কলকাতা, ২৮ নভেম্বর- ট্রান্সজেন্ডারদের সামগ্রিক উন্নয়নের কথা বলছেন মন্ত্রী৷ শুধুমাত্র তাই নয়৷ সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে তাঁরা যাতে মিশে যেতে পারেন, তার জন্য দৃষ্টিভঙ্গির বদলের কথাও বলছেন৷ যে কারণেও তিনি বলছেন, কল্যাণ নয়, উন্নয়নের জন্যই গঠিত হয়েছে বোর্ড৷ আর, ট্রান্সজেন্ডারদের কোনও কোনও অংশের তরফে যেমন বলা হচ্ছে, কথা রাখছে না বোর্ড৷ তার উপর, বোর্ডের সদস্য হিসাবে এমন কাউকে কাউকে রাখা হয়েছে, যাঁদের প্রয়োজনই নেই৷ তেমনই কোনও কোনও অংশের তরফে আবার এমনও বলা হচ্ছে যে, চাকরিতে সংরক্ষণের কথা বলা হচ্ছে৷ কিন্তু, তার জন্য শিক্ষার বিষয়টিও তো জরুরি৷ শুধুমাত্র এ সবও নয়৷ কোনও ট্রান্সজেন্ডার পাইলট হবেন, না যৌনকর্মী হিসাবে উপার্জন করবেন, সেই বিষয়টি যেমন তাঁর উপরে নির্ভর করছে৷ তেমনই, এ ক্ষেত্রে পরিজনদের অবদানের বিষয়টিও গুরুত্বপূর্ণ৷ এমনও বলা হচ্ছে কোনও কোনও অংশের তরফে৷ সব মিলিয়ে, বৈঠকের আয়োজন হলেও, ট্রান্সজেন্ডারদের উন্নয়নের জন্য সহমতে পৌঁছতে পারছেন না বোর্ডের সদস্যরা৷ আর, এ ভাবেই বয়স প্রায় তিন বছর হতে চললেও কার্যত নিধিরামই হয়ে রয়েছে এখন ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সজেন্ডার ডেভেলপমেন্ট বোর্ড৷ এমনই বিভিন্ন বিষয়ে বোর্ডের চেয়ারপার্সন তথা মন্ত্রী শশী পাঁজার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ট্রান্সজেন্ডারদের সামগ্রিক উন্নয়ন চাইছি আমরা৷ সেই জন্য আমাদের বোর্ড কিন্তু ওয়েলফেয়ার নয়, ডেভেলপমেন্ট৷ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ট্রান্সজেন্ডারদের সম্পর্কে সাধারণ মানুষের দৃষ্টিভঙ্গির বদল যাতে ঘটে তার জন্যও চেষ্টা চলছে৷ সেই জন্য পুজোর সময়ে বিচারক হিসাবেও ট্রান্সজেন্ডারদের রাখা হয়েছিল৷ সমাজের মূল স্রোতের সঙ্গে ট্রান্সজেন্ডারদের মিলিয়ে দেওয়াই আমাদের লক্ষ্য৷ আর, ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সজেন্ডার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের ভাইস চেয়ারপার্সন তথা কৃষ্ণনগর উইমেন্স কলেজের অধ্যক্ষা মানবী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, বোর্ডের অনেক কিছু করার আছে৷ বোর্ডকে কাজ করতে দেওয়া হোক৷ অনেক বড় মাপের মানুষ, যাঁরা সমাজ সংস্কারক, এই বোর্ডে তাঁদের সদস্য হিসাবে আনা হোক৷ বর্তমান সদস্যদের নিয়ে গঠিত বোর্ডের মেয়াদ তিন বছর৷ আগামী দিনে তা হলে বোর্ডের সদস্য হিসাবে এমন বড় মাপের মানুষদের আনা হতে পারে? এই বিষয়ে মন্ত্রী শশী পাঁজার কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি অবশ্য বলেন, বোর্ডের বর্তমান সদস্যরা বিভিন্ন ক্ষেত্রের প্রতিনিধি৷ সুপ্রিম কোর্টের এক নির্দেশে ২০১৫-য় পশ্চিমবঙ্গে ট্রান্সজেন্ডারদের উন্নয়নের জন্য এই বোর্ড গঠিত হয়েছে৷ যদিও, খোদ ট্রান্সজেন্ডারদের কোনও কোনও অংশের তরফে এমনই প্রশ্ন উঠছে, বোর্ডের উন্নয়নের কাজ বলতে যাঁরা পুজো দেখানো আর ভাইফোঁটার কথা ভাবেন এবং প্রতি মাসে সাম্মানিক হিসাবে ১০ হাজার করে টাকা নেন, তাঁদেরকে সদস্য হিসাবে রাখার কোনও প্রয়োজন রয়েছে? শুধুমাত্র তাই নয়৷ কোনও কোনও অংশের তরফে এমনও জানানো হয়েছে যে, বোর্ডের সদস্য হিসাবে প্রথমে যাঁদের রাখার কথা হয়েছিল, তাঁদের সকলকে রাখা হয়নি৷ বোর্ডের সদস্য হিসাবে বড় মাপের মানুষদের রাখার বিষয়ে ট্রান্সজেন্ডারদের বিভিন্ন অংশ আবার সহমতও পোষণ করছে৷ যেমন, অভিনেত্রী তিস্তা দাস৷ তিনি বলেন, যাঁরা বড় মাপের মানুষ, ট্রান্সজেন্ডারদের যথাযথ উন্নয়নের জন্য সদস্য হিসাবে এই বোর্ডে তাঁদের রাখা উচিত৷ তেমনই, ট্রান্সজেন্ডারদের কোনও কোনও অংশের তরফে এমনও জানানো হয়েছে যে, বোর্ডের কোনও বৈঠকে সদস্যদের মধ্যে কোনও বিষয়ে মতভেদ দেখা দিতেই পারে৷ কিন্তু, বিভিন্ন রাজ্যে এই ধরনের বোর্ড যেখানে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে চলেছে৷ সেখানে, ট্রান্সজেন্ডারদের যথাযথ উন্নয়নের জন্য বৈঠকে কোনও সিদ্ধান্ত না হলে কীভাবে কাজ করবে পশ্চিমবঙ্গের এই বোর্ড? সূত্র: কলকাতা২৪*৭ আর/১৭:১৪/২৮ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2BjrpUN
November 28, 2017 at 11:45PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন