সিলেটে আতঙ্কের এক নাম, কাজী মেরাজ


সুরমা টাইমস ডেস্ক ঃঃ কাজী মেরাজ। নামটি শুনলেই শরীরের লোম খাড়া হয়ে যায়। বিশেষ করে বিএনপি ঘড়ানার রাজনীতি যারা করেন তাদের কাছে কাজী মেরাজ একটি আতঙ্কের নাম। বিএনপির আভ্যন্তরীন কোন্দলে সর্বশেষ নিহত দুই ছাত্রনেতা জিল্লুল হক জিলু ও আবুল হাসনাত শিমুর হত্যায় জড়িত মেরাজ।

রাজনৈতিক সমঝোতার কারণে জিলু হত্যা মামলা থেকে সম্প্রতি সে জামিনে মুক্তি পায়। মুক্তি পেয়েই আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠে কাজী মেরাজ। আবারো ঘটে হত্যাকান্ড। এবার মারা যায় নিজ গ্রুপের জুনিয়র ছাত্রদল নেতা আবুল হাসনাত শিমু। এই হত্যাকান্ডের সাথে ঘুঁরে ফিরে আবারো নাম উঠে কাজী মেরাজের। এ ঘটনাও সন্দেহের তীর কাজী মেরাজের দিকে।

মহানগর ছাত্রদলনেতা জিল্লুল হক জিলুকে হত্যার মধ্য দিয়ে কাজী মেরাজের হত্যার রাজনীতি শুরু। মিজান-জিল্লুর গ্রপে থেকে রাজনৈতীক অবস্থান পরিবর্তন করে জিলু যোগ দেয় সামসুজ্জামান জামান বলয়ে। বলয় পরিবর্তন করে বৃহত্তর পাঠানটুলা এলাকায় ছাত্রদল স্বেচ্ছাসেবকদলকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলে। এটাই জিলুর জন্য কাল হয়ে দাড়াঁয়। কাজী মেরাজ বারবার হুমকি ধামকি দেয়া হয় জিলুকে। এরপর হত্যার মিশন বাস্তবায়ন করা হয়। জিলুকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেয়ার মিশনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন কাজী মেরাজ। বছর দু’য়েক আগে মোটরসাইকেল যোগে গোবিন্দগঞ্জ যাওয়ার পথে সিলেট নগরীর পাঠানটুলা নর্থইষ্ট পেট্রোল পাম্পের সামনে নৃশংস কায়দায় কুপিয়ে হত্যা করা হয় জিলুকে । সেই হত্যাকান্ডের অন্যতম প্রধান আসামী কাজী মেরাজ।

তবে রাজনৈতিক সমঝোতার কারণে জিলু হত্যার সঠিক বিচার নিয়ে শংকিত ছিলো জিলুর পরিবার। তাদের ধারনা সঠিক প্রমানিত করে কাজী মেরাজ সহ জিলু হত্যা মামলার অন্য আসামীরা এখন জামিনে মুক্ত।

আর মুক্ত হওয়ার পর থেকে মেরাজ যেন আরো ভয়ংকর হয়ে উঠে। বেপরোয়া মেরাজ চোখ পড়ে শাহী ঈদগাহ ছাত্রদলের উপর। একই গ্রæপের রাজনীতি করলেও শাহী ঈদগাহ ছাত্রদল নেতাকর্মীরা ছিলো কাজী মেরাজের টার্গেটে। বিএনপি সূত্র জানায়, মিজান বলয়ের রাজনীতি দুটি অংশ বিদ্যামান ছিলো। বৃহত্তর সুবিদবাজার-খাসদবির অংশের নেতৃত্ব দিতো কাজী মেরাজ। আর শাহী ঈদগাহ- মিরবক্সটুলা অংশের নেতৃত্বে ছিলো জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি লিটন আহমদ।

কোর্টপয়েন্টে পুলিশের সাথে বাকবিতন্ডা সহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক প্রোগ্রাম সফলতার সাথে পালন করে লিটনের নেতৃত্বাধীন শাহী ঈদগাহ বলয়।

এ কারনে কাজী মেরাজের চক্ষুশূল ছিলো লিটন আহমদ। যারফলে সোমবার পূর্ব প্রস্তুতি নিয়ে আসে কাজী মেরাজ বলয়ের ছাত্রদল ক্যাডার। সোমবার বিকেল ৪টায় কোর্টপয়েন্টে ধাক্কাধাক্কির নাম করে লিটন আহমদ বলয়ের আবুল হাসনাত শিমুকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকান্ডের পর শিমুর পরিবার ও সহকর্মী ছাত্রদল নেতাকর্মীরা কাজী মেরাজকেই দায়ী করছে। তাদের দাবি পুরো ঘটনাটাই পরিকল্পিত। এ ঘটনাও কাজী মেরাজ কে ২ নম্বরও আসামী করে মামলা করেছে পরিবার।



from Sylhet News | সুরমা টাইমস http://ift.tt/2CSGApI

January 04, 2018 at 09:23PM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top