কলকাতা, ১৯ ডিসেম্বর- কালা বিল। ড্রাকুলা আইন। রাজ্যজুড়ে পথে নামবে তৃণমূল। সংসদেও ধরনায় বসা হবে। ১৫ ডিসেম্বর তৃণমূলের কোর কমিটির সভা শেষে সাংবাদিক বৈঠক করে FRDI ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ দাগেন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। FRDI বিল প্রত্যাহারের দাবিতে কেন্দ্রকে চিঠিও পাঠিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে দলীয় সাংসদদের শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকেই সুর চড়াতে বলেছেন মমতা। তাঁর নির্দেশ মতো, আজ সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধিমূর্তির নিচে ধরনা কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। কর্মসূচির কথা জনে জনে জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু, কী কর্মসূচি, কেন কর্মসূচি তা জানেনই না অর্ধেক তৃণমূল সাংসদ। এবিষয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হয় রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের সঙ্গে। তিনি কর্মসূচির কথা শুনেই থ হয়ে যান। বলেন, ধরনা ? ধরনার ব্যাপারে তো কেউ কিছু বলেনি। তাঁকে জানানো হয়, আজকের কর্মসূচির কথা। প্রশ্ন করা হয় FRDI ইস্যুতে প্রতিবাদের ভাষা কী হবে ? জবাবে সুখেন্দুবাবু বলেন, ধরনার ব্যাপারেই কিছু জানি না। আমি তো কোনও SMS পাইনি। আর এক প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়ও শুনে চমকে গেলেন। বললেন, না, না এসব কিছু জানি না। আমার কাছে ধরনা নিয়ে কোনও তথ্য নেই। যারা বলেছে, তাদের জিজ্ঞাসা করুন। পরে অবশ্য তিনি নিজে যোগাযোগ করেন ইনাডু বাংলার প্রতিনিধির সঙ্গে। বলেন, হ্যাঁ, কর্মসূচি আছে। গান্ধিমূর্তির নিচে ধরনা দেওয়া হবে। প্রশ্ন করা হয়, কীভাবে প্রতিবাদ করবেন ? সৌগতবাবু বলেন, পোস্টার নিয়ে দাঁড়াব। স্লোগান দেব। কেন্দ্রকে এই বিল প্রত্যাহারের দাবি জানাব। দিল্লিতে এত বড় একটা কর্মসূচি। স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ। তারপরও কী করে সাংসদরা তা জানতে পারলেন না ? রাজ্যসভার তৃণমূলের সংসদীয় দলনেতা ডেরেক ওব্রায়েন অবশ্য বলছেন, সবাইকে জানিয়ে দিয়েছি। SMS করেছি। আগামীকাল সংসদের বাইরে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ধরনা কর্মসূচি আছে। দেখে নেওয়া যাক : FRDI বিল কী ? ফিনান্সিয়াল রেজ়োলিউশন অ্যান্ড ডিপোজ়িট ইনসিওরেন্স বিল। এই বিল সংসদে এখনও পাশ হয়নি। আটকে রয়েছে সংসদীয় যৌথ কমিটিতে। তা সত্ত্বেও FRDI বিল নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, এই বিল আইনে পরিণত হলে দেউলিয়া ঘোষণার মুখে থাকা ব্যাঙ্কে রাখা টাকা ফেরত পাওয়ার ব্যাপারে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত থাকতে পারবেন না গ্রাহকরা। যদিও অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, ব্যাঙ্ক দেউলিয়ার মতো ঘটনা ঘটলে গ্রাহকদের পুরো টাকার সুরক্ষা নিশ্চিত করবে সরকারই। খসড়া বিলের ৫২ নম্বর ধারা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিতর্ক। সেখানে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, কোনও ব্যাঙ্ক দেউলিয়া ঘোষণার মুখে থাকলে তারা ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। গ্রাহকদের আমানতের টাকা অনুমতি না নিয়েই বাড়তি সময় আটকে রাখতে পারবে। প্রয়োজন পড়লে তা বদলে দিতে পারবে শেয়ার, ডিবেঞ্চার, বন্ডে। এআর/০৯:৪৮/১৯ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2CCGukS
December 19, 2017 at 03:47PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top