কে এই শেল্টারদাতা বেপরোয়া বিএনপি নেতা কালামের ,


সুরমা টাইমস ডেস্ক ঃঃ দীর্ঘ ২মাস ধরে ঢাকার এপোলো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ নেতা শাহীনূর রহমান শাহীন। তার উপর নির্মম হামলা করেছেন বিএনপি নেতা আবুল কালাম সহ তার ৮ সহযোগী।

কিন্তু এখনো গ্রেফতার করতে পারেনি হামলার হোতাদের পুলিশ । তারা প্রকাশ্য ঘুরে বেড়াচ্ছে জনগন ও প্রশাসনের সামনে। অথচ সরকারে বাংলাদেশ আ্ওয়ামীলীগ।

আ্ওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠনের একজন নেতার উপর হামলার পরও বিহিত ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষুব্ধ দলের নেতাকর্মীরা। এমন হামলার বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় সর্বত্র। সাধারন মানুষের অন্তর কাঁদছে শাহীনের জন্য। কিন্তু হামলাকারীদের ব্যাপারে দলের রহস্যজনক ভূমিকায় নানামুখী প্রশ্নের জন্ম নিয়েছে। একাধিক সূত্র জানায়, হামলার ঘটনার মামলা দায়ের হলেও বিএনপি নেতাদের আশ্রয়-প্রশয় দাতার ভূমিকায় গোপনে কাজ করছেন খোদ আ’লীগের চিন্থিত কতিপয় নেতা।

তারা শাহীনের উপর হামলার ঘটনাকে পুজি করে পকেট্ ভারী করছেন, সেকারনে প্রশাসনকে নিস্ক্রিয় করে রেখেছেন বলেও গুঞ্জন চলছে। মুজিব সৈনিকের রক্তের সাথে বৈইমানীর মধ্যে দিয়ে বিএনপি নেতাকে বেপরোয়া করে, দলের নীতি আর্দশ জলাঞ্জলির পরিনাম যে শুভ হবে না, সেই হিসাব মিলাতে সময়ের অপেক্ষা করছে শাহীনের সহযোদ্ধারা। সরকারে থাকার পরও দলের নেতাকর্মীরা অসহায় হয়ে, দ্বারে দ্বারে ঘুরছে।

কিন্তু হামলাকারীদের রক্ষা করতে, মামলা থেকে বাচাতে তৎপর ওই সব নেতারা। এদের মধ্যে কথিত ট্রাক মালিক গ্রুপের অবৈধ এক নেতাও রয়েছেন, যার গাড়ি নেই অথচ তার নামে ট্রাক থেকে চাদা তোলা হয়।

আ’লীগের নেতা সেজে, দলের লোকদের উপর হামলার পর তার অর্থ রুজির ধান্ধা মিশন হয়ে দাড়িয়েছে, সেকারনে দলের লোকদের রক্তের সাথে বৈইমানী করে তিনি বিএনপি নেতাকে রক্ষার জন্য তদবির করছেন। তার নিকট নিরাপদ, বিএনপির এই নেতা। কারন দলের লোকদের নিকট থেকে টাকা নেওয়া সুবিধাজনক নয় মনে করে বিরোধী দলের নেতাকে শেল্টার দিয়ে পকেট ভারী করছেন তিনি। তার তদবিরে মামলা থাকার পরও বিএনপি নেতা কালাম ও তার সহযোগীরা বেপরোয়া ভাবে ঘুরছে।

আর হামলায় রক্তাক্ত হয়ে সারাজীবনের জন্য চুক্ষ হারিয়ে অন্ধতা বরণ করতে যাচ্ছে কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগ নেতা শাহীনূর। কালামের টাকার লোভে পড়ে আ’লীগের সুবিধাভোগী নেতারা দলের নেতাকর্মীদের অসহায় করে তোলেছেন। অথচ ওই নেতাকর্মীদের ত্যাগ তীতিক্ষায় তারা নেতা হন এমপি হন মন্ত্রী হন। বাস টার্মিনালের কতটা অসহায় সরকার দলীয় লোকজন এই হামলা তার প্রমান।

বিএনপির দুরন্ধর নেতা কালাম, অবৈধ অর্থ দিয়ে সরকার দলীয় কতিপয় নেতাকে তুষ্ট করে রেখেছে বলে তারা দলে থেকে দলের লোকজনের বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে। প্রায় ৩ যুগ ধরে বাস টার্মিনালে আধিপত্য বজায় রেছে চলছেন বিএনপি নেতা কালাম। জকিগঞ্জ বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি তিনি দখল করে আছেন প্রায় ২৫ বছর ধরে। দেননি কোন নির্বাচন, কেউ কথা বললে তাকে অপসারন বা বহি:স্কার করে দেন।

