গত এপ্রিলে শাকিব খান অভিনীত রংবাজ ছবির শুটিং বন্ধ করা হয় চলচ্চিত্রের দুই অংশের বিবাদের জেরে। সেই ঘটনাকে মনে রেখেই দুঃখ প্রকাশ করেন শাকিব। বাংলাদেশে শুটিং করার ক্ষেত্রে আগ্রহ হারাচ্ছেন দেশের প্রযোজকরা, এমনটাই জানালেন ঢাকাই ছবির জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খান। এর কারণ হিসেবে শাকিব বলেন, দেশে শুটিং করার সময় নানা সময়ে, নানা কারণে শুটিং বন্ধ রাখতে হয়। তাই দেশে নয়, দেশের বাইরেই বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন ছবির প্রযোজক ও পরিচালক। গত রোববার থাইল্যান্ডে যাওয়ার আগে সঙ্গে শাকিব খান বলেন, বাংলাদেশে শুটিং করতে সবাই অনিরাপদ বোধ করছে। এখানে শুটিং শুরু করলে শেষ করতে পারব কি না, তা নিয়ে সবাই শঙ্কিত থাকে। এমন অবস্থায় কেউ শুটিং করতে চায় না বাংলাদেশে। গল্পের প্রয়োজনে সারা পৃথিবী আমাদের কাছে উন্মুক্ত। আমরা প্রয়োজন হলে হলিউড-বলিউড যেখানে প্রয়োজন, শুটিং করতে পারি। কিন্তু এখানে আমি নিরাপদে কাজটি করতে পারি না। এ জন্য আমাকে যেতে হয় দেশের বাইরে। এটা আমাদের ইন্ডাস্ট্রির জন্য লজ্জাজনক ব্যাপার। শাকিব বলেন, যখন একটু ভালো সিনেমা হলেই হিট হচ্ছে। দর্শক হুমড়ি খেয়ে পড়ছে সিনেমা হলে। অথচ সেই দেশে সিনেমার ব্যবসা করতে এত বাধা। এখান থেকে বাধা আসবে, ওখান থেকে বাধা আসবে। বিভিন্ন জায়গা থেকে ভয় দেখানো হয়। এত ভয় নিয়ে কে সিনেমা করবে? আমি একটা সেটে শুটিং করছি, তখন যদি আমার কানের কাছে বারবার বলা হয়, ডায়ালগ একটু তাড়াতাড়ি দেন, কারণ যেকোনো সময় কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে, তখন কাজ করবেন কীভাবে? এমন হলে কি আমি অভিনয়টা করতে পারব? শাকিব মনে করেন, দেশের চলচ্চিত্রকে বাঁচাতে সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে। সহযোগিতা তো লাগবেই, প্রয়োজনে সরকারকে কঠোর হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন শাকিব। কথায় কথায় চলচ্চিত্রে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করারও সমালোচনা করেন তিনি। বলেন, ভালোকে ভালো, মন্দকে মন্দ বলতে পারব না, সত্য বলতে পারব না। কথা বললেই ব্যান্ড, আমিই হামলা-মামলার শিকার হচ্ছি। এরপর আর সাহস পাবে কে, সবাই তো ভীত হয়ে যাচ্ছে। যারা কাজের পরিকল্পনা করছিল, তারা পিছিয়ে যাচ্ছে। বড় মাপের প্রযোজকদের সমস্যা না হলেও যারা অল্প পুঁজির প্রযোজক, তারা সমস্যার মুখোমুখি হচ্ছে বেশি। এমনটাই মনে করেন শাকিব। বড় প্রযোজক দেশের বাইরে গিয়ে ছবির কাজ করতে পারবে। কিন্তু অন্যরা কীভাবে ব্যবসা করবে? শাকিবের অভিযোগ, যাদের কারণে এমনটা হচ্ছে, তারা সংখ্যায় বেশি নয়। তিনি বলেন, হাতেগোনা চার-পাঁচজন মানুষের কথায় এমন হচ্ছে। এমন সময় সবাইকে সাহসী হতে হবে। চলচ্চিত্রের সুদিনের জন্য সংগ্রাম করতে হবে। দর্শক তো সাহস দেখাচ্ছে, আমি একের পর কাজ করে যাচ্ছি। দুষ্ট শক্তিকে প্রথমে মনে হয় অনেক শক্তিশালী, আবার ভালো শক্তি যখন উঠে দাঁড়ায়, তখন খারাপ শক্তি পালানোর পথ পায় না। আমার মনে হয় এখনই সময়, সবারই ভালো কাজের সঙ্গে থাকা উচিত। গ্রুপিং-লবিং করার সময় এটা নয়। থাইল্যান্ড থেকে ফিরেই নোলক ছবির শুটিং শুরু করবেন শাকিব। তবে এই ছবির জন্যও তিনি দেশের বাইরে যাবেন। তথ্যসূত্র: এনটিভি এআর/১৪:২৩/০৭ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2j764Ku
November 07, 2017 at 08:22PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন