নিজস্ব প্রতিনিধি:: ভোলাগঞ্জে পাথর উত্তোলনে নিষিদ্ধ ঘোষিত বোমা মেশিন ব্যবহারের অভিযোগে ২২ বোমা মেশিন মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর। অধিদফতরের সিলেটের সহকারী পরিচালক পারভেজ আহম্মেদ বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় অজ্ঞাত আরও ৭০-৮০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মো. সফিকুর রহমান মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চত করেছেন।
মামলায় কোম্পানীগঞ্জের প্রভাবশালী পাথর ব্যবসায়ী, স্থানীয় পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম মিয়া, তার ভাই বিলাল আহমদ, তাদের আরও ১৫ আত্মীয়সহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
শামীম-বিলালের আরেক ভাই জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান এবং তাদের বাবা আব্দুল বাছির কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্ঠা। অভিযোগ রয়েছে শামীমের নেতৃত্বে কোম্পানীগঞ্জের ভোলাগঞ্জ, শাহ আরেপিন টিলাসহ বিভিন্ন স্থানে অবৈধভাবে পাথর উত্তোলন করা হয়েছে। পাথর উত্তোলনে ব্যবহার করা হচ্ছে পরিবেশ বিধ্বংসী নিষিদ্ধ যন্ত্র বোমা মেশিন।
এদিকে, মামলার প্রতিবাদে সিলেট-কোম্পানীগঞ্জ-ভোলাগঞ্জ সড়কে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধের হুমকী দিয়েছে পাথর ব্যবসায়ীরা। বুধবার তারা এই সড়ক অবরোধ করেও বিক্ষোভ করে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের মামলায় এজাহারভুক্ত আসামিরা হচ্ছেন- শামীম মিয়া, বিলাল মিয়া, গরিব উল্লাহ, করিম উল্লাহ, আতাউর রহমান শাহাবুদ্দিন, আমির উদ্দিন, আইয়ুব আলী, আঞ্জু মিয়া, মো. ইলিয়াস আলী রাসা, কেফায়েত উল্লাহ, মাহমুদ হোসেন ওরফে মছন হাজী, বশর মিয়া, কালা মিয়া, আবদুল হান্নান, মানিক মিয়া, আলী নূর, মামুন চৌধুরী, কাওছার আহমদ, নুরুল আমির ওরফে বম, লতিফ ও শায়েস্তা মিয়া।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করে অবৈধভাবে ভোলাগঞ্জের শাহ আরেফিন টিলা ও টিলার পার্শ্ববর্তী এলাকায় গর্ত করে পাথর উত্তোলনের কারণে একাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া রেলওয়ের রজ্জুপথের সংরক্ষিত এলাকা, ভোলাগঞ্জ পাথর কোয়ারি ও ধলাই নদীতে অবৈধ বোমা মেশিনের সাহায্যে পাথর উত্তোলনের ফলে এলাকার ভূমিরূপ, জীববৈচিত্র্য, কৃষি জমির ক্ষতিসাধন ও এলাকার সার্বিক পরিবেশ বিনষ্টসহ পরিবেশ ব্যবস্থার অবক্ষয় সাধন করেছে যা বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে দন্ডনীয় অপরাধ।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২৩শে জানুয়ারি শাহ আরেফিন টিলা ধসে ৬ জনের প্রাণহানির পর মার্চ মাস থেকে ১৭ টি এবং ভোলাগঞ্জে ৪৭ টি টাস্কফোর্সের অভিযানের পর অভিযুক্তদের শনাক্ত করা হয়েছে। অভিযুক্ত শামীম ও বিলাল প্রায় ৬০ ফুট উঁচু শাহ আরেফিন টিলা সমতল করে ফেলা, ভোলাগঞ্জ ও রজ্জুপথ এলাকার ভূমিরুপ পরিবর্তন করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধনের জন্য দায়ী করা হয়।
তবে শামীম মিয়া এই মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক দাবি করে বলেন, আমি চার বছর ধরে পাথর ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছি। আমার বোমা মেশিনও নেই। আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জন্য আমি প্রস্তুতি নিচ্ছি। একারণে আমার প্রতিপক্ষরা ষড়যন্ত্র করে এ মামলা করিয়েছে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2hnNJIv
November 09, 2017 at 11:09PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.