সিলেট, ০৮ নভেম্বর- রংপুর রাইডার্সের তিন উইকেট পরে গিয়েছিল। তবুও তারা জয়ের দিকে আগাচ্ছিল দুই ব্যাটসম্যান শাহরিয়ার নাফীস ও রবি বোপারার কাঁধে চড়ে। জয়ের স্বপ্ন দেখছিলেন রংপুরের সমর্থকরাও। কিন্তু সেই স্বপ্নকে দুঃস্বপ্নে পরিণত করতে মাত্র একটি ওভার নেন তাসকিন আহমেদ। ইনিংসের ১৪তম ওভারে পর পর তিন বলে তিন উইকেট তুলে নিয়ে চিটাগং ভাইকিংসের জয়কে একেবারে সহজলভ্য করে দেন তাসকিন। ফলাফল, ১১ রানের জয় মিসবাহ-উল হকের চিটাগং ভাইকিংসের। যেটি এ বিপিএলে তাদের প্রথম জয়। ১৬৭ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রংপুর শিবিরে শুরুতেই ধাক্কা দেন চিটাগংয়ের বোলার সানজামুল ইসলাম। দলের মাত্র ২ রানের সময়ই প্রথম ম্যাচে দুর্দান্ত খেলা জনসন চার্লসকে ফেরান সানজামুল। রংপুর এ ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই দলীয় ২০ রানের সময় শুভাশিস রায় তুলে নেন জিয়াউর রহমানের উইকেটটি। এরপর মোহম্মদ মিথুন ও রবি বোপারা মিলে দলকে ৫৬ রান পর্যন্ত নিয়ে যায়। এরপর ব্যক্তিগত ২৩ রানে মিথুনকে ফেরান লুইস রিস। তবে জয়ের পথে যখন স্বাচ্ছন্দে এগুচ্ছিলো রংপুর, তখনই এক ওভারে বড় ধাক্কাটি দিয়ে দেন তাসকিন আহমেদ। তাসকিনের এমন ধাক্কার পর কেমন যেন দিশেহারা হয়ে পড়ে মাশরাফির রংপুর। যেন পাল ভেঙ্গে যাওয়া নৌকায় পরিণত হয় পুরো দল। উল্লেখযোগ্য আর কেউ কিছুই করতে পারেনি। তবে খেলার মধ্যে মাসরাফি-শুভাশীস দ্বন্দ্ব কিছুটা উত্তেজনা ঠিকই ছড়িয়েছিল! এদিকে দুর্দান্ত বোলিং করা তাসকিন ৪ ওভার বল করে ৩১ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৩টি উইকেট। আর একটি রান আউট তো ছিলই । রিচি নিয়েছেন ২টি উইকেট। সাঞ্জামুল আর শুভাশীস তুলে নিয়েছেন ১টি করে উইকেট। এর আগে লুক রনকির আগ্রাসী ব্যাটিং দেখে মনে হচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত চিটাগং বড় সংগ্রহ দাঁড় করাতে যাচ্ছে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে। লুক রনকি যখন আউট হন, তখন দলীয় সংগ্রহ ৯৯ রান কিন্তু ওভার মাত্র ৮ ওভার ৫ বল। রনকির আউটের পরই অনেকটা থেমে যায় রানের চাকা। না হয় এমন শুরুর পরও চিটাগংয়ের ইনিংস থামে মাত্র ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬৬ রানে। ম্যান অব দ্যা ম্যাচের পুরস্কার ওঠে দুর্দান্ত বোলিং করা তাসকিন আহমেদের হাতে। আর এক্সাইটিং প্লেয়ারের পুরস্কার পান ১৯ বলে হাফসেঞ্চুরি করা লুক রনকি। সূত্র: জাগোনিউজ২৪ আর/১৭:১৪/০৮ নভেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2ArDBTz
November 09, 2017 at 12:09AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top