সুরমা টাইমস ডেস্ক :: লক্ষ লক্ষ তাজা প্রাণের বিনিময়ে এসেছে স্বাধীনতা। মুক্তিযুদ্ধে যারা প্রাণ দিয়েছেন, সর্বস্ব হারিয়েছেন, সেই সব বীর সন্তানদের বিনম্র শ্রদ্ধা জানাতে শনিবার সূর্য্যদয়ের সাথে সাথে র্সবস্তরের মানুষ জড়োহন সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
শনিবার সকাল ৬টা ৩১ মিনিট থেকে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শুরু হয় শ্রদ্ধা নিবেদন। মহান বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে বাসা থেকে বের হয়েছে রায়হান। মাথায় বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা-স্বরূপ ব্যান্ডেনা, গাল রঙিন আল্পনার রঙে। হাতে আছে বাংলাদেশের লাল-সবুজ পতাকা। বাবার হাত ধরে হাঁটতে হাঁটতে সে মনোযোগী হয় মুক্তিযুদ্ধের গল্পে।
জেরিন, সোনিয়া, রিপা আর সজল এসেছে শহীদ মিনারে। সঙ্গে আছেন মা-বাবা, ভাইয়া। তাদের চোখে-মুখে কেন্দীয় শহীদ মিনার দেখার যতোখানি আগ্রহ-উদ্দীপনা, তারও বেশি দীপ্ত অঙ্গীকার বিজয় বোঝার, বিজয়ের নির্যাস অস্তিত্বে মেখে নেওয়ার। রায়হানের মাথায় বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা-স্বরূপ ব্যান্ডেনা, গাল রঙিন আল্পনার রঙে। কথা হচ্ছিলো রায়হানের বাবা জুবায়েদ আহমদের সঙ্গে। সিলেটভিউকে তিনি বলেন, ‘কঠিন ও দীর্ঘ একটা পথচলার পর আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। অনেক রক্তক্ষয়ের পর আমরা যে বিজয় অর্জন করেছি, তা সম্পর্কে তো নতুন প্রজন্মকে অবশ্যই জানতে হবে। আর জানার জন্য আজকের মতো করে দিন খুব কমই পাওয়া যায়, তাই বাসা থেকে বের হয়েছি ওদের নিয়ে।’
শিশুদের পাশাপাশি বিজয়ের এ দিনে নগরীর রাস্তায় সরব উপস্থিতি দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তরুণ-তরুণীসহ প্রায় সব শ্রেণি-পেশার মানুষের। লাল-সবুজের রঙে নিজেদের রাঙিয়ে আসা এই জনতার স্রোত শামিল হয়ে যায় বিজয়ের উৎসব-মিছিলে। নগরীর জিন্দাবাজরে কথা হয় ব্যবসায়ী আজিজুর রহমানের সঙ্গে। পরিবারের সঙ্গে ঘুরছেন বেশ আনন্দে। তিনি বলেন, ‘বিজয় আমাদের অহংকার, আমাদের অস্তিত্ব। এ দিনটা তাই নিজেদের মতো করেই উদযাপন করার দিন আজ।’
সকালে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের হাজারো মানুষের এই ভিড় যেন বলছিলো, রক্তমাখা বিজয়ের প্রতি বাঙালির আবেগের কথা। যে আবেগে সব বয়সের মানুষ ভেদাভেদ ভুলে একত্রিত হয় উৎসবের আয়োজনে। বিজয়ের রঙকে লাল-সবুজে রাঙিয়ে তারা তা মেখে নেয় নিজেদের অস্তিত্বে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2j9rP9h
December 16, 2017 at 02:22PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
Click to see the code!
To insert emoticon you must added at least one space before the code.