ঢাকা, ১২ নভেম্বর- ডা. এজাজ তারকাখ্যাতি পেয়েছে নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের নাটকে অভিনয় করে। পেশাগত জীবনে চিকিৎসক হলেও অভিনয় করেন প্রাণের টানে। অভিনেতা হিসেবে দেশজুড়ে রয়েছে তার খ্যাতি। ব্যক্তিগত জীবনে হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে ছিল তার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। আগামীকাল ১৩ নভেম্বর (সোমবার) হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন। বিশেষ এই দিনটিতে হুমায়ূন আহমেদকে শ্রদ্ধা জানাতে প্রতিবেদকের মুখোমুখি হয়েছিলেন এজাজ। শুনিয়েছেন হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে কাজ করার নানা অভিজ্ঞতা। একইসঙ্গে বলেছেন তার চিকিৎসা পেশার বর্তমান ব্যস্ততার খবর। এই সময়ের ব্যস্ততার খবর জানতে চাই? পেশাগতভাবে তো আমি চিকিৎসক। এটা প্রায় সবাই জানেন। চিকিৎসক হিসেবে ব্যস্ততা রয়েছে। তার পাশাপাশি নাটকে অভিনয় করছি। আমার অভিনীত একাধিক ধারাবাহিক নাটক বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে। আমি সাধারণত ছুটির দিনে শুটিং করি। পরিচালকেরা আমাকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেন। হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা শুনতে চাই? আমাকে অভিনেতা হিসেবে সবার কাছে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন হুমায়ূন স্যার। এর আগে মঞ্চনাটকে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা ছিল, স্কুল-কলেজের বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছি। কিন্তু টিভি নাটকে অভিনয় করে যে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি। তার পেছনে একজনেরই অবদান। তিনি হুমায়ূন আহমেদ। স্যার আমার কাছে সব সময় বিস্ময়! তার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে অনেক কিছু শিখেছি। এখনো কাজ করতে গিয়ে স্যারের কথা খুব মনে পড়ে। সেই সময় আর এই সময়ের মাঝে কেমন পার্থক্য দেখেন? এখন নাটকের সংখ্যা বেড়েছে। কিন্তু মান খুঁজতে গেলে কিছুটা হতাশই হতে হবে। আগে একটা নাটকে অভিনয় করে যে পরিমাণ মানুষের প্রতিক্রিয়া পেয়েছি; এখন তো ৪০টা নাটকে অভিনয় করেও সেটা পাচ্ছি না। এখন নাটকের বাজেট, নির্মাণ সবকিছুর সঙ্গেই আপোষ করা হচ্ছে। আপোষ করে কখনো ভালো নাটক নির্মাণ সম্ভব নয়। আমাদের অনেক মেধাবী নির্মাতা, শিল্পী আছেন। তাদের ভালো বাজেট দিতে হবে। তবে ভালো নাটক অবশ্যই নির্মাণ হবে। হুমায়ূন আহমেদের সঙ্গে কাজের ভিন্ন কোনো অভিজ্ঞতা যদি শেয়ার করেন? এটা বলা আমার জন্য খুবই কঠিন। আমার তো স্যারের সঙ্গে শুধু অভিনয় নিয়ে সম্পর্ক ছিল না। ব্যক্তিজীবনের সঙ্গেও জড়িয়ে ছিলাম। তাই আলাদা করে ভিন্ন অভিজ্ঞতা বলা কঠিন। সব সময় তো নানা রকম অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে গিয়েছি। স্যার কাজের ব্যাপারে খুবই সিরিয়াস ছিলেন। আবার মজা করার সময় আরেক রকম। শিল্পীকে দিয়ে কিভাবে অভিনয় বের করে নিতে হয় সেটা স্যার জানতেন। স্যারকে আমার যাদুকর মনে হতো। তিনি এমন কিছু করতে যার মধ্য দিয়ে অভিনয়শিল্পী তার কাজটা ঠিকভাবে করে নিতে পারতেন। চিকিৎসক এজাজ প্রসঙ্গে জানতে চাই? কয়েক মাস হলো নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। ফলে কাজের চাপ একটু বেড়েছে। এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউক্লিয়ার মেডিসিন বিভাগের প্রধান হিসেবে কাজ করছি। এজন্য অভিনয়ে একটু কম সময় দিচ্ছি। এর মাঝেই সময় বের করতে পারলে শুটিং করি। চিকিৎসা পেশা ও অভিনয়ের সমন্বয় করেন কিভাবে? সব পেশাতেই তো ছুটির কিছু দিন থাকে। আমি অভিনয়ের জন্য বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ছুটির দিনকেই বেছে নেই। আর সব সময় চেষ্টা করি কাজটা যেন মন দিয়ে করতে পারি। চিকিৎসক হিসেবে এখন আমার দায়িত্ব বেড়েছে। ফলে চিকিৎসা পেশাটাকে অবহেলা করে অভিনয় করি না। নির্মাতারা আমাকে নানাভাবে সহযোগিতা করেন। আমার সময় অনুযায়ী তারা শুটিং তারিখ নির্ধারণ করেন। ফলে সমন্বয়টা হয়ে যায়। আর ইচ্ছা শক্তি থাকলে সব কিছুই সম্ভব হয়। আপনাকে ধন্যবাদ আপনাকেও ধন্যবাদ। সূত্র: আরটিভি অনলাইন
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2zTMs3m
November 13, 2017 at 06:01AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন