হবিগঞ্জে গণপূর্ত প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিনিধি:: কাজ না করিয়ে হবিগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের একাধিক প্রকল্পের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। নানা অজুহাতে এসব প্রকল্পের টাকা ফেরত দিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী। অথচ প্রতিটি কাজই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শুধু তাই নয়, নির্বাহী প্রকৌশলী সাদ মো. আন্দালিবের বিরুদ্ধে উঠেছে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ। তিনি পছন্দের ঠিকাদার না পেলে একাধিকবার দরপত্র আহ্বান করেন। এমনকি বারবার দরপত্র আহ্বান করতে গিয়ে প্রকল্পের মেয়াদ পর্যন্ত পার করে দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী সাদ মো. আন্দালিব জানান, যেসব প্রজেক্ট শেষ হয়ে গেছে, আর কাজ নেই সেসব প্রকল্পের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। আসলে এটিকে ফেরত নয়, সাশ্রয় বলে। আর সদর হাসপাতালের উন্নয়নের টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে কারণ, চাহিদার চেয়ে বরাদ্দ কম এসেছিল। এ টাকা দিয়ে কাজটি সম্পন্ন করা সম্ভব ছিল না বলেই ফেরত দেয়া হয়েছে।

অনিয়মের বিষয়ে তিনি বলেন, দরপত্র আহ্বান করার পর প্রয়োজনীয় দরদাতা পাইনি। তাদের পর্যাপ্ত কাগজপত্র ছিল না। তাই আবারও দরপত্র আহ্বান করতে হয়েছিল। ইতিমধ্যে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। আমরা আবারও লিখেছি এ প্রকল্পের কাজটি করানোর জন্য। আর নবনির্মিত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ভবনের রাস্তার কাজটি করানো হয়নি, কারণ ভবনের কাজ এখনও শেষ হয়নি। এর আগে কাজ করানো হলে মালামাল আনা-নেয়ায় রাস্তাটি পুনরায় ভেঙে যাবে।

জানা যায়, শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার স্টেশনের উন্নয়নমূলক কাজের ২ লাখ, হবিগঞ্জ সার্কিট হাউসের (নতুন ও পুরাতন) কক্ষ ও বারান্দায় টাইলস স্থাপনসহ টয়লেটসমূহে স্যানিটারি ফিটিংস নবায়ন কাজের জন্য ১৪ লাখ ৩৭ হাজার ৫৯৩ টাকা, ১০০ শয্যাবিশিষ্ট আধুনিক সদর হাসপাতালের দক্ষিণ ব্লকের বিভিন্ন ওয়ার্ডের টয়লেট ও বাথরুমের স্যানিটারি ফিটিং ফিক্সিং নবায়নসহ টাইলস স্থাপন কাজ এবং ২৫০ কেভিএ বৈদ্যুতিক সাবস্ট্রেশনের নষ্ট অকোজো এইচটি সুইচ গিয়ার পরিবর্তন কাজের ৫ লাখ ১৯ হাজার ৯৪২ টাকা, লিখিতভাবে ঢাকায় ফেরত পাঠানো হয়েছে।

প্রতিটি কাজেরই একাধিকবার টেন্ডার আহ্বান করা হয়। এছাড়া নির্মাণাধিন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট বিল্ডিংয়ের অভ্যন্তরীণ আরসিসি রোড নির্মাণকাজের ৩৪ লাখ ৪৭ হাজার ৭৩১ টাকার দরপত্র আহ্বান করার ৭ মাস পেরিয়ে গেলেও তার ফলাফল স্থগিত করে রাখা হয়েছে।

ঠিকাদারদের অভিযোগ, নিজের পছন্দসহ ঠিকাদার না পেলে তিনি টেন্ডার স্থগিত করে রাখেন। একাধিকবার দরপত্র আহ্বান করেন। অনেক সময় বারবার দরপত্র আহ্বান করতে গিয়ে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়।

এখন ই-টেন্ডার যুগে এসেও তিনি এমন অনিয়ম করছেন। ইতিমধ্যে ঠিকাদাররা তার অনিয়মের বিষয়ে সিলেট সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2Aj9fFT

November 29, 2017 at 09:57PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top