‘‘রাখাইনে থাকার ব্যবস্থা হলে রোহিঙ্গারা চলে যাবে’’–পররাষ্ট্রমন্ত্রী

সুরমা টাইমস ডেস্ক:: ‘‘মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনা, সমঝোতা হয়েছে। তারা রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে চেয়েছে, রাখাইনে থাকার ব্যবস্থা হলে রোহিঙ্গারা চলে যাবে।’’

আজ শনিবার (২৫শে নভেম্বর) সকালে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রোহিঙ্গা ফেরাতে সমঝোতা স্মারক সইয়ের বিষয়ে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন- যৌক্তিক সময়ে প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সম্মত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে ভারত ও চীন সহযোগিতা করতেও সম্মত।

ফেরানোর বিষয়ে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৩শে নভেম্বর) দেশটির প্রশাসনিক রাজধানী নেপিদোতে একটি সমঝোতা সই হয়েছে। একে বাংলায় চুক্তিও বলা যায় বলে মত দেন মন্ত্রী। সেখানে দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির সঙ্গে তার দফতরে মন্ত্রীর বৈঠক হয়।

কবে নাগাদ পুরো প্রক্রিয়া শেষ হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন- কবে শেষ হবে চুক্তিতে সে বিষয়ে কোনো সীমারেখা দেওয়া হয়নি। জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনএইচসিআরকে সম্পৃক্ত করতে চায় মিয়ানমার। দু’মাসের মধ্যে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নেওয়া শুরু করবে তারা। চুক্তি সই করার (২৩শে নভেম্বরের পর) তিন সপ্তাহের মধ্যে যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠিত হবে।

চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে সই করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলী আর মিয়ানমারের পক্ষে সই করেন দেশটির স্টেট কাউন্সেলর দফতরের মন্ত্রী খিও তিন্ত সোয়ে। রোহিঙ্গাদের যাচাই-বাছাই করে ফেরত নেবে মিয়ানমার। তারা দাবি করেছে যে, নতুন অ্যারেঞ্জমেন্ট চুক্তিটির ভিত্তি হল ১৯৯২ সালের সেই আগের চুক্তি।

এই প্রক্রিয়াটি কত দ্রুত কার্যকর করা যায় এ বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন- দুই মাসের মধ্যে শুরু হবে। কিন্তু তারা কোথায় যাবে, রাখাইনে বাড়িঘর তো নেই। গিয়ে কোথায় থাকবে। এটা সম্ভব না। ফলে সময় লাগবে।

গোটা পৃথিবী বাংলাদেশের সঙ্গে জানিয়ে তিনি বলেন- ভারত ও চীনও সহযোগিতা করতে রাজি আছে। মিয়ানমার ১৯৯২ সালের চুক্তি মানতে চায়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ফেরত নেওয়া। ফেরত নিতে চেয়েছে, রাখাইনে থাকার ব্যবস্থা হলে রোহিঙ্গারা যাবে। সঙ্গে চাই সিকিউরিটি অ্যান্ড অনার।

এদিকে ‘জাতিগত নিধনের’ সাক্ষী রাখাইন রাজ্যের জন্য তিনটি অ্যাম্বুলেন্স বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে বলেও এ সময় জানান মন্ত্রী।
চলতি বছরের ২৪শে আগস্টের পর থেকে অব্যাহত অত্যাচারে এখন পর্যন্ত পালিয়ে আসা রোহিঙ্গার সংখ্যা সাত লাখের বেশি বলে জাতিসংঘ জানাচ্ছে। বেসরকারি হিসেবে সংখ্যাটা আরও লাখ খানেক বেশি। এছাড়া আগে থেকেই চার লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারে থাকেন। এতে মোট রোহিঙ্গা সংখ্যা ১১ লাখ ছাড়িয়েছে।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2jnmw5F

November 25, 2017 at 09:59PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top