সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে আজ রীতিমতো ঝড়ই তুলেছিল চিটাগং ভাইকিংস। প্রথম ১০ ওভারেই লুক রনকির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ১১২ রান তুলে ফেলিছিল তারা। কিন্তু গতকাল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের বিপক্ষে যা হয়েছিল, আজ ঠিক তেমন কিছু না হলেও সংগ্রহটা সন্তোষজনক হলো না তাদের। মাত্র ৪ উইকেট হারালেও পরের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় সংগ্রহটা আটকে গেছে ১৬৬ রানেই। প্রথম ১০ ওভারে ১১২ রান তুলে ফেলা দল ২০ ওভার শেষে ২০০ ছাড়িয়ে যাবেএমন প্রত্যাশা থাকলেও চিটাগং তা পারেনি শেষ ১০ ওভারে মাত্র ৫৪ রান তোলায়। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি, শেষ ১০ ওভারে চিটাগংয়ের বাউন্ডারির সংখ্যা মাত্র একটি! রনকির ঝড় থেমেছিল ৩৫ বলে ৭৮ রান করে। এরপর আর কারও ব্যাটেই ঝড় ওঠেনি। ঝড়ের দরকার ছিল না, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সাধারণ ব্যাকরণ মেনে খেললেও রানটা ২০০র কাছাকাছি পৌঁছে যাওয়ার কথা। কিন্তু মিসবাহ-উল-হক, লুইস রিস আর এনামুল হকরা কী করলেন। মিসবাহ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন গত মে মাসে। অনভ্যাস তাঁর ব্যাটিংয়ে যে মরচে ধরিয়েছে, সেটি আজ বোঝা গেল। ৩২ বলে ৩১ রান করেছেন তিনি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের বিচারে ৪ নম্বরে নামা একজন ব্যাটসম্যানের জন্য এমন কিছুকে কিন্তু বড় ব্যর্থতা হিসেবেই ধরে নেওয়া হবে। এনামুলও কম যাননি, তাঁর ব্যাটেও মারকাটারি ব্যাপারটা ছিল পুরোপুরিই অনুপস্থিত। কেবল চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার কথা বললে রংপুরের বোলারদের দুর্দান্ত বোলিং কিন্তু আড়ালই করা হয়। মাশরাফি বিন মুর্তজা, সোহাগ গাজী কিংবা লাসিথ মালিঙ্গালাইন-লেংথ বজায় রেখে চিটাগংয়ের ব্যাটসম্যানদের একেবারে বেঁধে রেখেছিলেন তাঁরা। রবি বোপারার কথা বলতে হয় আলাদাভাবেই। ৩ ওভার বল করে মাত্র ১৪ রান দিয়ে তিনি তুলে নেন ২ উইকেট। মাশরাফি উইকেট পেলেও সোহাগ ও মালিঙ্গা ছিলেন উইকেট-শূন্য। থিসারা পেরেরা পেয়েছেন ১ উইকেট। ১৬৬ রানও খুব খারপ সংগ্রহ নয়। তবে এই সংগ্রহে ম্যাচ জিততে হলে চিটাগংয়ের বোলারদের করতে হবে দুর্দান্ত বোলিং। তাসকিন আহমেদ, শুভাশিস রায়দের সঙ্গে সানজামুল, তানবীর হায়দারদের জ্বলে ওঠাই কেবল চিটাগংকে এখন সাফল্যের মুখ দেখাতে পারে। এমএ/০৪:২৪/০৮ নভেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2znsIVj
November 08, 2017 at 10:26PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top