মার্কিন নাগরিক মেগান মার্কেল অভিনয় আর সমাজসেবা করে সাধারণভাবেই দিন পার করছিলেন। গত বছর নভেম্বরে ইংল্যান্ডের রানি এলিজাবেথের নাতি প্রিন্স হ্যারির সঙ্গে বাগদানের পর বদলে যেতে থাকে তাঁর পৃথিবী। রাজবধূ হওয়ার কারণে কানাডায় নিজের ফ্ল্যাট আর পোষা কুকুর বোগার্ডকেও ছেড়ে আসতে হচ্ছে। জাতিসংঘের সঙ্গে যেসব জনহিতকর কাজে তিনি জড়িত ছিলেন, তা-ও আর এখন করা যাবে না। মেগানের ত্যাগ-এর তালিকায় এবার যুক্ত হলো আরও একটি বিষয়। ব্রিটিশ রাজকীয় নিয়ম অনুযায়ী রাজপরিবারের কোনো সদস্যের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থাকতে পারবে না। অগত্যা মেগানকেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর যত অ্যাকাউন্ট ছিল, সব বন্ধ করতে হয়েছে। তার মানে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আর পাওয়া যাবে না তাঁকে। গত মঙ্গলবার ব্রিটিশ রাজপ্রাসাদ কেনসিংটন প্যালেস থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলা হয়, প্রিন্স হ্যারির বাগদত্তা মেগান মার্কেল রাজপরিবারের ঐতিহ্য অনুযায়ী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে তাঁর সব অ্যাকাউন্ট মুছে ফেলেছেন। বাগদানের আগে মেগান তাঁর টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে খুব সক্রিয় ছিলেন। রাজপ্রাসাদ থেকে জানানো হয়, এত বছর ধরে যাঁরা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেগানকে অনুসরণ করে আসছিলেন, তিনি তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ। কিন্তু এখন এই অ্যাকাউন্টগুলো মেগান আর ব্যবহার করবেন না। তবে যাঁরা এত দিন হবু এই রাজবধূর গতিবিধি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুসরণ করে আসছিলেন, তাঁদের একেবারে নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। কারণ মেগান তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টগুলো বন্ধ করলেও কেনসিংটন প্যালেসের অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট তো খোলা আছে। সেখান থেকে শুধু মেগান কেন? তাঁর শ্বশুরবাড়ির সবার কার্যক্রমই জানা যাবে। আরও পড়ুন: হলিউডে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ, গোল্ডেন গ্লোবে প্রতিবাদ ২০১৮ সালের ১৯ মে উইন্ডসর ক্যাসেলের সেন্ট জর্জেস চ্যাপেলে রাজকীয় আয়োজনে বিয়ে করবেন প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেল। বিয়ের পর তাঁরা রাজপ্রাসাদের ভেতর নটিংহাম প্যালেসে সংসার পাতবেন। ব্রিটিশ রাজপরিবারের ইতিহাসে মেগানই একমাত্র বাগদত্তা, যিনি বিয়ের আগে রানির সঙ্গে বড়দিন উদ্যাপনের সুযোগ পেয়েছেন। এআর/২২:৪০/১০ জানুয়ারি



from First Bangla interactive newspaper - Deshe Bideshe http://ift.tt/2AOiwBZ
January 11, 2018 at 04:41AM

0 মন্তব্য(গুলি):

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

 
Top