কলকাতা, ২৮ নভেম্বর- গত শনিবার চিন্ময় মণ্ডল নামে এক রোগী তাঁর কাছে আসেন। চিন্ময়বাবুকে দেখার পরে তাঁকে প্রেসক্রিপশনও করে দেন কৌশম আলি মল্লিক ওরফে প্রীতম সাহা। সোমবার বিকেলে এক ভুয়ো চিকিৎসককে আটক করল সোনারপুর থানার পুলিশ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সোনারপুরের খুঁড়িগাছি এলাকায়। জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত চিকিৎসকের নাম কৌশম আলি মল্লিক। তবে এলাকায় তিনি নিজেকে চিকিৎসক প্রীতম সাহা বলে পরিচয় দিতেন। ওই নামে প্রেসক্রিপশনেও সই করতেন। বর্ধমানের মেমারি থানা এলাকার বাসিন্দা হলেও দীর্ঘদিন ধরেই সোনারপুরের খুঁড়িগাছি এলাকায় চিকিৎসক সেজে লোক ঠকানোর ফাঁদ পেতেছিলেন ওই প্রতারক। গত শনিবার চিন্ময় মণ্ডল নামে এক রোগী তাঁর কাছে আসেন। চিন্ময়বাবুকে দেখার পরে তাঁকে প্রেসক্রিপশনও করে দেন কৌশম আলি মল্লিক ওরফে প্রীতম সাহা। কিন্তু চিন্ময়বাবু তাঁকে রেজিস্ট্রেশন নম্বর লিখে দিতে বললে তা দিতে তিনি অস্বীকার করেন। এই ঘটনায় সন্দেহ হয় চিন্ময়বাবুর। বিষয়টি তিনি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে জানান। অভিযোগ পেয়েই এ বিষয়ে খোঁজ খবর নিতে শুরু করেন ওই সংস্থার কর্মীরা। এর পরেই বেরিয়ে আসে ভিতরের খবর। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, নবদ্বীপের মায়াপুরের বাসিন্দা চিকিৎসক প্রীতম সাহার কাছে দীর্ঘদিন ধরে কমপাউন্ডারের কাজ করতেন কৌশম আলি। কয়েক বছর আগে সেখান থেকে সোনারপুরে এসে নিজেই ডাক্তারি শুরু করেন কৌশম। প্রাইভেট প্র্যাকটিসের পাশাপাশি তিনতলা নার্সিং হোম হাঁকিয়ে বসেন অভিযুক্ত। শুধু তাই নয়, নিজের নাম আদালতের মাধ্যমে বদলে ফেলে হয়ে যান চিকিৎসক প্রীতম সাহা। এমনকী প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে আসল চিকিৎসক প্রীতম সাহার রেজিস্ট্রেশন নম্বরও ব্যবহার করতে শুরু করেন কৌশম। নিজেকে মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসক বলেও পরিচয় দিতেন তিনি। এর পাশাপাশি এলাকায় রমরমা সুদের ব্যবসা খুলে বসেছিলেন অভিযুক্ত ভুয়ো চিকিৎসক। সোমবার বিকেলে হিউম্যান প্রোটেকশন নামে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কর্মীরা সোনারপুর থানার পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে নার্সিংহোমে হানা দিলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে পারেননি অভিযুক্ত। এর পরই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে সোনারপুর থানার পুলিশ। এতেই বেরিয়ে আসে যাবতীয় তথ্য। সূত্র: এবেলা আর/১৭:১৪/২৮ নভেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2AeEstu
November 28, 2017 at 11:26PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top