সর্বশেষ আ’লীগ নেতা পরিবহন ব্যবসায়ী আব্দুল মান্নানকে কমিটি থেকে বহি:স্কার করেছেন তিনি। এঘটনায় আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে মামলা করলেও তদবির জোরে রির্পোট পক্ষে নিয়ে নেন কালাম। তার পক্ষে জোর তদবির করেন, খোদ আ’লীগ নেতারা। সেই নেতারা কালামের গোপন ব্যবসায়িক অংশিদার। জকিগঞ্চ বাস মিনিবাস মালিক সমিতির নেই কোন বৈধ অনুমোদন ।

অবৈধভাবে সাধারন সম্পাদকের পদ দখল করে রয়েছেন তিনি। এ পদে থেকে লুটপাট্ করছেন, এর একটি অংশ বন্টন করছেন সরকার দলীয় নেতাদের। এছাড়া কালামের আন্ত:জেলা রোডে কোন গাড়ি নেই, তারপরও তিনি সেই রোডে বিভিন্নভাবে অর্থ উর্পাজন করে, ভাগ বাটোয়ার দেন। টার্মিনালে নানা অবৈধ কাজের হাট রয়েছে। সেখান থেকেও বাগ-বাটোয়ার তুলেন তিনি। তার লোকজন আ’লীগ নেতারদের বখরা দেওয়ার নামে এই টাকা তুলে। টার্মিনালের অভ্যন্তরে ব্যাচলার রুম ভাড়া দিয়েছেন বিএনপি নেতা কালাম। সেখানে শিলং তীর খেলা সহ জুয়ার আড্ডা, নেশার নানা ব্যবস্থা রয়েছে।

কালামের লোকজন আ’লীগ নেতাদের জন্য চাদা তুলে, তারপর তারা পকেটে নেয়। টার্মিনালে আ’লীগ-যুবলীগ নেতাকর্মীদের হামলা মামলা দিয়ে হয়রানী করে কালাম। উল্টো তাদের হয়রানীকে পুজি করে দুরে বসে বিএনপি নেতার সাথে আতাত করে মাসোহারা টাকা কামাই করছেন আ’লীগ নেতারা। কালাম তাদের আশ্রয়ে বেপোরোয়া, সরকারে বিএনপি না থাকলেও আ’লীগ নেতাদের রুজগারী পূত্র হিসাবে ভূমিকা রাখছেন বিএনপি নেতা কালাম।

সেকারনে গোপনে প্রকাশ্যে সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের গাল মন্দ করেন তিনি। এই গাল মন্দ শুনে আফসোস করছে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। কিন্তু কালাম তাদের গাল মন্দ করলে, সুবিধাভোগী নেতাদের কূলে বসে অট্রহাসি দিচ্ছে, মসকরা করে দেখাচ্ছে তোমাদের নেতারা আমার টাকায় চলে। তার সহযোগীরা বলে, কালামকে এই সরকার কিছূ করতে পারবে না কারন কালামের টাকায় আ’লীগের নেতাদের পকেট ভরে।

তারা কালামকে পুষে রাখছেন অবৈধ অর্থ রুজির জন্য। তার প্রমান টার্মিনালে সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা মাথা নিচু করে চলাফেরা করে, সারা দেশে যা হয় না। কারন কালাম সরকার দলীয় নেতাদের তার ব্যবসায়িক পার্টনার করেছে গোপনে। বিএনপি নেতার সাথে ব্যবসায়িক এ সর্ম্পকে আজ লাঞ্চিত সরকার দলীয় পরিবহন ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।

অতীতে আ’লীগের কিছূ নেতারা বিএনপি জামাতের সাথে ব্যবসায়িক সর্ম্পক করায় বির্তকিত হয়েছিলেন, এখন সেই তালিকায় সদ্য কিছু আ’লীগার যুক্ত হয়েছেন বিএনপি নেতার সাথে পরিবহনে অবৈধ রুজি ধাান্ধায়। সেকারনে মামলা হলেও কালামের কিছূ হয় না, পুলিশ তাকে দেখে না। ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলা করলেও কিছূ হয় না। সরকারে থাকার পরও এমন অসহায় সরকার দলীয় নেতাকর্মীদের হলে, বিরোধী দলে থাকলে তাদের উপায় কি হবে, সেই ভাবনায় শংকিত, উদ্বিগ্ন তারা।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2A1LlLr

December 08, 2017 at 03:28PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top