দুরন্ত জয়ে সিলেট সিক্সার্সের উড়ন্ত সূচনা

IMG_20171104_193050_525বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি :: ঘরের মাঠ, চেনা পরিবেশ, প্রায় ১৭ হাজার দর্শকের পুরো সমর্থন। সিলেট সিক্সার্সকে নিয়ে তাই প্রত্যাশার পারদ বাড়ছিল আগে থেকেই। বিপিএলে প্রথমবারের মতো আসা এই ফ্র্যাঞ্চাইজিও দিচ্ছিল লড়াইয়ের ইঙ্গিত।
কিন্তু প্রতিপক্ষ যে ঢাকা ডায়নামাইটস! বিপিএলের পঞ্চম আসরে কাগজে-কলমে সবচেয়ে শক্তিশালী দল ডায়নামাইটস। সাকিব আল হাসানের এই দলের সাথে উদ্বোধনী ম্যাচে পারবে তো লড়াই করতে সিলেট সিক্সার্স? এই প্রশ্নটা ম্যাচের আগপর্যন্ত সিলেটের বাতাসে ঘুরপাক খাচ্ছিল। কিন্তু ওই পর্যন্তই! ম্যাচ শুরুর পর উবে গেল সব সংশয়, সিলেট সিক্সার্স হয়ে ওঠলো অদম্য, দুরন্ত। স্রেফ যেন উড়ে গেল ঢাকা ডায়নামাইটস!
ঘরের মাঠে উইকেটের দুরন্ত এক জয়ে তাই বিপিএলের পঞ্চম আসরে উড়ন্ত সূচনা করলো সিলেট সিক্সার্স।
ঢাকা ডায়নামাইটস ১৩৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল সিলেট সিক্সার্সকে। সেই লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা কি অসাধারণ হলো সিক্সার্সদের! শ্রীলঙ্কান উপুল থারাঙ্গা আর উইন্ডিজ আন্দ্রে ফ্লেচার ছুটালেন চার-ছক্কার ফুলঝুরি। ৯ ওভারেই স্কোরবোর্ডে রান ওঠলো ৭৭। ৭৬ বলে শতরানের জুটি গড়লেন এ দুই ব্যাটসম্যান। এর মধ্যে ৩৮ বলে অর্ধশতকের ঘরে পৌঁছে যান আন্দ্রে ফ্লেচার। আর আবু হায়দার রনিকে দারুণ এক শটে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে চার হাঁকিয়ে ৩৭ বলে অর্ধশতক পূরণ করেন থারাঙ্গা।
এরপরও থামার ব্যাটিং ঝড় থামানোর লক্ষণই ছিল না থারাঙ্গা-ফ্লেচার জুটির। সাত বোলার ব্যবহার করেও এ জুটিকে আটকাতে পারছিলেন না ডায়নামাইটস অধিনায়ক সাকিব। অবশেষে ১২৫ রানের জুটি ভাঙে ফ্লেচারের বিদায়ে। আদিল রশীদকে তুলে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে লুইসের ক্যাচ হয়ে ফিরেন ফ্লেচার। কিন্তু ৫১ বলে পাঁচ চার আর তিন ছয়ে ৬৩ রান করে ডায়নামাইটসের সর্বনাশটা ঠিকই করে যান ফ্লেচার। বাকি কাজটুকু নির্বিঘ্নেই শেষ করেন থারাঙ্গা আর সিলেট সিক্সার্সের আইকন সাব্বির রহমান। ১৯ বল বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে নোঙর ফেলে সিলেটের এই ফ্র্যাঞ্চাইজি।
৪৮ বলে পাঁচ চার আর দুই ছয়ে ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন থারাঙ্গা। সাথে ছিলেন ২ রান করা সাব্বির।
এর আগে টসে জিতে ফিল্ডিং নেন সিলেট সিক্সার্সের অধিনায়ক নাসির হোসেন। নিজের সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করে প্রথম ওভারেই। ফিরিয়ে দেন ডায়নামাইটসের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান মেহেদী মারুফকে। এরপর কিছুটা এভিন লুইস ও সাঙ্গাকারা কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। তাদের বিদায়ের পর নিয়মিত উইকেট হারাতে থাকে সাকিব আল হাসানের দল। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৩৬ রান তুলেছে ঢাকা ডায়নামাইটস।
শুরুতেই ফিরে যান মেহেদী মারুফ। নাসিরের বলে হুইটলির হাতে ক্যাচ দিয়ে শুন্য রানে মারুফ যখন সাজঘরে ফিরছিলেন, ঢাকা ডায়নামাইটসের রান তখন মাত্র ২। এরপর এভিন ‍লুইস ও কুমার সাঙ্গাকারার জুটি জমে ওঠে। ৬ ওভার ৫ বলে তাদের ৫৪ রানের পার্টনারশিপ ভাঙে দলীয় ৫৬ রানে। আবারও ‘ঘাতক’ সেই নাসির। আবুল হাসান রাজুর হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে ফিরে যান লুইস। তার ২৪ বলে ২৬ রানের ইনিংসে ছিল তিনটি চার ও একটি ছয়।
এরপর স্কোরকার্ডে আরো ১০ রান যোগ হতেই ফিরে যান সাঙ্গাকারা। ২৮ বলে তিন চার আর এক ছয়ে ৩২ রানে প্লাঙ্কেটের বলে রাজুর হাতে ক্যাচ তুলে দেন শ্রীলঙ্কার সাবেক এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। উইকেটে তিথু হতে না হতেই রানআউটের ফাঁদে পড়ে সাজঘরের পথ ধরেন মোসাদ্দেক হোসেন (১১ বলে ৬)। দলের রান এক শ’ পেরোর আগেই (৯৮ রানে) ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান কাইরন পোলার্ডও ফিরে যান। আবুল হাসান রাজু নিরীহ এক বলে মিড-অফে নাসিরের হাত ক্যাচ হন পোলার্ড (৭ বলে ১১ রান)।
দ্রুত ফিরে যেতে পারতেন ক্যামেরন ডেলপোর্টও। তার রান যখন ১, তখন নিজের বলে নিজেই ক্যাচ ছাড়েন শুভাগত হোম। ‘জীবন’ পাওয়ার এক বল পরেই শুভাগতের বলে ছক্কা হাঁকান ডেলপোর্ট। তবে পরের ওভারেই ক্রমেই বিপজ্জনক হয়ে ওঠা ঢাকা ডায়নামাইটসের দলপতি সাকিব। সাব্বির রহমানের বলে মিড-অফে থাকা প্লাঙ্কেটের হাতে বল তুলে দিলে শেষ হয় সাকিবের ২১ বলে ২৩ রানের ইনিংস। উইকেট পড়ার ‘ধারাবাহিকতায়’ পরের ওভারেই শেষ আদিল রশীদ। রাজুর বলে ফ্লেচারের হাতে মিড-উইকেটে ক্যাচ হওয়ার আগে ৬ বলে ৩ রান আসে রশীদের ব্যাট থেকে।



from সিলেট – দ্যা গ্লোবাল নিউজ ২৪ http://ift.tt/2AiUH6d

November 04, 2017 at 07:37PM
04 Nov 2017

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

:) :)) ;(( :-) =)) ;( ;-( :d :-d @-) :p :o :>) (o) [-( :-? (p) :-s (m) 8-) :-t :-b b-( :-# =p~ $-) (b) (f) x-) (k) (h) (c) cheer
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.

 
Top