সুরমা টাইমস ডেস্ক:: সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার সীমান্তের খাঁসি হাওর এলাকায় টাস্কফোর্সের অভিযানে অবৈধ পাথর উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। এসময় অভিযানে ২০টি শ্যালো মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ই ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় উপজেলার সীমান্তের খাঁসি হাওর এলাকার ১২৭৮নং আন্তর্জাতিক পিলারের ৫এস সংলগ্ন এলাকায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে অভিযান পরিচালিত হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, খাঁসি হাওর এলাকার ১২৭৮নং আন্তর্জাতিক পিলারের ৫এস সংলগ্ন খাঁসি নদী হতে মোঃ আকবর আলী ও মো. আব্দুস ছাত্তারের নেতৃত্বে পাথর খেকো চক্র সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে অবৈধ বোমা মেশিন ব্যবহার করে পাথর উত্তোলন করে আসছে। প্রশাসনের পক্ষ হতে ২রা ডিসেম্বর নিষেধাজ্ঞা জারী করার পরও চক্রটি নদীতে বাঁধ দিয়ে পানি প্রবাহ বন্ধ করে এবং সেচ দিয়ে পাথর উত্তোলন করে আসছে।
আজ বৃহস্পতিবার জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌরীন করিমের নেতৃত্বে সকাল ১১টায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে অন্তত ২০টি শ্যালো মেশিন ধ্বংস করা হয়েছে।
এছাড়া যেহেতু খাঁসি নদীর সরকারী কোন লীজ কিংবা কোয়ারী নয় সেহেতু নদীর উৎসমুখ হতে বালু পাথর উত্তোলন করা সম্পূর্ণ বেআইনি ঘোষণা করে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হয়। এলাকাবাসীর দাবী পাথর খেকোদের হাত থেকে নদীকে এবং শত শত একর ফসলী জমি রক্ষার জন্য প্রশাসনের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। অন্যথায় খাঁসি হাওরের জৈব বৈচিত্র্য ধ্বংস হবে শত শত একর ফসলী জমি বিলীন হয়ে জাফলংয়ের মত পরিবেশ ধ্বংস হবে। এছাড়া জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
এবিষয় জানতে চাইলে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌরীন করিম বলেন, সহকারী কমিশনার(ভূমি) কে পাঠিয়ে অবৈধ কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়ার পরও পাথর খেকো চক্রের সদস্যরা খাঁসি নদী হতে তাদের কার্যক্রম বন্দ করেনি। খাঁসি নদীতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে ২০টি শ্যালো মেশিন ধ্বংস করি এবং যেখানে যেখানে বাঁধ দেয়া হয়েছিলো সেগুলোকে ভেঙ্গে দিয়ে পানি চলাচল স্বাভাবিক করে দিয়েছি। যাতে তারা ইচ্ছা করলেও এখন থেকে পাথর আর না তুলতে পারে।
তিনি আরো বলেন, অনুসন্ধানের মাধ্যমে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরকে জানানো হবে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2BHRGfw
December 07, 2017 at 09:39PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন