মোঃ আবুল কাশেম, বিশ্বনাথ থেকে :: সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা নির্বাহী অফিসার অমিতাভ পরাগ তালকুদারের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল রুকসানা বেগম। আগামী এক বছর পর রুকসানা বিয়ে দেওয়ার অঙ্গিকার করেছে তার অভিভাবকরা। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের সাহেব নগর গ্রামে এঘটনা ঘটে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নারী ও শিশু মন্ত্রনালয় থেকে খবর পেয়ে এ বাল্যবিয়ে ভঙ্গ করেন ইউএনও।
জানা যায়, উপজেলার সাহেব গ্রামের ফয়জুল হকের মেয়ে মোছাঃ রুকসানা বেগম জন্ম নিবন্ধন সনদ পত্র অনুযায়ী তার জন্ম তারিখ ২০/০৮/২০০০খ্রিষ্টাব্দ। সেই অনুসারে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত রুকসার বয়স ছিল ১৭ বছর ৩ মাস। অপ্রাপ্ত বয়স্ক ওই কিশোরীর সঙ্গে সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার সাতগাঁও গ্রামের আকলু মিয়ার ছেলে রুকন মিয়া সঙ্গে বৃহস্পতিবার বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। বিয়ের সকল আয়োজন উভয় পক্ষ সম্পন্ন করে। লামাকাজি ইউনিয়নের চন্দ্রবান কমিউনিটি সেন্টারে এ বিয়ে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আমন্ত্রতি অতিথিবৃন্দ সেন্টারে আসতে শুরু করেন। বিষয়টি জেনে যান ইউএনও। এমন খবর পেয়ে ইউএনও ছুটে যান মেয়ের বাড়িতে। তিনি মেয়ের পরিবারের অভিভাবকদের সঙ্গে বাল্যবিয়ে না দেয়ার জনন্য বলেন। ইউএনও’র সঙ্গে ছিলেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মহিউদ্দিন আহমেদ, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কবির হোসেন ধলা মিয়া, থানার এসআই মিজানুর রহমান, প্যানেল চেয়ারম্যান এনামুল হক এনাম, ইউপি সদস্য ফয়ছল আহমদ, কাঞ্চন চক্রবর্তি, হেলাল মিয়া, সাংবাদিক অসিত রঞ্জন দেব ।
এসময় ইউএনও অমিতাভ পরাগ তালুকদার বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে কনে’সহ তাদের অভিভাবক (পিতা-মাতা) বুঝান। এরপর কনে রুকসানার পিতা-মাতা তাদের মেয়েকে প্রাপ্ত বয়সের ১৮ বছর পূর্বে বিয়ে না দেওয়ার অঙ্গিকার করেন। এমনকি আগামী রোববার লিখিতভাবেও অঙ্গিকারনামা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন কনের অভিভাবকরা।
বাল্যবিবাহ বন্ধ করার সত্যতা স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অমিতাভ পরাগ তালুকদার বলেন, আগামী রোববার উভয় পক্ষ ইউপি কার্যালয়ে এসে লিখিত অঙ্গিকারনামা দেবেন।
from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2jejXqc
November 09, 2017 at 08:47PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন