সুরমা টাইমস ডেস্ক ঃঃ মঙ্গলবার ঢাকায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দুই দেশের সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এই জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করার পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
তিনি বলেন, দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিবের নেতৃত্বে ১৫ জন করে কর্মকর্তাকে নিয়ে মোট ৩০ সদস্যের এই গ্রুপ গঠন করা হয়েছে।
তবে এই গ্রুপ কবে থেকে কাজ শুরু করবে, সে বিষয়ে কিছু বলেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
গত ২৫ অগাস্ট রাখাইনে নতুন করে সেনা অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। মিয়ানমারে নিপীড়নের মুখে গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়ে আছে আরও প্রায় চার লাখ রোহিঙ্গা।
সেনাবাহিনীর ওই অভিযান এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ নিয়ে ব্যাপক আন্তর্জাতিক সমালোচনার মুখে শরণার্থীদের ফেরত নিতে সম্মত হয় মিয়ানমার। রোহিঙ্গাদের ঘরে ফেরার পথ তৈরি করতে গত ২৩ নভেম্বর নেপিদোতে দুই দেশের মধ্যে একটি সম্মতিপত্র স্বাক্ষরিত হয়।
সেখানে বলা হয়, প্রথম দফায় শুধু এবার আসা শরণার্থীদেরই ফেরত নেবে মিয়ানমার। ওই সম্মতিপত্র স্বাক্ষরের তিন সপ্তাহের মধ্যে ‘জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’ গঠন করে দুই মাসের মধ্যে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করা হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব একটি সুনির্দিষ্ট চুক্তিতে সই করবে দুই দেশ।
সম্মতিপত্র স্বাক্ষরের ২৫ দিনের মাথায় মিয়ানমারের পররাষ্ট্র সচিব মিন্ট থোয়ের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সোমবার ঢাকা পৌঁছায়। মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় দুই দেশের বৈঠকে তিনিই নয় সদস্যের মিয়ানমার প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক।
প্রায় চার ঘণ্টার বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাহমুদ আলীর উপস্থিতে দুই দেশের সচিব যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের দলিলে (টার্মস অব রেফারেন্স) সই করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরতে চান, তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু এবং তাদের পুনর্বাসন এবং নিজেদের এলাকায় নতুন করে জীবন যাপন শুরুর ব্যবস্থা করতে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপকে।
টার্মস অব রেফারেন্সে বলা হয়েছে, সম্মতিপত্রে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কীভাবে রোহিঙ্গাদের ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে, কীভাবে তাদের পরিচয় যাচাই করা হবে, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার সময়সীমা কী হবে, যানবাহন, যোগাযোগ এবং সেখানে তাদের স্বাগত জানানোসহ আনুষঙ্গিক বিষয়ে একটি কর্মকাঠামো চূড়ান্ত করবে এই জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ।
দুই দেশের কর্মকর্তাদের এই কমিটি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে ইউএনএইচসিআরসহ জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা এবং আগ্রহী উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগিতা নেবে।
from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2D6G86B
January 16, 2018 at 03:03PM
0 মন্তব্য(গুলি):
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন