কুয়ালালামপুর, ০৭ ডিসেম্বর- মালয়েশিয়ায় শ্রমিক বৈধ করন প্রক্রিয়া নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে দেশটির ইমিগ্রেশন ও বাংলাদেশ দূতাবাস। মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের ১৬ সদস্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে এমনটি আলোচনা হয়। তবে মালয়েশিয়া ইমিগ্রেশনের বড় কর্তারা এই প্রথম বাংলাদেশ দূতাবাসে এসে জরুরি বৈঠক করলেন বলে দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে। বুধবার মালয়েশিয়া সময় সকাল ১০ টায় দূতাবাসের কন্ফারেন্স রোমে শ্রম কাউন্সেলরের সভাপতিত্বে অনুষ্টিত জরুরি বৈঠকে নেতৃত্ব দেন, মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশন বিভাগের ফরেন এফেয়ার্স ডিভিশনের প্রধান দাতু খাইরিল, ডাইরেক্টর ডিটেনশন সালেহা, ডাইরেক্টর ইনফোর্সমেন্ট সারভানান। দূতাবাসের কমার্শিয়াল উইং প্রধান ধননজ্য় কুমার দাস, শ্রম শাখার প্রথম সচিব মো: হেদায়েতুল ইসলাম মন্ডল, শ্রম শাখার ২য় সচিব মো: ফরিদ আহমদ ও ২য সচিব (রাজনৈতিক) তাহমিনা ইয়াছমিন। এ ছাড়া মাই- ইজি, বক্তিমেঘা ও ইমান কোম্পানির প্রতিনিধিরাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে গত ৩০ নভেম্বর পুত্রাযায়া ইমিগ্রেশন বিভাগের হলরোমে দূতাবাসের শ্রম কাউন্সেলরের নেতৃত্বে ইমিগ্রেশনের বড় কর্তাদের সঙ্গে এমনটি আলোচনা হয়। ২০১৬ সালের ৩০ জুন থেকে শুরু হওয়া রি-হিয়ারিংয়ের আওতায় তিনটি ক্রাইটেরিয়ার মাধ্যমে বিদেশি শ্রমিকদের বৈধ করন প্রক্রিয়া। আর এ প্রক্রিয়া শেষ হচ্ছে চলতি মাসের শেষের দিকে। দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগের কড়া নজর দারিতে শেষ সময়ে মাই- ইজি , বক্তিমেঘা ও ইমান কোম্পানীর এ তিনটি ভেন্ডরে নিবন্ধনের কাজ নিবিড় পর্যবেক্ষণ করছে দেশটির ইমিগ্রেশন বিভাগ ও বাংলাদেশ দূতাবাস। মালয়েশিয়ার ইমিগ্রেশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে শ্রম কাউন্সেলর সায়েদুল ইসলাম দেশটিতে কর্মরত ইলেক্ট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন সাংবাদিকদের বলেন, মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশি অবৈধ কর্মি যারা এখনো নিবন্ধিত হয়নি ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধিত হওয়ার পরামর্শ বার বার তাগিদ দিয়ে আসছে বাংলাদেশ দূতাবাস। সায়েদুল ইসলাম বলেন, মাই-ইজি, বক্তিমেঘা ও ইমানে যারা নিজ নিজ কোম্পানির মাধ্যমে রেজিষ্ট্রেশনের পর ইমিগ্রেশনে অঙ্গুলের চাপসহ নিবন্ধিত হবেন তারাই সে দেশে বৈধ হিসেবে গণ্য হবেন। যারা বিভিন্ন কোম্পানির মাধ্যমে মাইইজি, বিএম ও ইমানে নিবন্ধন করে দীর্ঘদিন পরও মালিক পক্ষ অভিবাসন বিভাগে নিবন্ধন করছেন না বা মালিকের আর খোঁজ-খবর নেই, তারা মাইইজি, বিএম ও ইমানের অফিসে সরাসরি যোগাযোগ করলে অন্য কোনো কোম্পানির মাধ্যমে নিবন্ধিত হওয়ার সুযোগ পাবেন। এ জন্য শ্রমিককে অতিরিক্ত ফি দিতে হবে না। ইতিমধ্যে মাই- ইজি কোম্পানি দূতাবাসের পার্শে একটি বুথ স্থাপন করেছে কর্মিদের সুবিধার্থে । যে কোন তথ্য তাদের বুথ থেকে জানা যাবে। এ ছাড়া মাই- ইজি চলতি মাসের প্রথম থেকে হট লাইন চালু করেছে। ০৩৭৬৬৪৮৫৫৫ এ হটলাইনে কর্মিরা তাদের অবস্থান জানতে পারবেন। এর পাশাপাশি এতিনটি ভেন্ডরের কার্যক্রম প্রতি দিন পর্যবেক্ষন করবে। এ ছাড়া যদি কেউ মিডিলমেনদের দ্বারা প্রতারিত হন সে বিষয়টিও দূতাবাসে জানাতে হবে। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে শ্রম কাউন্সেলর বলেন, দূতাবাস প্রতিদিন প্রায় দু থেকে আড়াই হাজার লোককে সেবা দিয়ে আসছে। শুধু তাই নয় বন্ধের দিনে প্রতি শনি ও রবিবার প্রত্যেকটি প্রদেশে কনস্্যুলার সেবা দেয়া হচ্ছে । দূতাবাসে গত ৫ মাসে ১ লাখ ৯০ হাজার ৯শ ২৩ জন কর্মি পাসপোর্টের আবেদন করেন। এর মধ্যে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৩০২ জন কর্মিও হাতে নতুন পাসপোর্ট দেয়া হয়েছে। রি-হিয়ারিংএর আওতায় যারা সকল প্রক্রিয়া শেষ করেও পাসপোর্ট হাতে পাননি এমনটি হলে দ্রুত শ্রম শাখায় জানাতে বলেছেন শ্রম কাউন্সেলর। আর/১৭:১৪/০৭ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2BN7Fd3
December 07, 2017 at 11:12PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন