সুরমা টাইমস ডেস্ক ঃঃ বার্ধক্যজনিত সমস্যায় ভর্তি হয়েছিলেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। শারীরিক অবস্থার তেমন কোনো উন্নতি হয়নি। হাসপাতাল থেকে নিরাশ স্বজনরা বাড়ি নিয়ে যাবেন বৃদ্ধকে। বাড়ি হাসাপাতাল থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে। অথচ হাসপাতালের গেটে কোনো অ্যাম্বুলেন্স নেই।
ফলে ১১২ বছরের বৃদ্ধকে ইজিবাইকের মাধ্যমে মিরপুরের আমলা ইউনিয়নের কচুবাড়িয়া গ্রামে নেয়া হয়।
বৃদ্ধের ছেলে দুলাল হোসেন বলেন, আমরা অ্যাম্বুলেন্স চালকদের কাছে জিম্মি। তারা (অ্যাম্বুলেন্স চালক) বাবাকে নেয় না আবার মাইক্রোবাসও ভাড়া করতে দেয় না। পরে বাধ্য হয়ে বাবাকে ইজিবাইকের মাধ্যমে বাড়িতে নিয়ে এসেছি।
হঠাৎ করেই বুধবার (১৭ জানুয়ারি) কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকাল থেকে শুরু হয় অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘট। মূলত কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে বেসরকারি অ্যাম্বুলেন্স চালকরা এ ধর্মঘট শুরু করেছে। ফলে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন রোগী ও স্বজনরা। অনেক স্বজন মরদেহ নিয়েও পড়েছেন বিপাকে। এমনকি উন্নত চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা রোগীদেরও বাইরে নেওয়া যাচ্ছে না। হাসপাতালে পড়েই ধুকছেন এসব রোগীরা ফলে দুশ্চিন্তার যেন অন্ত নেই স্বজনদের।
অন্যদিন যেখানে হাসপাতালের গেটে অ্যাম্বুলেন্সের সারি থাকে সেখানে আজ রয়েছে ইজিবাইক। এছাড়া ভাড়াই চালিত মাইক্রোবাসও হাসপাতাল গেটে ভিড়তে দিচ্ছে না অ্যাম্বুলেন্স চালকরা। ইজিবাইক আর পাখি ভ্যানে করে হাসপাতালের সীমানার বাইরে গিয়ে তারপরে পাওয়া যাচ্ছে মাইক্রোবাস।
কুষ্টিয়ার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে থাকা স্থানীয় অ্যাম্বুলেন্স চালকরা জানায়, স্থানীয় দালালরা তাদের কাছ থেকে চাঁদা চায়। হঠাৎ করেই দালালরা চাঁদা দাবি করতে শুরু করেছে।
অ্যাম্বুলেন্স ধর্মঘটে রোগীদের ভোগান্তিঅ্যাম্বুলেন্স চালকরা জানায়, কোনো রোগীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এ হাসপাতাল থেকে অন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলে চাঁদা চাইছে স্থানীয় দালালরা। হাসপাতাল গেট থেকেই তারা চাঁদা দাবি করে। কুষ্টিয়া থেকে রোগী রাজশাহী নিলে ৫০ টাকা চাঁদা দিতে হয়। আর ঢাকায় নিতে গেলে দিতে হয় ১০০ টাকা।
অ্যাম্বুলেন্স চালক আব্দুস সালাম বলেন, হঠাৎ করেই
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2Dor34R
January 18, 2018 at 04:23PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন