জলপাইগুড়ি, ১৯ ডিসেম্বরঃ টাকা চাইতে গিয়ে ওষুধ ব্যবসায়ীর হাতে হেনস্থার পাশাপাশি চোর অপবাদ। অন্যদিকে, রোগী মৃত্যুতে ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিস্টমেন্ট অ্যাক্ট অনুসারে চিকিত্সকদের ৩০৪ ধারা দেওয়া হচ্ছে। এর প্রতিবাদেই সোমবার রাতে থেকে আমরণ অনশন শুরু করলেন জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালের চিকিৎসক কুমার অতনু। জলপাইগুড়ি শহরের দিশারী মোড় এলাকায় তিনি অনশনে বসেন।
সম্প্রতি জলপাইগুড়ি শহরের একটি বেসরকারি নাসিংহোমে এক রোগীর মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় নাসিংহোমের মালিক পক্ষ সহ মোট ৫ জনের বিরুদ্ধে ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিস্টমেন্ট অ্যাক্ট অনুসারে কোতয়ালি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন রোগীর পরিবার। অভিযোগ অনুসারে চিকিত্সকদের বিরুদ্ধে পুলিশ ৩০৪ ধারায় মামলা দায়ের করে। অভিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন চিকিত্সক কুমার অতনুও।
অন্যদিকে, এক ওষুধের দোকানের মালিক সৌকত চট্টোপাধ্যায়কে ল্যাব তৈরি করার জন্য ১০ লক্ষ টাকা ধার দিয়েছিলেন কুমার অতনু। অভিযোগ, পরবর্তিতে ওই টাকা চাইতে গেলে তাঁকে হেনস্থা করেন সৌকতবাবু। এমনকি ওই চিকিত্সককে চোর অপবাদ দেন তিনি। এই অপমান সহ্য করতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করার চেষ্টাও করেছিলেন। চিকিত্সক অতনুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে কোতয়ালি থানার পুলিশ ওই ওষুধ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে। কিন্তু পরবর্তিতে সৌকতবাবুকে জামিন দেয় জলপাইগুড়ি জেলা আদালত।
চিকিত্সক অতনু জানান, চিকিৎসা করতে গিয়ে কিছু হলেই ৩০৪ ধারায় চিকিত্সকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হচ্ছে। আবার চিকিত্সকদের বিভিন্ন সময় চোর অপবাদও দেওয়া হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায়না।
সংবাদদাতাঃ দিব্যেন্দু সিনহা
from Uttarbanga Sambad | Largest Selling Bengali News paper in North Bengal http://ift.tt/2D1Y1E8
December 19, 2017 at 01:23PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন