ঢাকা, ২১ নভেম্বর- রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ঢাকার বোলিংয়ে সাকিব আল হাসান নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। কিন্তু টানটান উত্তেজনার এ ম্যাচে হাসেনি সাকিবের ব্যাট। তাঁর দলও জয়ের তীরে গিয়ে তরি ডুবিয়েছে! রংপুরের ১৪২ রান তাড়া করতে নেমে শেষ ৫ ওভারে ৩১ রান দরকার ছিল ঢাকার। এখান থেকে দলকে সহজেই জেতাতে পারতেন কাইরন পোলার্ড ও মেহেদী মারুফ। কিন্তু ১৭.৫ ওভারে মারুফ ফিরে যাওয়ায় চাপে পড়ে ঢাকা। জয়ের জন্য শেষ ওভারে ১০ রান দরকার ছিল ঢাকার। হাতে ২ উইকেট। থিসারা পেরেরার সেই ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা মেরে সমীকরণটাকে ৩ বলে ৪ রানের দূরত্বে নামিয়ে আনেন পোলার্ড। পরের বলে কোনো রান আসেনি। কিন্তু এরপর টানা দুই বলে পোলার্ড ও আবু হায়দারকে তুলে নিয়ে রংপুরের ৩ রানের শ্বাসরুদ্ধকর জয় ছিনিয়ে আনেন পেরেরা। ঢাকার ইনিংস শুরু হয়েছিল চাপ নিয়ে। দ্বিতীয় বলেই ফিরে যান ওপেনার সুনীল নারাইন। তিনে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন সাকিব। ১১ রান করে সোহাগ গাজীর বলে ঢাকা অধিনায়ক যখন আউট হন, দলের স্কোর তখন ৩.২ ওভারে ২ উইকেটে ২৫। এখান থেকে ঢাকা ইনিংস গড়েছে এভিন লুইস আর জহুরুল ইসলামের ব্যাটে। লুইসের ব্যাট থেকে এসেছে ২৮, জহুরুলের সংগ্রহ ২৯। তারপরও একপর্যায়ে ১০.১ ওভারে ৫ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে ধুঁকছিল ঢাকা। শহীদ আফ্রিদির ১৫ বলে ২১ রানে বিপর্যয় কাটিয়ে জয়কে ৩৩ বলে ৩২ রানের সমীকরণে নামিয়ে আনে সাকিবের দল। কিন্তু ঠিক তখনই রুবেল হোসেনের বলে আফ্রিদির উইকেট ছত্রখান! এখান থেকে পোলার্ড-মারুফ চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত দল জেতেনি। রংপুরের হয়ে ২টি করে উইকেট পেরেরা, সোহাগ গাজী, রুবেল হোসেন ও মাশরাফির। এর আগে টস জিতে রংপুরকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন সাকিব। ক্রিস গেইলের ২৮ বলে ৫১ রানের ঝোড়ো ইনিংসে রংপুর বড় সংগ্রহের ইঙ্গিত দিলেও শেষ পর্যন্ত আর পারেনি। বলা ভালো, ইনিংসের শেষ ওভারে সাকিব একাই ছেঁটে দিয়েছেন রংপুরের ব্যাটিংকে! ৫ বলের ব্যবধানে ফেলেছেন ৪ উইকেট! এর মধ্যে তাঁর প্রথম বলে রান আউট হন রবি বোপারা। পরের বলে ক্যাচ দেন জিয়াউর রহমান। তৃতীয় বলে লাসিথ মালিঙ্গা ১ রান নিলেও সাকিবের পরবর্তী দুই বলে ফিরেছেন সোহাগ গাজী আর রুবেল হোসেন। শেষ ওভারে ভেলকি দেখানোর আগে মোহাম্মদ মিথুন আর শাহরিয়ার নাফিসকেও তুলে নেওয়ায় এ ম্যাচে ১৬ রান খরচায় মোট ৫ উইকেট পেলেন সাকিব। এর আগে ২০১৩ সালে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) বার্বাডোজ ট্রাইডেন্টসের হয়ে ৬ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। একই বছর বিজয় দিবস টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে প্রাইম ব্যাংকের হয়ে মোহামেডানের বিপক্ষে শিকার করেছিলেন ৬ উইকেট। এমএ/১১:৩০/২১ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2BbgJID
November 22, 2017 at 05:37AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন