সব ধরনের ক্রিকেট ছাড়ছেন পাকিস্তানের অফ স্পিনার সাঈদ আজমল। রাওয়ালপিন্ডিতে চলমান ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপ শেষে তিনি ক্যারিয়ারের ইতি টানবেন। ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে আজমল খেলছেন ফয়সালাবাদের হয়ে। সোমবার লাহোর বুলসের বিপক্ষে ম্যাচের ফাঁকে আজমল বলেন, এই জাতীয় ইভেন্ট আমার শেষ টুর্নামেন্ট। আমি কোনো দলের বোঝা হতে চাই না। ২০১৪ সালে বোলিং অ্যাকশনে ত্রুটি ধরা পড়েছিল আজমলের। সাকলাইন মুশতাকের অধীনে অ্যাকশন শুধরে আবার ফিরেও আসেন। কিন্তু আগের মতো উইকেট শিকারের সামর্থ্য হারিয়ে ফেলেন এই অফ স্পিনার। ক্যারিয়ার নিয়ে তাই আজমলের মিশ্র প্রতিক্রিয়া, আমি আমার ক্যারিয়ার নিয়ে তৃপ্ত। তবে শেষ দুই বছর ছিল হতাশাজনক। অবৈধ অ্যাকশনের ব্যাপারটা যেন শুধু আমার ও (মোহাম্মদ) হাফিজের জন্যই প্রযোজ্য। কারণ, এখনো বেশ কয়েকজন বোলার ত্রুটিপূর্ণ অ্যাকশন নিয়ে খেলে যাচ্ছে। ঘরোয়া ক্রিকেট তার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কেউ আঙুল তোলার আগেই চলে যেতে চান ৪০ বছর বয়সি অফ স্পিনার, আমার অন্তর্ভুক্তি (ঘরোয়া ক্রিকেটে) নিয়ে কেউ আঙুল তোলার আগেই আমি চলে যেতে চাই। এটাই আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। আজমল অ্যাকশন শুধরে ২০১৫ বিশ্বকাপের পর ফিরে বাংলাদেশ সফরে দুটি ওয়ানডে খেলেছিলেন। তবে ভালো করতে পারেননি। একটিতে ৭৪ রানে দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন, অন্যটিতে ৪৯ রানে পেয়েছিলেন একটি উইকেট। পাকিস্তানের হয়ে তার সর্বশেষ ম্যাচও ছিল সেবারের বাংলাদেশ সফরেই। সেই টি-টোয়েন্টি ম্যাচে তিনি ৩.২ ওভারে ২৫ রান দিয়ে উইকেটশূন্য ছিলেন। সেই সফরের পর আর জাতীয় দলে সুযোগ পাননি। শেষ একটি সুযোগ চেয়েছিলেন। সুযোগ না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের সমালোচনাও করেছিলেন তিনি। এখন অবশ্য কারও প্রতি অভিমান নেই তার, আমি সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছি। মাইকেল ভন থেকে শুরু করে স্টুয়ার্ট ব্রড, যারা আমাকে ২০১৪ সালে মন্তব্য করে আঘাত করেছিল তাদেরকেও। সতীর্থদের ধন্যবাদও দিলেন তিনি, আমি আমার সতীর্থ, বিশেষ করে মিসবাহ-উল-হককে ধন্যবাদ জানাই আমার ওপর ভরসা রাখার জন্য। ধন্যবাদ জানাই আমার সব বন্ধু ও পরিবারকে। সম্প্রতি শেষ হওয়া প্রথম শ্রেণির প্রতিযোগিতা কায়েদ-ই আজম ট্রফিতে নিজের হোম টিম ফয়সালাবাদকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন আজমল। ৬ ম্যাচে পেয়েছিলেন ১৬ উইকেট। তবে তার দল রেলিগেশনে পড়ে দ্বিতীয় বিভাগে নেমে গেছে। অ্যাকশনজনিত সমস্যায় পড়ার আগ পর্যন্ত পাকিস্তানের বোলিংয়ের অন্যতম সেরা অস্ত্র ছিলেন আজমল। তার দুর্দান্ত বোলিংয়েই ২০১২ সালে টেস্টে তখনকার এক নম্বর দল ইংল্যান্ডকে আরব আমিরাতে হোয়াইটওয়াশ করেছিল পাকিস্তান। সিরিজে আজমল নিয়েছিলেন ২৪ উইকেট। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর ৩৫ টেস্টে ১৭৮ উইকেট, ১১৩ ওয়ানডেতে ১৮৪ উইকেট ও ৬৩ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৮৫ উইকেট নিয়েছেন আজমল। এমএ/১০:০০/১৩ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2AFhv0f
November 14, 2017 at 04:02AM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন