পায়ের ছোঁয়ায় শাসন করেছিলেন ফুটবল বিশ্ব। ১৮ বছরের বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারে আফ্রিকান এই তারকা মাঠ দাপিয়ে বেড়িয়েছিলেন মোনাকো, পিএসজি, এসি মিলান, চেলসি, ম্যানসিটি, অলিম্পিক ডি মার্শেই ও আল জাজিরার জার্সি গায়ে। ইউরোপের বাইরের প্রথম ফুটবলার হিসেবে ১৯৯৫ সালে প্রথম ব্যালন ডিঅর জেতেন তিনি। যদিও পরের বছরও জয়ের সুযোগ ছিল। কিন্তু ব্রাজিলের কিংবদন্তী ফুটবলার বিশ্বকাপ জয়ী রোনাল্ডোর কাছে পরাজয় মানতে হয় তাকে। দ্বিতীয় হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাকে। ৯০র দশকের কয়েক বছর উইয়াহ ছিলেন বিশ্বের সেরা স্ট্রাইকারদের একজন। ইউরোপে ১৯৮৮ সালে মোনাকোতে প্রথম খেলতে আসেন উইয়াহ। এরপর ফ্রান্সেরই পিএসজিতে যাওয়ার আগে করেন ৪৭ গোল। প্যারিসের ক্লাবটির হয়ে লিগ জেতেন ১৯৯৪ সালে। পরের বছর হন চ্যাম্পিয়নস লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতা। সে বছরই যোগ দেন এসি মিলানে। আরও পড়ুন: মেসিকে সতর্ক করল নেইমার এসি মিলানের হয়ে প্রথম মৌসুমেই সিরি আর শিরোপা ঘরে তোলেন। দ্বিতীয়বার জেতেন ১৯৯৯ সালে। এরপর পাড়ি জমান ইংল্যান্ডে। অল্প সময়ের জন্য খেলেন চেলসি ও ম্যানচেস্টার সিটিতে। ১৯৯৫ সালের আগে ইউরোপের বাইরে কোনো ফুটবলারকে ব্যালন ডিঅর পুরস্কারের জন্য বিবেচনা করা হতো না। নিয়ম বদলানোর পর উইয়াহ একমাত্র আফ্রিকান হিসেবে এ পুরস্কার ঘরে তোলেন। পরবর্তীতে আর কোনো ফুটবলার এই সম্মান পায়নি। তবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবশ্য লাইবেরিয়াকে কখনো বিশ্বকাপে তুলতে সাহায্য করতে পারেননি উইয়াহ। ১৮ বছরের বর্নাঢ্য ক্যারিয়ারের সমাপ্তি টানেন ২০০৩ সালে। ফুটবলকে বিদায় দিলেও একই বছর নতুন ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নেন রাজনীতিকে। দুই বছর পর দেশটির প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করে হেরে যান তিনি। এর ছয় বছর পর ভাইস প্রেসিডেন্ট পদেও পরাজয় বরণ করেন। তারপরও দমে যাননি তিনি। এ যেন একবার না পারিলে দেখো শতবার- এই আপ্তবাক্যে মনে-প্রাণে বিশ্বাস করতেন। লক্ষ্যে ছিলেন অবিচল, ফলও ধরা দিয়েছে হাতে। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর নিজ এলাকার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়ে রাজনীতিতে প্রথম সাফল্য পান। এরপর তিনি লাইবেরিয়ার পার্লামেন্টে সিনেটর নিযুক্ত হন। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দাঁড়িয়ে প্রথম দফা নির্বাচনে নির্দিষ্ট পরিমাণ ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় নির্বাচন গড়ায় দ্বিতীয় ধাপে। দ্বিতীয় ধাপের ভোট গ্রহণ শেষে গত বৃহস্পতিবার দেশটির নির্বাচন কমিশন জানায় ব্যালটের মাধ্যমে শতকরা ৬১.৫ শতাংশ ভোট পেয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট এলেনের পর লাইবেরিয়ার দ্বিতীয় রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন। দেশটির জাতীয় নির্বাচন কমিশন জানায়, নির্বাচনে ৯৮.১ শতাংশ ভোট পড়ে। জর্জের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জোসেফ বোয়াকাই পেয়েছেন ৩৮.৫ শতাংশ ভোট। জর্জ দেশটির প্রথম নির্বাচিত নারী প্রেসিডেন্ট এলেন জনসন স্যারলিফের স্থলাভিষিক্ত হবেন। ১৯৪৪ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর গৃহযুদ্ধ বিপর্যস্ত দেশটিতে প্রথম গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ক্ষমতায় আসেন এলেন। দীর্ঘদিন দেশটির সংসদে সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সূত্র: আরটিভি অনলাইন আর/১৭:১৪/২৯ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2CmEkH0
December 30, 2017 at 12:02AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top