ঢাকা, ০৭ ডিসেম্বর- শিরোনাম দেখে চমকে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। গত কয়েকদিন ধরে দেশবাসীর অন্যতম আলোচনার বিষয় ঢালিউডের পর্দা ও বাস্তব জীবনের জুটি অপু-শাকিবের ডিভোর্স। এবার সবার মনে নতুন দ্বিধার জন্ম নিচ্ছে তাঁদের বিয়ের তারিখ নিয়ে। ২০১৭ এর ১০ এপ্রিল ছেলে আব্রাম খান জয়কে সঙ্গে নিয়ে টেলিভিশন চ্যানেলে লাইভে এসে শাকিবের সঙ্গে প্রেম, বিয়ে ও তাদের সন্তান হওয়ার পুরো ঘটনা বর্ণনা করেন অপু বিশ্বাস। তখন সেই ঘটনা হয়ে ওঠে টক অব দ্য টাউন। অপু বিশ্বাস সেই অনুষ্ঠান থেকে শুরু করে সমস্ত জায়গায় বলে এসেছেন তাদের বিয়ে হয়েছিল ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল, শুক্রবার। বিয়ের স্থান ছিল শাকিবের বাসা, যেখানে সাক্ষী ছিলেন অপুর মেঝ বোন, শাকিবের চাচাত ভাই এবং উকিল বাবা ছিলেন প্রযোজনা ব্যবস্থাপক মামুনুজ্জামান মামুন । সম্প্রতি চ্যানেল আই এর সাময়িকী অনুষ্ঠানেও তিনি এই তথ্যই দিয়েছেন। কিন্তু, গত প্রায় নয় মাস ধরে দেয়া অপুর এই তথ্যের সাথে ভিন্নতা দেখা যাচ্ছে শাকিব খানের ডিভোর্সের অনুমতি পত্রে। চ্যানেল আই অনলাইনের হাতে আসা ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন বরাবর শাকিবের ডিভোর্স দেয়ার অনুমতি পত্রটিতে দেখা যায়, শাকিব বলছেন ২০০৮ সালের ১৬ মার্চ তিনি অপু বিশ্বাসকে মুসলিম শরিয়াহ মোতাবেক বিয়ে করেছেন। তাহলে কে ঠিক? এতদিন ধরে গণমাধ্যমকে বলে ১৮ এপ্রিল বিয়ের তারিখ বলা অপু কী মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছিলেন? নাকি নিজের বিয়ের তারিখটিও আসলে ভুলে গেছেন শাকিব খান? সিটি কর্পোরেশনের কাছে দেয়া আবেদন পত্রে কি আসলেই ভুল লিখেছেন শাকিব? এমন প্রশ্ন এখন ভিড় করছে শাকিব-অপুর ভক্ত, দর্শক ও দেশের জনগণের মনে। একের পর এক ঘটনার বেড়াজালে শেষ পর্যন্ত বিয়ের তারিখ নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়। পর্দার জুটি বাস্তবেও যেন ক্রমাগত সিনেমার গল্প বুনে যাচ্ছেন নিজেদের জীবন নিয়ে। সূত্র: চ্যানেল আই অনলাইন আর/১৭:১৪/০৭ ডিসেম্বর
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2jnEiGM
December 07, 2017 at 11:59PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন