সিওমেকের ছাত্রী শারমিন সিলেট থেকে বাইসাকেল চালিয়ে কমলগঞ্জ গেলেন

সুরমা টাইমস ডেস্ক :: সিলেট নগরী থেকে বাইসাইকেল চালিয়ে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলায় গিয়েছেন সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজের (সিওমেক) শিক্ষার্থী শারমিন শায়রা শর্মি। শনিবার সকাল সাড়ে সাতটায় রওয়ানা দিয়ে বেলা দুইটার দিকে তিনি নিরাপদেই বাড়ি পৌঁছান।

শারমিনের গ্রামের বাড়ি কমলগঞ্জ উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের বাসিন্দা কৃষক তৈমুছ মিয়ার মেয়ে। পাাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। ২০০৯ সালে স্থানী স্কুল থেকে এসএসসি ও ২০১১ সালে এসএইচসি পরীক্ষায় পাস করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। বর্তমানে ওসমানী মেডিকেল কলেজে বিডিএস কোর্স অধ্যয়নরত আছেন তিনি।

শারমিন সিলেটভিউ২৪ডটকমকে জানান, প্রচার ঘুরাঘুরি করতে ভাল লাগে তার। কিন্তু সীমিত টাকার কারণে তিনি ভ্রমন যেতে পারেন নাই। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের ১১ এপ্রিল ‘টিম এসসিসি (সিলেট সাইক্লিং কমিউনিটি)’র হাত ধরে সাইকাল চালানো শুরু করেন। এরপর প্রকৃতির টানে আর মুক্ত হাওয়ার দোলায় একটা নেশা চলে আসে তার মধ্যে।

ওই নেশাকে কাজে লাগিয়ে ইতোমধ্যে শারমিন সাইক্লিংয়ে অসংখ্য সম্মানন অর্জন করেছেন। তিনি ২০১৬ সালের নভেম্বরে ১২ ঘন্টার এন্ডোমন্ড চেলেঞ্জে ফিমেইল ক্যাটাগরিতে সারা দেশে চ্যাম্পিয়ন, ২০১৭ সালের নভেম্বরে ৬ ঘন্টার এন্ডোমন্ড চেলেঞ্জে সারা বাংলাদেশে আবারো ফিমেইল ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরভ অর্জন করেন। এছাড়া সিলেটে আয়োজিত দুরন্ত সাইক্লিং প্রতিযোগীতায় দ্বিতীয় রানার্স আপ হয়েছেন তিনি।

তিনি আরো জানান, দুই চাকায় ভর করে টানা পাঁচ দিনে সিলেটের চার জেলা- জৈন্তাপুর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সুনামগঞ্জ ঘুরার অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। এছাড়া সিলেটের সব সুন্দর জায়গা জাফলং, বিছানাকান্দি, রাতারগুল, লালাখাল, ডিবিড় হাওরও সাইকেলে চেপেই ঘুরে বেড়িয়েছি কয়েকবার।

শারমিন মৌলভীবাজারে কমলগঞ্জ সফর সম্পর্কে জানান, আগে তিনি পাঁচদিনের সফরের সিলেটের অন্যান্য জেলার সাথে মৌলভীবাজার গেলেও কমলগঞ্জ যাওয়া হয়নি তার। তবে কি জন্য সেই উপজেলায় যাননি সেটার ব্যাখ্যা নিয়েছেন তিনি।

সিলেট এমএসি ওসমানী মেডিকেল কলেজের ওই ছাত্রী বলেন, ভয় ছিল যদি গ্রামের লোক কিছু বলে! কিন্তু এই বেদনা ভেতরে কাজ করছিল অল্প অল্প। তাই অবশেষে সাহস সঞ্চয় করে শনিবার সিলেট থেকে তিনজন ভাইকে সঙ্গে নিয়ে সাইকেলে প্যাডেল মেরে মেরে বাড়িতে নিরাপদে এসে পৌঁছাই। পূরণ করি মনের গহীণে লুকায়িত এক বিরাট স্বপ্ন।’

৮০ কিলোমিটারের রাস্তা নিরাপদেই পাড়ি দিয়েছেন জানিয়ে শারমিন বলেন, সিলেট নগরী থেকে সকাল সাড়ে সাতটার দিকে রওয়ানা দিয়ে ১১ টার দিকে মৌলভীবাজার পৌঁছাই। ওখানে কিছু সময় রেস্ট নেই। পরে ছয়সিঁড়ি দিঘী ঘুরাঘুরি করে ২টার দিকে বাড়িতে পৌঁছাই।’



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2zL9iq9

December 04, 2017 at 04:14PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top