ঢাকা, ২৯ ডিসেম্বর- বছরজুড়ে সঙ্গীতাঙ্গনে ছিল তারুণ্যের জোয়ার। অনলাইন প্রকাশ হয়েছে প্রচুর গান। তবে বছরে আলোচনা তৈরি করার মতো গান ছিল সীমিতসংখ্যক। অ্যালাবামের চাইতে সিঙ্গেল ট্র্যাক প্রকাশেই বেশি আগ্রহী ছিলেন শিল্পীরা। গানের সঙ্গে ভিডিও নির্মাণ যেন এখন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এবছরও প্রকাশ হয়েছে বেশ কিছু মিউজিক ভিডিও। এবছরে বেদনার বার্তা নিয়ে এসেছিল-সুধীন দাশ, বারী সিদ্দিকী, লাকী আখান্দ, আব্দুল জব্বারের মতো বরেণ্য সঙ্গীতশিল্পীদের প্রয়াণের খবর। বছরজুড়ে চোখে পড়ার মতো ছিল তরুণ শিল্পীদের গানের জনপ্রিয়তা। বেশ কয়েকজন তরুণ শিল্পীর গান ইউটিউবে কোটির উপর ভিউয়ার হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-জেমসের তোর প্রেমেতে। গানটি মাত্র চার মাসে এক কোটি দর্শক পেয়েছে ইউটিউবে। হাসিবুর রেজা কল্লোল পরিচালিত সত্তা ছবির গান এটি। ইমরানের গাওয়া মোট চারটি গান কোটির চৌকাঠ পেরিয়েছে। এই গানগুলোর মধ্যে আছেবসগিরি সিনেমার গান দিল দিল দিল, ফিরে আসো না, বাহুডোরে, ফিরে আসো না। কনার গাওয়া রেশমি চুড়ি গানটিও কোটি ছুঁয়েছে এবছর। মিনারের ঝুম এবছর দুই কোটি ভিউ ছাড়িয়েছে। গত বছরের ১৬ জুন ইউটিউবে প্রকাশ করা হয় গানটি। শাওন গানওয়ালার ইচ্ছে মানুষ গানটি কোটির ভিউ হয়েছে। কোটি ভিউয়ার পাওয়া গানের তালিকাতে আরো আছে ধ্রুব গুহরযে পাখি ঘর বোঝে না ও শুধু তোমার জন্য। এফ এ সুমনের জান রে, জনি খন্দকার ও মোহনার তুমি আমার, নবীন শিল্পী সজীব রানা ও সালমার গাওয়া সুজন। আরও পড়ুন: বড় ধামাকার আভাস দিলেন ববি আলোচনা ছড়িয়েছে চিরকুট ব্যান্ডের আহারে জীবন গানটি। মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ডুব সিনেমায় গানটি ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া ঢাকা অ্যাটাক সিনেমায় নতুন করে সঙ্গীতায়োজন করা হয়েছে মতিন চৌধুরীর টিকাটুলী গানটি। এই গানটিও বেশ আলোচিত হয়েছে। এছাড়া তাই তোমার খেয়াল, কারণে অকারণে, না জানি কোন অপরাধে, ঘুম, বউ এনে দে, বেয়াইনসাব, আবার, আমার ইচ্ছে কোথায় গানগুলো আলোচিত হয়েছে। আলোচিত মিউজিক ভিডিওর মধ্যে রয়েছে-কন্যারে, মন খারাপের দেশে, দেয়ালে দেয়ালে, ধোঁয়া, আবার, আগুন, খামোখাই ভালোবাসি, কি করে তোকে বোঝায়, উৎসবের বাংলাদেশ, জাদুকর, লিজেন্ড, নেশা প্রভৃতি। এই মিউজিক ভিডিওগুলোর বেশিরভাগই ইউটিউবে ৫০ লাখেরও বেশি ভিউয়ার দেখেছেন। আবার অশ্লীলতার অভিযোগে কুসুম শিকদারের নেশা গানের শিল্পী ও ভিডিও নির্মাতার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গানটি বিতর্কের মুখে পরবর্তীতে ইউটিউব থেকে সরিয়ে নেয়া হয়। এবছরে বেশ কিছু ব্যান্ডদলে ভাঙনের খবর জানা গেছে। ৩৬ বছরের পুরনো ব্যান্ড মাইলসে লেগেছে ভাঙনের ঢেউ। এছাড়া গত ৬ অক্টোবর শিরোনামহীন ব্যান্ডের ভোকালিস্ট তানযীর তুহীন ব্যান্ড থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। পরবর্তীতে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে আভাস নামের নতুন ব্যান্ড করার ঘোষণা দেন তানযীর তুহীন। আভাস ব্যান্ডের পাঁচ সদস্যের তিনজনই ব্যান্ড অবসকিওরের সঙ্গে যুক্ত। বিষয়টিকে ভালোভাবে নেয়নি অবসকিওর। আভাস-এ যোগ দেয়া তিনজনকে অবসকিওর থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। ২০ ডিসেম্বর শারীরিক অসুস্থতার জন্য ব্যান্ড থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন ওয়ারফেইজ ব্যান্ডের কমল। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে জলের গান ছেড়েছেন কনক আদিত্য। এবছর সঙ্গীতাঙ্গন হারিয়েছে বেশ কয়েকজন গুণী সঙ্গীত ব্যক্তিত্বকে। তাদের মধ্যে রয়েছেন- সঙ্গীতকার সুধীন দাশ, সঙ্গীত গবেষক ড. করুণাময় গোস্বামী, সঙ্গীতশিল্পী আবদুল জব্বার, বারী সিদ্দিকী ও লাকী আখন্দ। ২১ এপ্রিল না ফেরার দেশে চলে যান বাংলা সঙ্গীতের কিংবদন্তি শিল্পী, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক লাকী আখন্দ। ২৭ জুন মৃত্যুবরণ করেন সঙ্গীতজ্ঞ, স্বরলিপিকার ও নজরুল গবেষক সুধীন দাশ। একুশে পদকপ্রাপ্ত সঙ্গীত গবেষক ড. করুণাময় গোস্বামী ৩০ জুন মৃত্যুবরণ করেন। ৩০ আগস্ট না ফেরার দেশে চলে যান স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত কণ্ঠশিল্পী আবদুল জব্বার। লোকগানের প্রখ্যাত শিল্পী ও বংশীবাদক বারী সিদ্দিকী মৃত্যুবরণ করেন ২৪ নভেম্বর। সূত্র: আরটিভি অনলাইন আর/১৭:১৪/২৯ ডিসেম্বর



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2lpP3sq
December 30, 2017 at 12:41AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top