নিজস্ব প্রতিনিধি:: বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসরে টানা তৃতীয় জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক সিলেট সিক্সার্স। রানের বন্যায় ম্যাচে আগে ব্যাট করে এ আসরের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোর (২০৫) করে দলটি। জবাবে রাজশাহী কিংস মাত্র ১৭২ রানের বেশী করতে পারেনি। দুই ইনিংস মিলে টুর্নামেন্টের বর্তমান আসরের সর্বোচ্চ রান (৩৭৭) দেখলো দর্শকেরা।এই পরাজয়ের ফলে বিপিএলের সিলেট পর্বে দুই ম্যাচ হেরে খালি হাতে ঢাকায় ফিরতে হচ্ছে রাজশাহীকে।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) পঞ্চম আসরে মঙ্গলবার সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় স্বাগতিক সিলেট সিক্সার্স ও রাজশাহী কিংস। টস জিতে রাজশাহী কিংসের ক্যারাবিয়ান অধিনায়ক ড্যারেন স্যামি সিলেট সিক্সার্সকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান। তবে সিলেটকে ব্যাটিংয়ে পাঠানো যে বাজে সিদ্ধান্ত ছিলো তার প্রমাণ সিলেটের ২০৫ রানের বিশাল সংগ্রহ।
সিলেট সিক্সার্সের ব্যাটিং মানেই মনে হয় ক্রিজে এসে দুই ওপেনার ফ্লেচার ও থারাঙ্গার মার মুখি ব্যাটিং করেন। দুজনই শুরু থেকে বোলারদের সামনে দাপট দেখাবেন। রান রেট থাকবে ১০ রান করে প্রতি ওভার। থাকবে বিশাল বিশাল ওভার বাউন্ডারি ও বাউন্ডারির ফুলজুরি। এর সবই থেকেছে মঙ্গলবারে অনুষ্ঠিত রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে তাদের তৃতীয় ম্যাচে।সঙ্গে উপুল থারাঙ্গার টানা তিন ম্যাচে ফিফটি তো ছিলোই।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে আগের দুই ম্যাচের মতো উড়ন্ত সূচনা করেন উপুল থারাঙ্গা ও আন্দ্রে ফ্লেচার। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে তারা দুজন মিলে সংগ্রহ করে ৬৩ রান। দলীয় ১০০ রান সংগ্রহ করতে দুজন মিলে ব্যবহার করে মাত্র ৬২ বল। এরপর গত ম্যাচের মত ফিফটির খুব কাছে গিয়ে আউট হয়ে যান আন্দ্রে ফ্লেচার। রান আউটের শিকারে পরিণত হওয়ার আগে সংগ্রহ করেন তিনটি বিশাল ছয় ও ৫টি চারের সাহায়্যে ৪৮ রান।তবে ওপর ওপেনার থারাঙ্গা বিপিএলে টানা তিন ম্যাচে ফিফটি করার মাইল ফলক স্পর্শ করেন। ফিফটি করার পর অবশ্য তার ইনিংসটি স্থায়ী হয়নি।ফিফটি করার পরের বলেই ফ্রাংকলিনে শিকারে পরিণত হন তিনি। এরপর ব্যাটিংয়ে নামেন সিলেটের আইকন প্লেয়ার সাব্বির রহমান। তবে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি এই স্টাইলিশ প্লেয়োর। ১৪ বলে মাত্র ১৬ রান করে ফরহাদ রেজার বলে উইলিয়ামসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেন তিনি। তবে সিলেটের ইনিংস ২০০ অতিক্রম করে গোনাতিলাকা ও হোয়াইটলির ঝড়ো ব্যাটিংয়ে। গোনাতিলাকা ২২ বলে ৪২ রানের ইনিংসে দুটি চারের সাথে ৩টি বিশাল ছয়ের মার ছিলো। হোয়াইটলি তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন। তবে তিনি ও কম যান নি। ২৫ রানের ক্যামিও ইনিংসে ৩টি বিশাল ছয় ছিলো।
রাজশাহী কিংসের হয়ে উইলিয়ামস ৩টি,ফরহাদ রেজা ও ফ্রাংকলিন ১টি করে উইকেট শিকার করেন।
২০৬ রানের জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে রাহশাহীর শুরুটা ছিলো দারুণ। রান রেটের সাথে পাল্লা দিয়ে মুমিনুল ও লুক রাইট মিলে মাত্র ৫ ওভারে ৫০ রান সংগ্রহ করেন।এর পরই ম্যাচের দৃশ্যপটে প্লাংকেট। ইনিংসের ষষ্ট ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়ে রাজশাহীকে ম্যাচে থেকে ছিটকে ফেলে তিনি। ১৬ বলে ২৪ রান করা মুমিনুলকে ফেরানোর পর তিনি শূন্য রানে ফেরান রনি তালুকদারকে। এর পর মূলত রানের চাকা সচল করে রাখতে পারেনি রাজশাহী কিংস। তবে উইকেটে এসে রাজশাহীর সহ অধিনায়ক মুশফিকের চেষ্টার কমতি ছিলো না রানের চাকা সচল করে রাখতে। তবে দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে আবুল হাসানের করা বলে লং অনে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তখন তার নামের পাশে ১১ বলে ১২ রান। তবে অন্য প্রান্তে যাওয়া আসার মিছিলে এক প্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট চালিয়ে খেলে ওপেনার রাইট ফিফটি করেন মাত্র ৩৬ বলে। পঞ্চম উইকেট জুটিকে ফ্রাংলিনকে সঙ্গে নিয়ে মাত্র ৩০ বলে ৫৪ রান যোগ করেন। তবে ফিফটি করে মাত্র ৬ রান যোগ করে দলীয় ১৩৩ রানের মাথায় কামরুল ইসলাম রাব্বির বলে প্লাংকেটের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাঝ ঘরে ফিরেন লুক রাইট। এরপর পরই ২৩ বলে ৩৫ রান করা ফ্রাংকলিনকে রান আউটের শিকার হয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে রাজশাহী কিংস। শেষ পর্যন্ত রাহশাহী কিংস ২০ ওভার ব্যাট করে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৭২ রান সংগ্রহ করে। ফলে ৩৩ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।
সিলেটের হয়ে আবুল হাসান ও প্লাংকেট ৩টি এবং কামরুল ইসলাম রাব্বি ১টি করে উইকেট লাভ করেন।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2zroaLn
November 08, 2017 at 12:21AM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন