সুরমা টাইমস ডেস্ক ;: নবীগঞ্জ উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের উমরপুর গ্রামে মেহেরুননেসা (৩০) নামের এক নারীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় তার ৩ শিশুকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। ঘটনার পর থেকেই প্রতিপক্ষের লোকজন আত্মগোপন করেছে।
মঙ্গলবার সন্ধার দিকে এ ঘটনা ঘটে। সে ওই গ্রামের দিনমুজুর সামিজুল ইসলামের স্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মেহেরুননেসার সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে একই গ্রামের আফজল মিয়ার স্ত্রী সামিরুনেসার। প্রায়ই সামিজুল ইসলাম বাড়ি না থাকার সুযোগে আফজল মিয়া ও তার স্ত্রী সামিরুনেসা নির্যাতন চালাতো মেহেরুননেসার উপর। বিষয়টি মেহেরুননেসা তার স্বামী সামিজুল ইসলামকে জানাতো।
আহত শিশু তাসলিমা (৫), মাসুমা (২) ও কামিনা (৬) জানায়, মঙ্গলবার সন্ধার দিকে আফজল মিয়া ও তার স্ত্রী সামিরুনেসা এবং পুত্র রুহেল মিয়া তাদের মাকে বেধড়ক মারপিট করে। এ সময় শিশুরা এগিয়ে এলে তাদের উপরও হামলা চালানো হয়। এক পর্যায়ে সামিরুনেসা লাঠি দিয়ে মেহেরুননেসার মুখে আঘাত করে। সাথে সাথে মেহেরুননেসা লুটিয়ে পড়ে। স্থানীয় লোকজন মেহেরুননেসাসহ তার আহত সন্তানদের উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মেহেরুননেসাকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর তিন শিশুকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে লাশের মুখে আঘাতের চিহ্ন ছিল।
ঘটনার পর নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. আতাউর রহমান একদল পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। তিনি জানান, স্থানীয় লোকজন তাকে জানিয়েছে বিকালে মেহেরুননেসা কাজ করছিল। এ সময় সে পান খেয়ে কাজ করার সময় মাথাঘুরে মাটিতে পড়ে যায়। তিনি আরো জানান, যেহেতু তার স্বামী সামিজুলের অভিযোগ তাকে হত্যা করা হয়েছে সেহেতু ময়নাতদন্তের পর এর মূল কারণ জানা যাবে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অপর একটি সূত্র জানায়, মেহেরুননেসা ও সামিরুনেসার দুইজনের সম্পর্ক খুব ভাল ছিল। সম্প্রতি সামিরুনেসার পুত্র রুহেল ও মেহেরুননেসার কন্যা কামিনার মাঝে ঝগড়া হলে তাদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2zajsjV
November 22, 2017 at 11:30AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন