জলপাইগুড়ি, ১২ নভেম্বরঃ জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে মৃত শিশুর চিকিত্সার ঘটনাটি প্রকাশ্যে এলেই নড়েচড়ে বসল জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এই ঘটনায় জলপাইগুড়ির ডেপুটি সিএমওএইচের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে কমিটিকে সোমবার রিপোর্ট পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন জলপাইগুড়ি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ড. জগন্নাথ সরকার। সোমবার বর্ষা দাস নামে ওই শিশুর মৃতদেহের ময়নাতদন্ত করা হবে।
উল্লেখ্য, শনিবার দুপুরে পুকুরে পড়ে যায় জলপাইগুড়ির সদর ব্লকের বারোপেটিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নাথুয়া চর এলাকার বাসিন্দা বর্ষা দাস। হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিত্সকরা দেড় বছরের ওই শিশুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে পরিবারের দাবি, শিশুটি তখনও বেঁচে ছিল। এরপর পরিবারের অনুরোধে ফের চিকিত্সা শুরু করা হয়। প্রায় দু-ঘণ্টা পর জানানো হয়, তাদের শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
পরিবারের অভিযোগ, হাসপাতালে বিনা চিকিত্সাতেই ‘মৃত’ বলে ফেলে রাখা হয়েছিল শিশুটিকে। যদি প্রথমে সত্যিই বর্ষা মারা গিয়ে থাকত, তবে পঞ্চায়েত প্রধানের ফোন পেয়ে আবার তার চিকিত্সা শুরু করা হল। জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় বিনা চিকিত্সায় মৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেছেন বর্ষার বাবা বিদ্যুত্ দাস।
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://ift.tt/2zFntOA
November 12, 2017 at 08:13PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন