ঢাকা, ২১ নভেম্বর- রাজশাহী কিংসের ৮ উইকেটে ১৬৬ রানের জবাবে ১৫.৫ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৩ রান নিয়ে ধুঁকছিল খুলনা টাইটানস। হাতে মাত্র ২ উইকেট রেখে জয়ের বন্দরটা ১৮ বলে ৩৬ রানে দূরত্বে থাকায় খুলনা সমর্থকদের অনেকেই আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু আরিফুল হক অন্য কিছু ভেবে রেখেছিলেন। তাঁর ১৯ বলে ৪৩ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত দারুণ জয় পেয়েছে খুলনা। দলীয় ১২৩ রানে কার্লোস ব্রাফেট আউট হতেই মনে হচ্ছিল খুলনার বুঝি আশা শেষ। কিন্তু আরিফুল হক ম্যাচ শেষ করে আসতে চেয়েছিলেন। ২৪ বলে ৪৪ রানের দূরত্বে থাকতেই সুযোগমতো ঝড় তুলেছেন আরিফুল। জুনায়েদ খানকে সঙ্গী করে ৪০ রানের জুটিতে খুলনাকে জিতিয়েছেন ম্যাচ। যেখানে জুনায়েদের অবদান মাত্র ১! ৪ উইকেট নেওয়া জুনায়েদ বা ৩ উইকেট নেওয়া সামি নয়, ম্যাচ শেষে সব আলো তাই আরিফুল হককে ঘিরে। এই জয়ে ৭ ম্যাচ থেকে ৯ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিন নম্বরে খুলনা টাইটানস। টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। রাজশাহীর দুই ওপেনার ডোয়েইন স্মিথ আর মুমিনুলের উদ্বোধনী জুটি টিকেছে মাত্র ৮ বল। মুমিনুলের পর অখ্যাত বেল-ড্রামন্ডকেও ফেরান জুনাইদ। এরপর ২১ রানে জাকির হাসান ফিরে গেলে রাজশাহী বিপদেই পড়বে মনে হচ্ছিল। কিন্তু মুশফিকুর রহিম ও স্মিথের ৭৬ রানের জুটিতে ম্যাচে ফেরে কিংস। ৩৬ বলে ৬২ রান করে আউট হয়েছেন স্মিথ। এরপর ফ্রাঙ্কলিনকে সঙ্গে নিয়ে মুশফিকের ৪৪ রানের জুটিতে ১৬ ওভারেই ১৪২ রান তোলে ড্যারেন স্যামির দল। কিন্তু ৫৫ রান করে মুশফিক আউট হতেই আবারও রানের চাকা থমকে গেল। ১৮০ প্লাস রানের সম্ভাব্য স্কোরটা শেষমেশ থেমে গেল ১৬৬ রানে। ২৯ রান করে অপরাজিত ছিলেন ফ্রাঙ্কলিন। জবাবে ইনিংসের তৃতীয় বলে নিজের স্টাম্পকে ছত্রখান হতে দেখে প্যাভিলিয়নে ফেরেন খুলনার ওপেনার চ্যাডউইক ওয়ালটন। বিপিএলে এই ক্যারিবিয়ানের রানখরা আরও লম্বা হলো। তৃতীয় ওভারে আবারও সামির আঘাতএবারে ফিরে গেলেন সেকুগে প্রসন্ন। এরপর ৪৩ বলে ৬৭ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ও রাইলি রুশো। মেহেদী হাসান মিরাজ রুশোকে ফেরানোর পর ফ্রাঙ্কলিন আউট করেছেন আফিফ হোসেনকে। দলীয় ১০৭ রানে আউট হয়েছেন খুলনা অধিনায়ক, করেছেন ৫৬ রান। এমএ/০৬:৪০/২১ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2hP25St
November 22, 2017 at 12:50AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন