ঢাকা, ২৪ জানুয়ারি- উইকেট ব্যাটিং সহায়ক ছিলো না। তাই বলে ৯ উইকেটে ২১৬ রানে আটকে যাওয়ার মতোও নয়। ইনিংস শেষে সাকিব আল হাসান এবং ম্যাচে শেষে তামিম ইকবাল বারবারই এ কথা বলেছেন। নুন্যতম আড়াইশ চেয়েছিল টাইগাররা। কিন্তু মাঠে তা করতে ব্যর্থ হয় দলটি। তাহলে এ দায়টা কার? বিস্ময়কর হলেও সত্য, ম্যাচের সর্বোচ্চ রান করা তামিমই নিজেকেই দায় দিয়েছেন। অথচ কঠিন উইকেটে ৭৬ রানের ইনিংস খেলার কারণে ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও পেয়েছেন সাকিবের অলরাউন্ড নৈপুণ্যকে পেছনে ফেলে। মঙ্গলবার ত্রিদেশীয় সিরিজে মিরপুরে জিম্বাবুয়েকে ৯১ রানের বিশাল ব্যবধানে হারানোর পর ম্যাচসেরা তামিম নিজের কাঁধে দায় তুলে নিয়ে বললেন, এই (২১৬ রান) অবস্থার কারণ, আমি নিজেকে দায় দেবো। কারণ আমি তখন ১০০টা (আসলে ১০৫) বল খেলে ফেলেছিলাম ওই সময়ে। তো সিনিয়র হিসেবে তখন আমার দায়িত্ব ছিল কমপক্ষে ৪৫ ওভার পর্যন্ত খেলে আসা। আসলে যে কোনো নতুন ব্যাটসম্যানের জন্যই ওই উইকেটে গিয়ে ব্যাট করাটা সত্যিই খুব কঠিন। আপনারা যদি ক্রেমারের বল দেখেন, একটা স্পিন করছে, আরেকটা সোজা চলে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে খুব কঠিন ছিলো তাকে মোকাবেলা করা। এদিন তামিম যখন আউট হন তখন ইনিংসে বাকি ছিলো ১২ ওভার। পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন তামিম। এ অবস্থা থেকে হরহামেশাই দলগুলো লড়াকু স্কোর করতে পারে। সেটাই দেখা যায়। তবে এদিনের পরিস্থিতি ছিলো ভিন্ন। উইকেটে ছিলেন না কোন সেট ব্যাটসম্যান। আর নতুন ব্যাটসম্যানদের জন্য কাজটা বেশ কঠিন। তার উপর আউটের ধরনটাও ছিলো দৃষ্টিকটু। এগিয়ে গিয়ে ছক্কা হাঁকাতে গিয়েই সাজঘরমুখী হয়েছেন তিনি। আর তাই এমনভাবে আউট হওয়ার পর আক্ষেপই ঝরেছে তামিমের কণ্ঠে, সে সময় আমি অনেকক্ষণ চাচ্ছিলাম যে একটু আক্রমণাত্মক খেলি। আর আমি যে সময়ে মারতে গিয়ে আউট হলাম ওটা আসলে সঠিক সময় ছিলো না বলে আমার মনে হয়। আরও পাঁচ-ছয়টা ওভার যদি আমি জুটি গড়ে যদি তারপর আক্রমণ করতে যেতাম তাহলে মনে হয় ভালো কিছু হতে পারতো আরও। যদি এরকমটা করতে পারতাম তাহলে হয়তো বা আমরা ২৩০-২৩৫ করতে পারতাম সব মিলিয়ে। ভুল সময়ে আউট হয়েছেন তামিম। তাহলে কেন ওই সময়ে আক্রমণ করতে গিয়েছিলেন? যখন সামনে ছিল সেঞ্চুরির হাতছানিও। যেটা বারবার মিস হচ্ছে ইদানিং। ব্যাখ্যাটা নিজেই দিলেন এ ড্যাশিং ওপেনার, ওই সময়ে আক্রমণ করার জন্য ভুল সময় ছিলো। তাছাড়া ও (গ্রায়েম ক্রেমার) লেগ স্পিনার, আমি লেফটি। আমারই সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। আমি অনেকক্ষণ থেকেই তাকে লক্ষ্য করছিলাম। আরও পড়ুন: আইপিএলের ১১তম আসর শুরু হবে ৬ এপ্রিল কারণ, তখন আমাদের উইকেটের পর উইকেট পড়ছিলো। রিয়াদ ভাই পড়লেন, মুশফিক পড়লো। তো ভাবছিলাম এই সময়ে যদি আমি ওকে এর উপরে এক দুইটা মেরে দিতে পারি তাহলে ঠিক আছে। তবে ২১৬ রান করেও শেষ পর্যন্ত বড় জয় দেখেছে বাংলাদেশ। এমন রান করে কিংবা তার চেয়ে কম করে এটা বাংলাদেশের তৃতীয় জয়। ১০৫ বলে ৭৬ রানের ইনিংসে ম্যাচসেরা হয়েছেন তামিম, তবে কৃতিত্ব কম ছিলো না সাকিবেরও। ৫১ রানের ইনিংস খেলেছেন। এরপর বল হাতেও নিয়েছেন ৩টি উইকেট। সূত্র: পরিবর্তন আর/০৭:১৪/২৪ জানুয়ারি
from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2E3jltK
January 24, 2018 at 01:36PM
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন