কলকাতা, ০২ ডিসেম্বর- ছাত্রছাত্রীদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করে তিন বছর পর অনুষ্ঠিত হল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৬তম সমাবর্তন উৎসব। ২০১৩ সালের পর বিভিন্ন কারণে সমাবর্তন করা সম্ভব না হওয়ায় শংসাপত্র দেওয়া আটকে ছিল। শুক্রবার বর্ধমানের সংস্কৃতি লোকমঞ্চে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন আয়োজন করা হয়। রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠী ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ছাত্রছাত্রীদের হাতে সম্মাননা তুলে দেওয়া হয়। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি রূপে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক দেবীপ্রসাদ সরকার। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহা, সহ-উপাচার্য ষোড়শীমোহন দাঁ, রেজিস্ট্রার দেবকুমার পাঞ্জা-সহ পুর্ব বর্ধমান জেলার জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার। এ দিনের সমাবর্তনে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে চার জনকে ডি লিট এবং দু জনকে ডি এসসি দেওয়া হয়। ডি লিট প্রাপকদের তালিকায় ছিলেন বিখ্যাত সংগীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্লা, অভিনেত্রী সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, লেখক ও গবেষক ড: নৃসিংহপ্রসাদ ভাদুড়ী এবং প্রাক্তন বিচারপতি চিত্ততোষ মুখোপাধ্যায়। ডি এসসি প্রাপকের তালিকায় ছিলেন অধ্যাপক সমীর ভট্টাচার্য ও অধ্যাপক কমলাক্ষ নাগ। তবে এ দিন সাবিত্রী দেবী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি। পি এইচডি প্রাপকদের সন্মানিত করেন উপাচার্য নিমাই চন্দ্র সাহা। কলা ও বাণিজ্য বিভাগ থেকে ২০৭ জন ও বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৭১ জন এবং মেডিক্যাল বিভাগের এক জনকে পি এইচডি দেওয়া হয়। পাশাপাশি ২০১৪ সালের ৩৭ জন, ২০১৫ সালের ৪০ জন ও ২০১৬ সালের ৪০ জন ছাত্রছাত্রীকে স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে আচার্য ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, স্বামী বিবেকানন্দের আদর্শে ছাত্র-যুবদের পড়াশোনায় এগিয়ে আসতে হবে। শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপধ্যায় বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে যুক্ত সকলকে আরও ধৈর্যশীল হতে হবে। ডি লিট প্রাপকরাও আবেগমথিত বক্তব্য রাখেন। হৈমন্তী শুক্লা বলেন, বর্ধমানে এসে আমি এই সম্মান পেয়ে খুবই আপ্লুত। এই সম্মান আমি সারা জীবন মনে রাখব। সূত্র: খবর অনলাইন আর/০৭:১৪/০২ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2ABlX2L
December 02, 2017 at 03:02PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top