ঢাকা, ০১ নভেম্বর- বিয়ের খবর প্রকাশের আগেই বিচ্ছেদের খবর নিয়ে হাজির হলেন অভিনেত্রী প্রসূন আজাদ। দেড় বছর আগে বিয়ে করেছিলেন অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী মুহাইমিন সানকে। চলতি বছরের মার্চ থেকে দুজনের সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন তার স্বামী। গ্লিটজ: বিয়ে করেছেন কবে, কোথায়? প্রসূন আজাদ: ২০১৬ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, অস্ট্রেলিয়ায়। আমার পক্ষ থেকে বিয়ের সময় কেউ ছিল না। ওর (মুহাইমিন সান) অস্ট্রেলিয়ান কিছু আত্মীয় ছিল। আমার পরিবারের কেউ বিয়ের খবরটি জানত না। গ্লিটজ: বিয়ের খবরটি গোপন রেখেছিলেন কেন? প্রসূন আজাদ: বিয়ের পর সান বলেছিল, পরিবারের সদস্য থেকে আমার ফ্যান ফলোয়ার-কেউই যেন খবরটি না জানে। সেকারণে গোপন রেখেছিলাম। গ্লিটজ: বিয়ের দেড় বছরের মাথায় আপনাদের বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া চলছে। বিচ্ছেদের কারণ কী? প্রসূন আজাদ: আমাদের লং ডিসটেন্স রিলেশনশীপ। ও অস্ট্রেলিয়ায় থাকে, আমি বাংলাদেশে। সময়ের ব্যবধানও অনেক।চলতি বছরের মার্চ মাস থেকে আমি আমার বন্ধুদের অনেক বেশি টাইম দেওয়া শুরু করি। ভুল বোঝাবুঝি অনেক বেশি হচ্ছিল। তৃতীয় ব্যক্তির কারণে সম্পর্কটা নষ্ট হলো।আমারও কিছু ভুল ছিল। আমি ওকে প্রায়োরিটি কম দেওয়া শুরু করেছিলাম। মানুষের কথা শুনে সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে গেছে।চিৎকার-চেঁচামেচি মাঝখানে একটু বেশিই হয়েছে। আসলে শ্রদ্ধাবোধটা শেষ হয়ে গেলে সবকিছু শেষ হয়ে যায়। আমাদের শ্রদ্ধাবোধটা নষ্ট হয়ে গেছে। গ্লিটজ: বিচ্ছেদের প্রক্রিয়া কতদূর এগিয়েছে? প্রসূন আজাদ: ওর আইনজীবী আমাকে মেইলে জানিয়েছে, ডিভোর্সের আবেদন করা হয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ডিভোর্স হলে লেটার পাঠাবে। তারপরই বুঝতে পারব ডিভোর্স হয়েছে কি হয়নি।অস্ট্রেলিয়ান আইনে ডিভোর্স হতে অনেকদিন সময় লাগে। যদি ফেব্রুয়ারিতে সেটি অ্যাপ্রুভ হয় তাহলে তো ডিভোর্সটা হয়েই যাবে। আর এই সময়ের মধ্যে যদি আমাদের সম্পর্কটা ঠিক হয়ে যায় তাহলে ডিভোর্স হবে না। গ্লিটজ: এখনো যেহেতু সুযোগ আছে সেক্ষেত্রে সম্পর্কটা ঠিক করার চেষ্টা করছেন কি ? প্রসূন আজাদ: আমাদের কথা হয় না। খুব খারাপ লাগলে কান্নাকাটি করি। অনেক অনুরোধ করে ওর সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করি। টুকটাক কথা হয়।ও আসলে ডিভোর্স দিচ্ছে। আমি সবসময় ওকে ভালোবাসি। ভালোবাসা তো আর থামবে না। একটা সাইনের জন্য তো ভালোবাসা ভেস্তে যাবে না।আমার জায়গা থেকে ওর প্রতি শ্রদ্ধাবোধটা সবসময় থাকবে। এবং চাই ও যেন ভালো থাকে। গ্লিটজ: ভালোবাসা থাকলেও তো দুজন একসঙ্গে থাকছেন না.. প্রসূন আজাদ: ডিভোর্স করে যদি ও ভালো থাকে তাহলে থাকুক। গ্লিটজ: আপনি কী ডিভোর্সের মধ্য দিয়ে স্বামীকে মুক্তি দিতে চাচ্ছেন? প্রসূন আজাদ: আমি তো আসলে মুক্তি দেওয়ার কেউ না। সে যদি ভালো থাকে তাহলে থাকুক। কিন্তু ডিভোর্স হয়ে গেলে আমি ভালো থাকব না। গ্লিটজ: তাহলে বিচ্ছেদের ঘটনাটি আপনার জীবনে একটা নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সেক্ষেত্রে কীভাবে নিজেকে গুছিয়ে নেবেন? প্রসূন আজাদ: আমি এখনো জানি না। আমি স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করব। বাবা-মার জন্য আমার বেঁচে থাকতে হবে। সবার কাছ থেকে দোয়া চাই। গ্লিটজ: পরিবার থেকে সমর্থন পাচ্ছেন? প্রসূন আজাদ: বিয়ের খবরটিই আমার পরিবার জানত না। এখন জেনেছে। বাবা-মা আমাকে যথেষ্ট সমর্থন করছে। আমাকে ব্যস্ত রাখার চেষ্টা করছে। তারা আমাকে অনেক বুঝিয়েছে। তাদের পরামর্শেই গতকাল থেকে শুটিং শুরু করেছি। গ্লিটজ: বিচ্ছেদের পর নিজের মতো করে আবার সংসার সাজানোর ইচ্ছা আছে ? প্রসূন আজাদ: বিয়ে? অসম্ভব! সিঙ্গল থাকব সারাজীবন। গ্লিটজ: আগে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, আপনি কখনই বিয়ে করবেন না! প্রসূন আজাদ: তখন তো আমি প্রেম করতাম না! পরে প্রেম করে বিয়ে করেছি। বিয়ের আগে এক ছাদের নীচে থাকায় বিশ্বাসী না আমি, সেকারণেই বিয়েটা করেছিলাম। গ্লিটজ: দেখা গেল, আপনি আবারে প্রেমে পড়লেন! প্রসূন আজাদ: সেটা হলে তো আলহামদুলিল্লাহ! আমার কষ্ট কিছুটা কমবে। এমএ/০৪:১০/০১ নভেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2iU9OyU
November 01, 2017 at 10:16PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন