কলকাতা, ২৮ নভেম্বর- খরুচে বউ, আর ব্যায় বহন করতে পারছেন না, তাই মুক্তি চান মেয়র। বৃহস্পতিবার নিম্ন আদালতের কাছে এমনটাই জানাল কলকাতা মহানগরীর মেয়র শোভন চ্যাটার্জির আইনজীবী প্রতীমপ্রিয় দাশগুপ্ত। ২০০৬ সাল থেকেই স্ত্রী রত্নার সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা তথা কলকাতার মেয়র শোভন চ্যাটার্জির। তের অমিলের কারণেই প্রথমে বিছানা আলাদা হয় দুজনের। তারপর শোভনের বাড়ি ছেড়ে বাপের বাড়ি চলে যান রত্না। সময় যত গড়াতে থাকে দুজনের মধ্যে দূরত্বও বাড়তে থাকে পাল্লা দিয়ে। স্ত্রী রত্নার বিরুদ্ধে কলকাতার মেয়রের অভিযোগ আরও মারাত্মক! স্ত্রী রত্না চ্যাটার্জি অত্যাধিক খরচ করেন। সামাল দিতে পারছেন না মেয়র। তাই আইনি বিচ্ছেদ চাইছেন শোভন চ্যাটার্জি। সূত্রের খবর, আগামী মাসের ১৩ তারিখ আদালতের কাছে লিখিত আবেদন জানাবেন মেয়রের স্ত্রী রত্না চ্যাটার্জি। উল্লেখ্য, বিচারকের কাছে বিচ্ছেদের আবেদনে কলকাতার মেয়র আইনজীবী মারফৎ জানিয়েছেন, শুধু ব্যয়বহুল জীবনযাপনই নয়, রত্না চ্যাটার্জি তার অনুমতি না নিয়েই বহু ক্ষেত্রে অন্যের জন্য রাখা চেক নিজেই ভাঙিয়ে নিয়েছেন। স্ত্রীর প্রতি যে শোভন সদা কর্তব্যপরায়ন থেকেছেন সেকথাও লিখিত আবেদনে আদালকে জানিয়েছেন মেয়রে আইনজীবী। ওই লিখিত আবেদনে মেয়রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এতদিন স্ত্রীর সব বায়না মুখ বুজেই সহ্য করেছেন তিনি, মিটিয়েছেন সব আবদারও। এমনকি কর্মসূত্রে দেশের বাইরে গেলেও স্ত্রীর খরচের জন্য আলাদা করে টাকা রেখে যেতেন মেয়র। তবে, এইভাবে আর সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন না তিনি। বাধ্য হয়েই পাকাপাকি বিচ্ছেদের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। স্বামী হিসাবে যা দায়িত্ব পালন করার তিনি করেছেন। পিতা হিসেবেও যে তিনি ওয়ার্ল্ডের বেস্ট ড্যাডি, তাও প্রমাণ করতে চাইছেন শোভন। আর সেই জন্যই ১৩ বছরের মেয়েকে নিজের কাছে রাখতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র। তবে প্রাপ্তবয়স্ক ছেলের (২১) জন্য আলাদা করে কোনও কথাই বিচ্ছেদের আবেদনে উল্লেখ করেননি কলকাতার মেয়র শোভন। আর এই মেয়রের ডিভোর্স নিয়ে পুরো কলকাতাসহ রাজ্যের রাজনীতি বেশ সরগরম। সূত্র: এমটিনিউজ২৪ আর/০৭:১৪/২৮ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2AdVbNv
November 28, 2017 at 02:36PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন