হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুরের ওরস কাফেলা থেকে ডেকে শ্বাসরোধে সাহেদাকে হত্যার ঘটনার দায় স্বীকার করে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে হত্যাকারী।
রোববার (২৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলাম খাসকামরায় তার জবানবন্দি গ্রহণ করেন। জবানবন্দি শেষে ঘাতক হারুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
হারুনের জবানবন্দির ভিত্তিতে পুলিশ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে খড়কি গ্রাম থেকে সুন্দর আলীর ছেলে সায়েদ মিয়াকে (৪৫) গ্রেফতার করে। সোমবার দুপুরে তাকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবুল কাশেম সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঘাতক জবানবন্দিতে বলেন , ঘটনার ৪-৫ দিন আগে সাহেদাকে খুন করার জন্য গ্রেফতার সায়েদসহ অপর ৩ সহযোগী পরিকল্পনা করে। ঘাতকরা জানত সাহেদা পার্শ্ববর্তী নাসিরনগর উপজেলার খান্দুরা দরবার শরিফের বার্ষিক ওরসে প্রতি বছরের মতো এবারও যাবে। ২৫ জানুয়ারি সাহেদা তার প্রতিবেশী কয়েকজন মহিলাকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী নাসিরনগর উপজেলার খান্দুরা দরবার শরিফের ওরসে যান।
২৫ জানুয়ারি মধ্যরাতে খড়কি গ্রামের আহাদ মিয়া ছেলে হারুন সাহেদাকে ফোন করে ওরসের কাফেলা থেকে বের করে নেয়। এরপর গ্রেফতার সায়েদসহ অন্যান্য পলাতক ঘাতকদের সহযোগিতায় খান্দুরা ও ছাতিয়াইন মধ্যবর্তী স্থানে একটি সরিষা ক্ষেতে সবাই মিলে সাহেদাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে। হত্যার পর ঘাতকরা কাঁধে করে সাহেদার লাশ বগাজান নদীর কাছে ফেলে পালিয়ে যায়।
মাধবপুর থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী জানান, সাহেদা খুন হওয়ার পরদিন হারুনকে জড়িত থাকার সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়। রোববার সন্ধ্যায় তাকে হবিগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৌহিদুল ইসলামের আদালতে নেওয়া হলে বিজ্ঞ বিচারক তার খাসকামরায় হারুনের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করেন। অন্যান্য পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত আছে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2nnaPi6
January 30, 2018 at 01:32PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন