সুরমা টাইমস ডেস্ক:: বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুই নারী বৈমানিক দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে যোগদান করছেন। এরা হলেন- ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট নাইমা হক ও ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট তামান্ন-ই-লুতফী।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে গত রোববার এ কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী (বিএএফ) ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে নিয়োজিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে ৩টি কন্টিনজেন্টের মোট ৩৫৮ জন শান্তিরক্ষী প্রতিস্থাপন করতে যাচ্ছে। বিএএফ কন্টিনজেন্টের ১১৫ সদস্যের প্রথম দলটি আগামী ২৯শে নভেম্বর কঙ্গোর উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে। কন্টিনজেন্টের বাকি সদস্যরা পর্যায়ক্রমে কঙ্গো যাবেন।
কঙ্গোতে জাতিসংঘ মিশনে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১টি সি-১৩০ পরিবহন বিমান, ৬টি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার বিভিন্ন গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্টসহ মোতায়েন রয়েছে।
বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার রোববার বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার-এ কঙ্গোগামী ব্যানএয়ার সদস্যদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। এ সময় তিনি জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে তাদেরকে সততা, পেশাদারিত্ব ও আন্তরিকতার সঙ্গে অর্পিত দায়িত্ব পালন করে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী তথা দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনার আহ্বান জানান।
বিমান বাহিনী প্রধান একটি সুশৃঙ্খল ও সুশিক্ষিত বাহিনীর সদস্য হিসেবে কঙ্গোগামী বিএএফ সদস্যদেরকে জাতিসংঘ ও বিমান বাহিনীর সব নিয়মনীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তিতার বিকল্প নেই। তিনি মিশনের সাফল্য কামনায় আয়োজিত এক বিশেষ মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিমান সদরের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসাররা, ঢাকাস্থ এয়ার অফিসাররা এবং বিমান সদর ও ঘাঁটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বিমান বাহিনী ১৯৯৩ সালে বসনিয়া হার্জেগোভিনায় শান্তিরক্ষী প্রেরণের মাধ্যমে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কার্যক্রম শুরু করে। এরপর থেকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ৬ হাজার ৪৩০ জন সদস্য কুয়েত, পূর্ব তিমুর, আইভরী কোস্ট, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, মালি প্রজাতন্ত্র, চাদ, সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক, সুদান এবং হাইতিসহ বিশ্বের বিভিন্ন সংঘাতময় দেশে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন সফলভাবে সম্পন্ন করেছে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2k8OLZH
November 28, 2017 at 07:42PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন