে জানিয়েছে বিসিবির একটি সূত্র। ক্রিকেট বোর্ড যখন উৎসবের অপেক্ষায় ঠিক তখনই সংবাদ সম্মেলন ডাকলেন সাবের হোসেন চৌধুরী। আলোচনার বিষয়বস্তু ক্রিকেট প্রশাসন। দীর্ঘক্ষণ ক্রিকেট প্রশাসন নিয়ে বিভিন্ন আলোচনা করলেও দুটি ইস্যু বড় আকার ধারণ করেছে। প্রথমটি ছিল, বিসিবি কি সরকারের থেকে আলাদাভাবে কাজ করতে চায় কি না? দ্বিতীয়টি ছিল, নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বিসিবির বর্তমান কমিটি যে সংবিধানের অধীনে নির্বাচিত হয়েছিল - তা বৈধ ছিল নাকি ছিল না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির কার্যক্রম কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না-তা জানতে চেয়ে গত ২৬ সেপ্টেম্বর রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আবারও বোর্ড বৈধ নাকি অবৈধ সেই প্রশ্ন তুলে সাবের হোসেন চৌধুরী আজ বলেন,এখন সুপ্রিমকোর্ট, হাইকোর্টের জাজমেন্ট বহাল রাখল এবং সেই হাইকোর্টের জাজমেন্টে কী ছিল? হাইকোর্টের জাজমেন্টে কিন্তু কোন গঠনতন্ত্রে নির্বাচন হবে এটা নিয়ে কোনো কিছু ছিল না। ছিল, এনএসসি সংশোধনী যে গঠনতন্ত্র অনুমোদন করল বা এনএসসি যে সংশোধনী দিল সেটি বৈধ নয়! সেটিই কিন্তু ছিল রিটের মূল বিষয়। পরবতীতে সুপ্রিম কোর্টে আপহেল্ড করা হল। এখন যে গঠনন্ত্রকে হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট দুজনই এটার কোনো বৈধতা নেই। সেটার অধীনে যদি কোনো প্রক্রিয়া হয়, সেটার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন আসতেই পারে। আমি একটি চিঠিতে জানিয়েছি। আমি ওই চিঠিতে আমি আমার কোনো অধিকারের কথা বলিনি। আমি বলেছি আমার নামটা ওখান (কাউন্সিলর তালিকা) থেকে সরিয়ে নিতে। কেননা এই জাজমেন্টের আলোকে আমি আর কাউন্সিলর থাকতে পারি না। যদি বলা হয় গঠনতন্ত্র অবৈধ তখন? যে কাজগুলো হয় তার কিন্তু বৈধতা থাকতে হবে।-যোগ করেন সাবের। তবে হাইকোর্ট বিসিবির এজিএম-ইজিম করতে কোনো বাধা দেয়নি। তবে এজিএম-ইজিএমের সময় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাবের। তার ভাষ্য,এজিএম তিন বছর পর কেন আয়োজন করতে হবে। নির্বাচনের পরপরই এটা আয়োজন করা যেত। এখন তারা এজিএম করছে কারণ শেষ সময়ে চাপের মধ্যে থেকে এটা করে ফেলতে চাচ্ছে। তারা আমাকে কাউন্সিলর হিসেবে যাওয়ার জন্য আবেদন করেছে।কিন্তু আমি বিসিবিকে জানিয়েছে, যেহেতু কোর্ট জানিয়েছে বর্তমান কমিটি অবৈধ তাই আমিও কাউন্সিলর হিসেবে বৈধ নই। বিসিবির কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্ন, বিতর্কের কথা বললেও ক্রিকেটে সাফল্যের জন্য বোর্ডকে ধন্যবাদ দিতে ভুল করেননি। ক্রিকেট আরও ভালোভাবে পরিচালনার জন্য প্রয়োজন সুশাসন। তাই মাঠের পারফরম্যান্সের বাইরে ব্যবস্থাপনা ও পরিচালনা পরিষদের অফ দ্য ফিল্ড পারফরম্যান্সও আপ টু মার্ক চান বিসিবির প্রাক্তন সভাপতি। ২০১৩ সালে প্রথম নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে বিসিবির দায়িত্ব নেন নাজমুল হাসান পাপন। আগামী ১৩ অক্টোবর শেষ হয়ে যাবে নাজমুল হাসান পাপনের নেতৃত্বাধীন বিসিবির বর্তমান কমিটির মেয়াদ। এদিকে সাবের বক্তব্য নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি বিসিবির কোনো পরিচালক। তবে এজিএম নিয়ে বিসিবির সিনিয়র সহ-সভাপতি মাহবুব আনাম বলেছে,জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শুধু এখতিয়ার আছে গঠনতন্ত্রের পরিবর্তন হলে সেটা অনুমোদন কিংবা প্রত্যাখ্যান করার। আমরা আমাদের লিগ্যাল অ্যাডভাইজরদের সঙ্গে কথা বলে যেসব জায়গায় পরিবর্তনের প্রয়োজন সেসব জায়গায় পরিবর্তন আনছি। এজিএমের মাধ্যমে সেগুলো পাশ করবে বিসিবি। এজন্য বিসিবির এজিএম বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) ও বিশেষ সাধারণ সভা (ইজিএম) হবে সোমবার। রাজধানীর লা মেরিডিয়ান হোটেলে সকাল ১১টায় শুরু হবে এজিএম। দুপুর ১টায় শুরু হবে ইজিএম। এআর/২১:২৮/০১ অক্টোবর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2xSy9KO
October 02, 2017 at 03:28AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন