নিজস্ব প্রতিনিধি:: সিলেটের ওসমানীনগরে গজিয়া গ্রামের ৮ পরিবারের সদস্যদের রাস্তা দিয়ে চলাচলের বাধার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে সিরাজ মিয়া নামক এক ব্যক্তির কারণে আট পরিবারের সদস্য জিম্মি হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগে উলেখ করা হয়।
গত ২৫শে অক্টোবর ৮ পরিবারের পক্ষে শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র ও চাকরিজীবিসহ বিভিন্ন পেশাজীবি এর প্রতিকার চেয়ে ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
জানা যায়, উপজেলার সাদিপুর ইউপির গজিয়া গ্রামের ৮ পরিবারের সদস্যরা প্রায় দুইশত বছর পুরোনো রাস্তায় চলাচল করে আসছিলেন। রাস্তাটি বেশ কয়েকবার পারিবারিক এবং সরকারীভাবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে মেরামতও করা হয়। কিন্তু একই বাড়ীর উত্তর দিকের বাসিন্দা মৃত ঠাকুর উলার পুত্র সিরাজ মিয়া প্রতিহিংসায় রাস্তাটিতে ৮ পরিবারের সদস্যদের রাস্তায় চলাচল এবং সংস্কার করতে বাধা প্রদান করেন। এবং রাস্তার এক পাশে ইটের দেয়াল তৈরী করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন।
এ বছর রাস্তাটি বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ব্যক্তিগতভাবে রাস্তাটি আট পরিবারের সদস্যরা সংস্কার করতে গেলে সিরাজ মিয়া কাজে বাধা দেন। এতে এই আট পরিবারের ছাত্র-ছাত্রী, সরকারী চাকরীজীবিসহ প্রায় ৪০জন সদস্য রাস্তায় চলাচল করতে পারছেন না। এ ঘটনায় ৮টি বাড়ীর বাসিন্দারা স্থানীয় জনপ্রতিনিধির নিকট ধারস্থ হয়েও কয়েকবার সালিস বৈঠক করেও সিরাজ মিয়ার অব্যাহত বাধার কারণে বিষয়টির কোন সমাধান করতে পারেন নি। এত বাড়ীর বাসিন্দারা কোন প্রতিকার না পাওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট একটি অভিযোগ দাখিল করেন।
বাড়ীর বাসিন্দা ছালিক আহমেদ বলেন, রাস্তাটি দিয়ে আমরা দীর্ঘ দিন ধরে চলাচল করে আসছি। বন্যা হলে রাস্তায় কোমর পানি হয়। সম্প্রতি বন্যায় রাস্তাটি আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে হাটু সমান কাদার সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ব্যক্তিগতভাবে রাস্তাটিতে মাটি ভরাট করতে গেলে বাড়ীর উত্তর দিকের বাসিন্দা সিরাজ মিয়া বাধা দিয়ে রাস্তায় চলাচল করতেও নিষেধ করেন। এ কারণে আমার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে তার নানার বাড়ীতে অবস্থান করে পরিক্ষায় অংশ নেয়। আমরা প্রশাসনের কাছে সুষ্ট প্রতিকার চাই।
সাদিপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব বলেন, আমরা ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে এই রাস্তাটি নিয়ে কয়েকবার সালিসে বসার পর ছালিক আহমদসহ বাড়ীর অন্য বাসিন্দারা বিচার মানলেও সিরাজ মিয়া আমাদের করা বিচার মানেন নি। এজন্য বিষয়টি নিষ্পত্তি হয় নি।
স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য বখতিয়ার হোসেন বলেন, রাস্তাটি আমি ইউনিয়ন পরিষদেও পক্ষ থেকে সরকারীভাবে বিভিন্ন সময় কাজ করে দিয়েছি। কিন্তু হঠাৎ করে সিরাজ মিয়া অন্যদের রাস্তায় চলাচলে বাধা দিলে আমরা মিমাংসার চেষ্টা করলেও সিরাজ মিয়ার অসহযোগিতার কারণে বিষয়টি মিমাংসা হয়নি।
ওসমানীনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সহিদ উল্যা বলেন, রাস্তাটির সমস্যার বিষয়ে বাড়ির কয়েকজন লোক আমার কাছে এসেছিল। বিষয়টি আমি খোজ নিয়ে দেখতেছি।
ওসমানীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, বিষয়টি আমার স্মরণ নেই, আমি দেখে বলতে হবে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2h1rxUk
November 01, 2017 at 11:22PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন